|
|
|
|
চাকরি পেলে জমি দেবে চাষিরা |
ফালাকাটায় পর্যটন হাব নিয়ে ডিএমকে রিপোর্ট দেবেন বিডিও |
নিজস্ব সংবাদদাতা • ফালাকাটা |
পর্যটন হাবের জন্য জমি দেওয়ার শর্ত হিসাবে যোগ্যতা অনুসারে স্থায়ী চাকরির দাবি তুললেন চাষিরা। সোমবার ফালাকাটার বিডিও-র কাছে লিখিতভাবে এই প্রস্তাব রাখেন চাষিরা চাষিদের। তাঁরা জানিয়েছেন, পর্যটন হাবে সকল জমিদাতা চাষিদের স্থায়ী চাকরির ব্যবস্থা করতে হবে। চাষিদের দাবির বিষয়টি উল্লেখ করে একটি রিপোর্ট শীঘ্রই জলপাইগুড়ির জেলাশাসকের কাছে পাঠানো হবে বলে ফালাকাটার বিডিও সুশান্ত মণ্ডল জানিয়েছেন। বিডিও বলেন, “চাষিদের বক্তব্য শুনেছি। জেলাশাসককে রিপোর্ট পাঠাব।” ডুয়ার্সের কুঞ্জনগরে ৯০ একর সরকারি জমিতে ওই পর্যটন হাব তৈরির কথা। কিন্তু, তিন দশকের বেশি সময় ধরে ওই জমির সিংহভাগে চাষবাস করছেন এলাকার ৭০টির বেশি পরিবার। ওই চাষিরা আপত্তি করেন। তারই মধ্যে ২০০৯ সালে পর্যটন দফতরের হাতে কাগজে-কলমে জমি হস্তান্তরিত হয়। তা হলেও চাষিরা জমির দখল ছাড়েনি। রাজ্যে বাম সরকারের আমলেই চাষিরা জানিয়ে দেন, তাঁরা ওই জমি ছাড়তে রাজি নন। তার পরে ওই প্রকল্পের কাজ এগোয়নি। গত মার্চ মাসে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় উত্তরবঙ্গ সফরে গিয়ে ওই জায়গায় পর্যটন হাব তৈরির কথা ঘোষণা করেন। সেই ঘোষণা কার্যকর করতে সম্প্রতি পর্যটন দফতর এবং ভূমি রাজস্ব দফতরের অফিসার, কর্মীরা জমিতে খুঁটি পুঁততে গিয়ে বাধার মুখে পড়েন। সিঙ্গুর-নন্দীগ্রামের আদলে এলাকায় তৈরি হয় ভূমি উচ্ছেদ প্রতিরোধ কমিটি। তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী গৌতম দেব। তিনি আলোচনার মাধ্যমে সমস্যার সমাধানে জোর দেন। এই পরিস্থিতিতে এদিন ওই চাষিদের নিয়ে আলোচনায় বসেন বিডিও। কৃষকদের প্রতিনিধি অসিত কর বলেন, “ওই জমিতে দীর্ঘদিন ধরে বাসিন্দারা চাষাবাদ করছেন। স্থায়ী কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা হলে পর্যটন হাব নিয়ে কারও কোনও আপত্তি নেই। আমাদের দাবি, সকল জমিদাতাদের যোগ্যতা ভিত্তিতে চাকরি ব্যবস্থা করা হোক।” |
|
|
|
|
|