|
|
|
|
নিজের এলাকায় রেলের অনুষ্ঠানে ‘ব্রাত্য’ অধীর |
নিজস্ব সংবাদদাতা • বহরমপুর |
নিজের এলাকায় রেলের অনুষ্ঠানে ফের ‘ব্রাত্য’ অধীর।
বিধানসভা নির্বাচনের আগেও কংগ্রেসের ‘খাসতালুক’ মুর্শিদাবাদের মনিগ্রামে রেলের এক অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি বহরমপুরের কংগ্রেস সাংসদ অধীর চৌধুরীকে। সোমবার বহরমপুর-কৃষ্ণনগর শাখায় একটি এমইএমইউ (মেমু) ট্রেনের উদ্বোধন অনুষ্ঠানেও আমন্ত্রিতদের তালিকায় ঠাঁই হয়নি তাঁর। আমন্ত্রিত ছিলেন না বহরমপুরের কংগ্রেস বিধায়ক তথা প্রাক্তন মন্ত্রী মনোজ চক্রবর্তীও। সরকারি অনুষ্ঠানে স্থানীয় দুই জন প্রতিনিধির আমন্ত্রণ না পাওয়া প্রসঙ্গে অধীরের মন্তব্য, “যে দলের অভ্যন্তরে সৌজন্য-চর্চা নেই, সেখানে এটাই স্বাভাবিক।” মনোজবাবু বলেন, “স্থানীয় সাংসদ, বিধায়ক ও পুরপ্রধানকে আমন্ত্রণ না করা গণতন্ত্রের কলঙ্ক।”
বহরমপুর-কৃষ্ণনগর শাখার যাত্রীদের দীর্ঘদিনের দাবি ছিল ওই ‘মেমু’ ট্রেন। এ দিন বিকেলে বহরমপুর কোর্ট স্টেশনে উদ্বোধন অনুষ্ঠানে ছিলেন রাজ্যের দুই মন্ত্রী তৃণমূলের উজ্জ্বল বিশ্বাস ও সুব্রত সাহা। কংগ্রেসের জনপ্রতিনিধিরা অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত ছিলেন না কেন? মৎস্য প্রতিমন্ত্রী সুব্রতবাবু বলেন, ‘‘ছোট অনুষ্ঠান। তাই ডাকা হয়নি। বড় করে অনুষ্ঠান যখন হবে তখন অন্য ভাবে হবে।” যদিও অধীরবাবুর ‘কটাক্ষ’, “অক্ষমের আক্রোশ।”
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রেলমন্ত্রী থাকাকালীন ভগবানগোলা থেকে লালগোলা ও কালীনারায়ণপুর থেকে পলাশি পর্যন্ত ‘ডাবল লাইন’ করার প্রকল্প অনুমোদিত হয়। কিন্তু সেই সময়ে পলাশি থেকে মুর্শিদাবাদ পর্যন্ত অংশ ‘ডাবল লাইন’ করার অনুমোদন দেয়নি রেল কর্তৃপক্ষ। এ দিন সে প্রসঙ্গ তুলেও ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন অধীর ও মনোজ। অধীরবাবুর কথায়, “এটা রাজনৈতিক প্রতিহিংসা।’’ মনোজবাবু বলেন, “ডবল লাইন থেকে বঞ্চিত অংশটি অধীর চৌধুরীর নির্বাচনী এলাকায়।” তাঁর অভিযোগ, “রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করতে গিয়ে জ্ঞানগম্যি হারিয়েছিলেন তৎকালীন রেলমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তা নইলে মাঝের অংশ ‘সিঙ্গল লাইন’ রেখে, দুই প্রান্তে ‘ডাবল লাইন’ কেউ করে!” অভিযোগ মানেননি সুব্রতবাবু। তিনি বলেন, “পলাশি থেকে মুর্শিদাবাদ পর্যন্ত মাঝের ওই অংশ দ্রুত ডাবল লাইন করতে রেলমন্ত্রী মুকুল রায়ের কাছে আবেদন করা হবে।” |
|
|
|
|
|