বিদ্যুৎ দফতরে বিক্ষোভ চাষিদের
বিদ্যুৎ ঘাটতির কারণে বোরো চাষ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে অভিযোগে বিদ্যুৎ দফতর ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখালেন চাষিরা। সোমবার পটাশপুর থানা এলাকার মোতিলালপুরে এগরা-বাজকুল রাস্তাও অবরোধ করেন বিক্ষুব্ধেরা।
চাষিদের অভিযোগ, বেশ কয়েক দিন ধরে এলাকায় ভোল্টেজ কম থাকায় এবং লোডশেডিং হওয়ায় পাম্পের মাধ্যমে জল তোলার কাজ ব্যাহত হচ্ছে। ফলে মাঠ শুকিয়ে যাচ্ছে। জলের ঘাটতি হওয়ায় ধান নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। বারবার বিদ্যুৎ দফতরে জানিয়েও কাজ না হওয়ায় বাধ্য হয়েই আন্দোলনে নামতে হয়েছে। তৃণমূলের জেলা সাধারণ সম্পাদক মৃণালকান্তি দাসের অভিযোগ, “এগরা সাব-স্টেশন থেকে যে ফিডার লাইন পটাশপুরে এসেছে, খড়াইয়ের কাছে সেই লাইনে বিদ্যুৎ-সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দিচ্ছেন স্থানীয় কয়েকজন মানুষ। ফলে পটাশপুর পঞ্চায়েত-সহ আশপাশের এলাকার প্রায় এক হাজার হেক্টর জমির চাষ নষ্ট হওয়ার মুখে। বিদ্যুৎ দফতর বিষয়টি দেখছে না। পাশাপাশি সেচ পাম্প মালিকদের অস্বাভাবিক হারে জরিমানা করছে।”
ডব্লুবিএসইডিসিএলের কাঁথির ভারপ্রাপ্ত ডিভিশনাল ম্যানেজার অশোক গিরি বলেন, “এলাকায় বিদ্যুতের ব্যাপক চাহিদা থাকায় জেলা প্রশাসন, জেলা পরিষদ ও সংশ্লিষ্টদের নিয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছিল, দিনের সময় ভাগ করে বিভিন্ন এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হবে। সেই মতো কাজ শুরু হলেও বিভিন্ন এলাকায় কিছু মানুষ গোলমাল পাকাচ্ছে। ফলে অন্য এলাকার চাষিরা নির্দিষ্ট সময়ে বিদ্যুৎ পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ করছেন। স্থানীয় পঞ্চায়েত ও প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলে উপযুক্ত ব্যবস্থা নিচ্ছি।”
জেলা পরিষদের সহ-সভাধিপতি মামুদ হোসেন বলেন, “এই বিষয়ে মন্ত্রী-সহ বিদ্যুৎ দফতরে চিঠি পাঠানো হয়েছে। এমনিতেই পটাশপুরের চাষিরা বন্যার কারণে বোরো চাষের উপর নির্ভরশীল। এখন থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক না হলে চাষ নষ্ট হবে।” জেলা পরিষদের বিদ্যুৎ কর্মাধ্যক্ষ স্বপন রায় অবশ্য বলছেন, “ব্যাপক চাহিদার পাশাপাশি রয়েছে হুকিংয়ের সমস্যাও। চাষিরা নিজেরা সতর্ক না হলে বিদ্যুৎ দফতরের কিছুই করার নেই।”
সোমবার সকাল ১০টা থেকে বিক্ষোভ চলে। দুপুর সাড়ে তিনটে নাগাদ পটাশপুর থানায় বিদ্যুৎ দফতরের প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনায় বসেন প্রশাসন ও চাষিরা। ছিলেন পটাশপুর থানার ওসি বিপ্লব হালদার, এগরার সাব-ইন্সপেক্টর প্রদীপ সমাদ্দার, বিদ্যুৎ দফতরের কাঁথি ডিভিশনের অ্যাসিস্ট্যান্ট ম্যানেজার শুভদীপ ভট্টাচার্য, এসএআই সুদীপ্ত মল্লিক, তৃণমূলের জেলা সাধারণ সম্পাদক মৃণালকান্তি দাস-সহ বেশ কয়েকজন কৃষক। আলোচনায় সিদ্ধান্ত হয়, বিদ্যুতের জোগান কম থাকায় তিন ভাগে এলাকাগুলিকে ভাগ করে আট ঘণ্টা একটানা বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হবে।


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.