|
|
|
|
বিধবাকে গণধর্ষণে অভিযুক্ত অধরা, বাড়ছে ক্ষোভ |
নিজস্ব সংবাদদাতা • ঝাড়গ্রাম ও বোরো |
ঝাড়গ্রাম শহরে এক তফসিলি বিধবাকে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। অভিযুক্তেরা ধরা না পড়ায় এলাকায় ক্ষোভও বাড়ছে। বছর পঁয়ত্রিশের ওই মহিলার অভিযোগ, গত ২৪ মার্চ রাতে বিড়ি ধরানোর জন্য দেশলাই চায় স্থানীয় কয়েক জন তরুণ। দরজা খুলতেই ৬ জন মিলে তাঁকে ধর্ষণ করে। পর দিন ঝাড়গ্রাম থানায় অভিযোগ দায়ের করেন ওই মহিলা। এক সপ্তাহ কেটে গেলেও কেউ ধরা পড়েনি।
ওই মহিলার সংসার চলে দিনমজুরি করে। তাঁর এক আত্মীয়ার অভিযোগ, “স্থানীয় একটি মহল থেকে বিষয়টি ‘মিটিয়ে নেওয়া’র জন্য চাপ দেওয়া হচ্ছে।” ‘মেদিনীপুর লোধা-শবর উন্নয়ন সমিতি’র জেলা সাধারণ সম্পাদক সীতেশ প্রামাণিকের বক্তব্য, “অত্যন্ত উদ্বেগজনক এই ঘটনাটি নিয়ে পুলিশের ভূমিকা সন্তোষজনক নয়।” সাত দিনের মধ্যে অভিযুক্তদের গ্রেফতার করা না হলে জেলাশাসকের দফতরের সামনে অনশন-ধর্নায় বসারও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন সীতেশবাবুরা। ঝাড়গ্রামের সিপিএম পুরপ্রধান প্রদীপ সরকার এবং তৃণমূলের শহর-সভাপতি সুনীল হেমব্রমও অভিযুক্তদের অবিলম্বে গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছেন।
পুলিশের অবশ্য দাবি, অভিযোগপত্রে ওই মহিলা দু’জন মাত্র অভিযুক্তের নাম দিয়েছেন (কালী ও বড়)। বাকি ৪ জনকে শুধু ‘পরিচিত মুখ’ বলে জানিয়েছেন। তদন্তে পুলিশ বেশ কয়েক বার এলাকায় গিয়েছে। কিন্তু অভিযুক্তেরা পলাতক। ঝাড়গ্রামের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপারেশন) অলক রাজোরিয়া-র বক্তব্য, “অভিযোগ পাওয়ার পরে আইনমতে যা-যা করণীয়, পুলিশ করেছে। অভিযুক্তদের ধরতে তল্লাশিও চলছে।” পুলিশ জানিয়েছে, মহিলার ডাক্তারি পরীক্ষা করানো হয়েছে। ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে গোপন জবানবন্দিও নথিভুক্ত করানো হয়েছে।
অন্য দিকে, পুরুলিয়ার বোরো থানা এলাকার একটি গ্রামে এক তরুণীকে ধর্ষণ করে কীটনাশক খাইয়ে দেওয়ার ঘটনায় অভিযুক্তকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। ধৃত অজয় মাহাতোকে সোমবার পুরুলিয়া আদালতে হাজির করানো হলে তার ১৪ দিনের জেল হেফাজত হয়েছে। ওই তরুণীর বাবা পুলিশকে লিখিত অভিযোগে জানিয়েছিলেন, গত মঙ্গলবার রাতে তাঁর মেয়ে প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিয়ে বাড়ি বাইরে যান। তখন স্থানীয় জাওড়া গ্রামের বাসিন্দা, অজয় ও তার কিছু সঙ্গী ওই তরুণীকে অন্ধকারে মুখ বেঁধে তুলে নিয়ে যায়। বৃহস্পতিবার মেয়েকে গ্রাম থেকে দেড় কিলোমিটার দূরে সংজ্ঞাহীন অবস্থায় পান বাবা। ওই তরুণী পুলিশকে জবানবন্দিতে জানিয়েছেন, অজয়রা তাঁকে প্রথমে ধর্ষণ করে। পরে প্রমাণ লোপের জন্য জোর করে কীটনাশক খাইয়ে খুন করার চেষ্টা করা হয়। রবিবার রাতে পুলিশ অজয়কে গ্রেফতার করে।
ওই তরুণী এখনও বাঁকুড়া মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তাঁর বাবা এ দিন বলেন, “মেয়েকে ফিরে পাওয়ার আশাই প্রায় ছেড়ে দিয়েছিলাম। চিকিৎসায় ও যে সুস্থ হয়ে উঠছে, এটাই সবচেয়ে খুশির খবর। আমরা দোষীদের কঠোর শাস্তি চাইছি।”
|
|
|
|
|
|