কসমসের সেই চিনাগ্লিয়া আর নেই |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
কসমস বনাম মোহনবাগান ম্যাচের স্মৃতি উঠলেই বয়স্কদের মনে পেলে-র সঙ্গে সঙ্গে ভেসে ওঠে আর এক জনের নাম। জিওর্জিও চিনাগ্লিয়া।
পঁয়তিরিশ বছর আগের বর্ষণ সিক্ত ইডেনে তাঁর বেশ কিছু মূহূর্ত স্মৃতিতে থেকে গিয়েছে কলকাতার। শিবাজি বন্দ্যোপাধ্যায় বলছিলেন, “ও একটা দারুণ ফ্রি কিক নিয়েছিল।” সুব্রত ভট্টাচার্যর মনে পড়ছে পেলের সঙ্গে চেস্ট ট্র্যাপ করে একটা ওয়াল পাস। প্রদীপ চৌধুরীর স্মৃতিতে আসছে দুর্দান্ত চেহারায় দাপট। অবশ্যই পেনাল্টিতে একটা গোল।
হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে সেই চিনাগ্লিয়া প্রয়াত হলেন যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডায়। |
|
পেলের সঙ্গে চিনাগ্লিয়া।-ফাইল চিত্র |
ইতালির বিশ্বকাপার চিনাগ্লিয়ার সঙ্গে খেলেছেন ফাবিও কাপেলোর মতো বহু তারকা। বছর পঁয়ষট্টির চিনাগ্লিয়ার প্রয়াণে কাপেলোর মনে পড়ছে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে তাঁর দুর্দান্ত গোল। কসমসে পেলে, বেকেনবাউয়ার, অ্যালবার্তোর সঙ্গে খেলার আগে চিনাগ্লিয়া খেলতেন ইতালির বিখ্যাত লাৎজিওতে। লাৎজিওর সর্বকালের সেরা ফুটবলার তিনিই। ক্লাব প্রেসিডেন্ট হন। বছর ছয়েক আগে লাৎজিও বেটিং চক্রে জড়িয়ে পড়ায় তাঁর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা বেরোয়। কিন্তু চিনাগ্লিয়া যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডায় থাকায় তাঁকে গ্রেফতার করা যায়নি। তিনিই ইতালির প্রথম ফুটবলার, যিনি দ্বিতীয় ডিভিশন থেকে জাতীয় দলে খেলেন।
আজীবন বিতর্কিত চরিত্র চিনাগ্লিয়ার বেড়ে ওঠা ওয়েলশের কার্ডিফে। ইতালিতে ফিরে আসার পরে তাঁকে সিরি এ-তে ব্যান করে দেওয়া হয় তিন বছর। বিদেশে খেলায়। তাতে অবশ্য চিনাগ্লিয়ার খ্যাতি কমেনি। বিশ্বকাপ খেলার পরে কোচের সঙ্গে গণ্ডগোলে তিনি ছিটকে যান জাতীয় দল থেকে। কিন্তু আমেরিকায় গিয়ে লিগের সর্বকালের সেরা গোলদাতা হন। পেলেকেও ওখানে ছাপিয়ে গেছিলেন। পেলের সঙ্গে তাঁর ড্রেসিংরুমে তর্কাতর্কির পরে ফুটবল সম্রাট চোখের জল নিয়ে বেরিয়ে যান।
আজ সব ইতিহাস হয়ে গেল। |
|