|
|
|
|
ইডেন পাচ্ছে ইংল্যান্ড টেস্ট, স্টার পেল টিভি-স্বত্ব |
সব্যসাচী সরকার • চেন্নাই |
এক দিকে, বিদেশে ০-৮ টানা হার আর এশিয়া কাপে ফাইনালে উঠতে না পারা সত্ত্বেও ভারতীয় বোর্ডের রাজকোষ উপচে পড়া। ধোনিদের ক্রিকেটীয় লেখচিত্র যতই নিম্নগামী হোক না কেন, বাজার তাতে বিন্দুমাত্র বিচলিত নয়। আগামী ছ’বছরের জন্য স্রেফ দেশের মাঠে টিম ইন্ডিয়ার সব ম্যাচের টিভি সম্প্রচার বিক্রি করেই উঠে এল ৩,৮৫১ কোটি টাকা। অন্য দিকে, আগামী বছরের শীতে অস্ট্রেলিয়া টেস্ট আয়োজনের সুযোগ পেল না ইডেন।
সোমবার চেন্নাইয়ে বোর্ডের বৈঠকে তাই ফুলের সঙ্গে থাকছে কাঁটাও।
এ দিনের পর রুপার্ট মারডকের সাম্রাজ্যে অনেকটাই ঢুকে পড়ল ভারতীয় ক্রিকেট। আগামী ছ’বছর দেশের মাঠে ভারতের যাবতীয় সিরিজের টিভি সম্প্রচারের স্বত্ব স্টার টিভি কিনে নেওয়ায়। আর তারা এই স্বত্ব কিনল বিপুল অঙ্কে। আগামী ছ’বছরে দেশে ভারতের ৯৬-টি আন্তর্জাতিক ম্যাচ তাদের দেখানোর কথা। হিসেব মতো ম্যাচ পিছু সম্প্রচারের খরচ পড়ছে চল্লিশ কোটি টাকা। এর আগে যে সংস্থা দেশে ধোনিদের ম্যাচ সম্প্রচার করত, সেই নিও স্পোর্টস ম্যাচ পিছু ৩২.২৫ কোটি টাকা দিত বোর্ডকে। সোমবারের বৈঠকে সম্প্রচার কেনার যুদ্ধ ছিল পাঁচ সংস্থার মধ্যে। দেখা যায়, একমাত্র স্টার টিভি এবং মাল্টিস্ক্রিন মিডিয়া (আইপিএল সম্প্রচারের দায়িত্বে থাকা সোনি) শুধু দরপত্র জমা করেছে। এবং দর বেশি থাকায় সম্প্রচার স্বত্ব (মোবাইল ও ইন্টারনেট স্বত্ব সহ) কিনে ফেলে স্টার টিভি। দ্বিতীয় স্থানে থাকা সোনি দর দিয়েছিল ৩,৭০০ কোটি টাকা।
সিএবি-কে আবার একই দিনে আগামী বছর অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে টেস্ট আয়োজনের সুযোগ হারাতে হল। প্রাপ্তি বলতে শুধু সামনের নভেম্বরে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে একটি মাত্র টেস্ট। যারা কি না গত বছরও ওয়ান ডে এবং টি-টোয়েন্টি খেলে গিয়েছে ইডেনে। অথচ ২০০১-এর পর অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে টেস্ট আর দেখেনি কলকাতা। সিএবি-র যুক্তি, ইংল্যান্ড এই মুহূর্তে বিশ্বের এক নম্বর টিম। তাই তাদের প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে। বোর্ডের বৈঠকে সিএবি-র প্রতিনিধি হিসেবে হাজির ছিলেন প্রেসিডেন্ট জগমোহন ডালমিয়া। বৈঠক শেষে এক বোর্ড কর্তা বলছিলেন, “ওরা তো দাবিই তুলল না সে ভাবে। তবে যা হয়েছে, রোটেশন মেনেই হয়েছে।” প্রকৃত ঘটনা হল, দাবি তোলার তেমন সুযোগই ছিল না। ক্রীড়াসূচি কমিটি যা ঠিক করেছে, তা-ই সিএবি-কে মানতে হয়েছে। খুব সংক্ষেপে, শ্রীনিবাসন ও তাঁর টিম যা চেয়েছে, তাই হয়েছে। রাতে জানা গেল, কানপুর অস্ট্রেলিয়া টেস্ট ছেড়ে দিলে সিএবি সেটা পাওয়ার জন্য ঝাঁপাবে। সিএবি-র বক্তব্য, সাম্প্রতিক অতীতে কানপুরকে টেস্ট দেওয়া সত্ত্বেও তারা শেষ পর্যন্ত তা আয়োজন করতে রাজি হয়নি। |
|
|
|
|
|