|
|
|
|
মোহনবাগান নিয়ে জল্পনা থামানোর চেষ্টায় টোলগে |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
সকাল থেকেই টোলগে ওজবেকে নিয়ে শুরু হয়ে গেল নাটক। মোহনবাগানে যাওয়ার জল্পনা থামাতে সাংবাদিক সম্মেলনে হাজির হলেন টোলগে। বললেন, মরসুমের শেষেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত।
সোমবার সকালে ইস্টবেঙ্গলের অনুশীলন শেষ হতেই কোচ ট্রেভর মর্গ্যানের সঙ্গে টোলগে চলে এলেন সাংবাদিকদের সামনে। তাঁবুতে নয়, মাঠের ধারেই। লাল-হলুদে ইদানীং যা সচরাচর দেখা যায় না। কোচ-অধিনায়ক ছাড়া তো কারও সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার অনুমতি নেই।
টোলগে অবশ্য সাংবাদিকদের কোনও প্রশ্নের উত্তর দিলেন না। যা জানালেন, সেটি একটি সরকারি ঘোষণা। টোলগের বক্তব্য, “আমি মোহনবাগানে সই করেছি বলে যা শোনা যাচ্ছে সেটা ঠিক নয়। পুরোপুরি গুজব।” আরও একধাপ এগিয়ে টোলগে বলেন, “ইস্টবেঙ্গল কর্তারাই আমার সঙ্গে পরের মরসুমের জন্য কথা বলছে। মরসুম শেষ হলেই আমার সিদ্ধান্ত জানাব।” এর পর তাঁকে কোনও প্রশ্ন করার সুযোগ দেননি মর্গ্যান। টোলগেও বলে গেলেন, “আমার আর কিছু বলার অনুমতি নেই।” তার আগে টোলগে প্র্যাক্টিস করেছেন আর পাঁচটা দিনের মতোই। হাসি-মস্করাও করেছেন সতীর্থদের সঙ্গে।
রবিবার রাতে টোলগের মোহনবাগানে যাওয়ার খবর জানাজানি হওয়ার পর নড়েচড়ে বসেছিলেন লাল-হলুদ কর্তারা। বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গিয়েছে, টোলগের সঙ্গে রাত দু’টো পর্যন্ত কর্তারা ফোনে কথা বলেছিলেন। ইস্টবেঙ্গল ফুটবল সচিব সন্তোষ ভট্টাচার্য বলছিলেন, “রবিবার রাতেই টোলগের সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। ও নিজেই সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার অনুমতি চেয়েছিল। সেই অনুযায়ী কোচকে জানিয়ে দেওয়া হয়।” টোলগে-প্রসঙ্গ উঠলে সযত্নে এড়িয়ে গিয়েছেন লাল-হলুদের অন্য ফুটবলাররা। কেউ কোনও মন্তব্য করেননি। অস্ট্রেলীয়র মোহনবাগানে খেলা নিয়ে অবশ্য সবুজ-মেরুন কর্তাদেরও মুখে কুলুপ। দেবাশিস দত্ত শুধু বললেন, “টোলগে বড় ফুটবলার। ওকে আমাদের ক্লাবে খেলার প্রস্তাব দেব না? তবে এখনও ও কিছু জানায়নি। মরসুম শেষ হলেই জানাবে।” তবে ফেসবুক-টুইটারে ইতিমধ্যেই টোলগেকে নিয়ে শুরু হয়ে গিয়েছে জোর জল্পনা। আর সেটা ছড়িয়ে পড়েছে দুই বড় ক্লাবের সমর্থকদের মধ্যে।
টোলগের দলবদল সংক্রান্ত প্রশ্নের সামনে পড়ে যথেষ্ট বিরক্তই হলেন মর্গ্যান। আবার টোলগের বদলি হিসাবে কাকে ভাবছেন প্রশ্নের উত্তরে মজা করে বললেন, “দ্রোগবাকে পেলে ভাল হয়।” মর্গ্যান চোখ রেখেছেন বুধবারের এএফসি ম্যাচে। যে দিন যুবভারতীতে প্রতিদ্বন্দ্বী ইরাকের আরবিল এস সি। এএফসি কাপে যারা প্রথম দু’টি ম্যাচ ড্র করে গ্রুপে তিন নম্বরে। ইস্টবেঙ্গল অবশ্য দু’টি ম্যাচই হারায় চতুর্থ। চার বিদেশি খেলানোর ছাড়পত্র থাকায় মর্গ্যান এই ম্যাচে পেন-ওপারার সঙ্গে টোলগে-এডমিলসনকেও ব্যবহার করতে পারেন। তবে মর্গ্যানের বক্তব্য, “এখনই সেটা ঠিক করিনি। তবে চার বিদেশি একসঙ্গে মাঠে থাকবে। এক সঙ্গে শুরু করতেও পারে।”
মর্গ্যানের চিন্তায় অবশ্য আই লিগ আছে আরও বড় জায়গা নিয়ে। এ দিন বলছিলেন, “বাকি চার ম্যাচে আর আমাদের পয়েন্ট নষ্ট করা চলবে না। ডেম্পো ম্যাচটা আমাদের কাছে ফাইনাল। ওটা হারলে আর আশা থাকবে না।” দলের এক বিদেশি ফুটবলার মনে করছেন, শুধু ডেম্পো ম্যাচ জিতলেই হবে না। আই লিগ জিততে হলে চার্চিল-ডেম্পো ম্যাচটা ড্র হওয়াও প্রয়োজন। ওই ফুটবলারের কথায়, “আমি চাই বাংলাতেই আসুক আই লিগ। তার জন্য ডেম্পোকে আমাদের হারাতেই হবে। তবে ব্যক্তিগত ভাবে আমার মনে হয়, ডেম্পো বাকি ম্যাচগুলো থেকে বেশি পয়েন্ট পাবে না। কারণ, ওদের খুব শক্ত কয়েকটা ম্যাচ আছে।”
টোলগের বাড়ি ফেরার সময় গত দু’বছরের চেনা ছবিটাই দেখা গেল। মর্গ্যানের সঙ্গে গাড়িতে উঠে বেরিয়ে গেলেন। পিছনে পড়ে রইল হাল্কা গুঞ্জনসামনের মরসুমে এই দৃশ্য থাকবে তো? |
|
|
|
|
|