বক্সার স্থানীয় পাখি চেনাতে তিন দিনের শিবির শুরু হল ডুয়ার্সে। সোমবার বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের ২৮ মাইল বনবস্তিতে ওই শিবির শুরু হয় নেচার্স বেকন এবং যুগান্তর পরিবার নামে দুটি পরিবেশ প্রেমী সংস্থার উদ্যোগে। শিবিরে বনবস্তির বাসিন্দাদেরও সামিল করা হয়। বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের উপ ক্ষেত্র অধিকর্তা জে ভি ভাস্কর বলেন, “এই মরশুমে পরিযায়ী পাখিরা নিজেদের এলাকায় ফিরে যায়। পাখিদের এটি প্রজননেরও সময়। সেই কারণে জঙ্গলে সহজেই পাখি দেখতে পাওয়া যায়। তবে বনবস্তির বাসিন্দাদের এই শিবিরে সামিল করার পরিকল্পনা প্রশংসনীয়।” শিবিরে অসমের বিভিন্ন এলাকা থেকে ২০ জন অংশ নিয়েছেন। পরিবেশ প্রেমী সংগঠন নেচার্স বেকনের অধিকর্তা সৌম্যদীপ দত্ত জানান, সাধারণত শীতকালে পাখি পর্যবেক্ষণ শিবির হয়ে থাকে। সেই সময় পরিযায়ী পাখিদের বেশি দেখা মেলে। এই সময়ে জঙ্গলে ভারতীয় বা এশিয়ার পাখিদের বেশি করে দেখা যায়। |
বক্সার জঙ্গলে ধনেশ, বাজ, ইগল, তিতির, ময়না, নীলকণ্ঠ, বসন্ত বৌরি সহ নানা পাখির দেখা পাওয়া যায়। তিনি বলেন, “আমরা পাখিদের চেনানোর পাশপাশি বনবস্তিগুলিতে পাখি শিকারের বিরুদ্ধে সচেতন করব। বনবস্তিগুলিতে জংলি জাম, বট, পাকুর, সহ নানা ধরনের ফলের গাছ লাগানোর জন্য উৎসাহ দেব যাতে বনবস্তিগুলিতে নানা ধরনের পাখির আনাগোনা বাড়ে। এতে পযর্টকরা আকৃষ্ট হবেন। পাখি নিয়ে সাধারণ মানুষের উৎসাহের পাশাপাশি পর্যটনের প্রসার ঘটবে।” কালচিনির সেচ্ছাসেবী সংগঠন যুগান্তর পরিবারের সদস্য তথা কালচিনির জেলা পরিষদের সদস্য রামকুমার লামা বলেন, “পাখি সংরক্ষণ শিবির করে এলাকার বনবস্তিবাসীদের উৎসাহ দেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে। এতে পাখি শিকার বন্ধের পাশাপাশি পাখি দেখতে এলাকায় পযর্টকদের সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে।” ২৮ মাইল বস্তির রবি লামা,রিনা লামা, সারদা তামাংরা জানান, এই শিবিরে অংশ নিয়ে দূরবীনে চোখ লাগিয়ে বাড়ির আশেপাশে প্রতিদিন উড়ে বেড়ানো পাখি দেখেছেন। পাখিদের সম্পর্কে নানা তথ্য জানতে পেরে খুশি তাঁরা।
|
বাঘের হানায় জখম হলেন এক ব্যক্তি। আজ সকালে শিবসাগরের নাজিরা এলাকায় পার্শ্ববর্তী জঙ্গল থেকে বাঘ বের হয়। নামটির বাসিন্দা সরিফুল আলি বাড়ির পিছনের বাগানে কাজ করছিলেন। তিনি বাঘের মুখোমুখি পড়েন। বাঘটি তাঁকে থাবার আঘাতে ধরাশায়ী করে। তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। |