নিজস্ব সংবাদদাতা • ডোমজুড় |
তৈরি হয়ে পড়ে থাকা সত্ত্বেও চালু হচ্ছে না ডোমজুড় বাসস্ট্যান্ড। হকারদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা না-হওয়াতেই সমস্যা তৈরি হয়েছে বলে স্থানীয় সূত্রের খবর। বাসস্ট্যান্ডটি চালু না-হওয়ায় ডোমজুড়ে হাওড়া-আমতা রোডে যানজট চলছে একই রকম।
বাসস্ট্যান্ডটি তৈরি করেছে হাওড়া জেলা পরিষদ। এ জন্য ১ কোটি ৬৯ লক্ষ টাকায় ১৯ হাজার বর্গফুট জমি কেনা হয়। এর মধ্যে প্রথম পর্যায়ে মোট ৮ হাজার বর্গফুট জমিতে বাসস্ট্যান্ড হয়েছে। বাকি ১১ হাজার বর্গফুট জমিতে দ্বিতীয় পর্যায়ে একটি অটো রিকশা এবং ট্রেকার-স্ট্যান্ড তৈরি হবে। |
বাসস্ট্যান্ডটি তিন-তলা। নীচে বাস দাঁড়াবে। বাকি দু’টি তলে তৈরি হয়েছে স্টল। এগুলি দোকানঘর হিসাবে ভাড়া দেওয়া হবে। এই সব দোকানঘর লিজ দিয়ে জেলা পরিষদ আয় করবে। বাসস্ট্যান্ডটি তৈরির কাজ শেষ। এমনকী রঙও হয়ে গিয়েছে। দোতলা এবং তিন তলার বারান্দায় রেলিং লাগানোর কাজও হয়ে গিয়েছে। জেলা পরিষদ সূত্রের খবর, উদ্বোধনের তারিখ ঠিক হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু হকারদের পুনর্বাসন সমস্যা না-মেটায় তা পিছিয়ে দিতে হয়েছে।
বাসস্ট্যান্ডটি তৈরির আগে এখান থেকে বেশ কিছু হকারকে উচ্ছেদ করা হয়। তাঁদের দাবি, নবনির্মিত বাসস্ট্যান্ডেই তাঁরা যেন পুনর্বাসন পান। হকারদের পক্ষে সুব্রত ঘোষ বলেন, “বাসস্ট্যান্ড তৈরির আগে আমাদের উচ্ছেদ করার সময়ে পুনর্বাসনের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল।” জেলা পরিষদের পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ আনন্দ চট্টোপাধ্যায় বলেন, “এপ্রিল মাস থেকে হকারদের পুনর্বাসন দেওয়ার কাজ শুরু হবে। মে মাস নাগাদ বাসস্ট্যান্ডটি উদ্বোধন করা হবে বলে আশা করছি।” সমস্যাটি দ্রুত মিটে যাবে বলে দাবি করেন ডোমজুড় পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষ বাপি ঠাকুর চক্রবর্তীও। তিনি বলেন, “আমরা বাসস্ট্যান্ড তৈরির জন্য ২০০৮ সাল থেকে আন্দোলন করছি। ছোট একটা সমস্যা হয়েছে। আশা করি মিটে যাবে।” |