|
|
|
|
মহিলাদের বিক্ষোভের জেরে অফিসে ঢুকতে পারলেন না সিডিপিও |
নিজস্ব সংবাদদাতা • গোঘাট |
এলাকার অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রগুলিতে সহায়িকা পদে নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে গোঘাট-১ ব্লকের শিশু বিকাশ প্রকল্প আধিকারিক (সিডিপিও)-কে সোমবার দফতরেই ঢুকতে দিলেন না এলাকার শ’দুয়েক মহিলা। তাঁকে নিগ্রহও করা হয় বলে অভিযোগ।
বিক্ষোভে স্থানীয় তৃণমূল নেতা-কর্মীরাই নেতৃত্ব দেন বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে। অন্য দিকে, সিডিপিও-র বিরুদ্ধেও বিক্ষোভকারী দুই মহিলাকে নিগ্রহের অভিযোগ দায়ের হয়েছে থানায়।
সিডিপিও বিশ্বনাথ সেন বলেন, “আমাকে ধাক্কাধাক্কি ও কটূক্তি করেন মহিলারা। অফিসে ঢুকতে দেননি। বিষয়টি মহকুমাশাসককে জানিয়েছি। থানাতেও অভিযোগ দায়ের করেছি।” মহকুমাশাসক অরিন্দম নিয়োগী জানিয়েছেন, আইন মেনে পরীক্ষা হয়েছে। প্রার্থীদের মনোনয়ন নিয়ে কোনও দুর্নীতি হয়নি।
বিক্ষোভকারীদের পক্ষে ভারতী সিংহ নামে এক মহিলা পুলিশের কাছে দায়ের করা অভিযোগে জানিয়েছেন, বিশ্বনাথবাবু দুই মহিলাকে ধাক্কা দিয়ে মাটিতে ফেলে দেন। এক জনকে চড় মারেন। বিশ্বনাথবাবু এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
পুলিশ জানায়, অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু হয়েছে। তবে, দলীয় নেতা-কর্মীদের ওই বিক্ষোভে নেতৃত্ব দেওয়ার কথা অস্বীকার করেছেন গোঘাটের তৃণমূল নেতা মনোরঞ্জন পাল। তিনি বলেন, “সহায়িকা পদের চাকরি থেকে অন্যায় ভাবে বঞ্চিত দুঃস্থ মহিলারা বিক্ষোভ দেখিয়েছেন। এই ঘটনার সঙ্গে দলের কোনও সম্পর্ক নেই। আমাদের নেতা-কর্মীরা বিক্ষোভ থামাতে গিয়েছিলেন।”
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১০ সালের ফেব্রুয়ারি মাসের গোড়ায় ব্লকের অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রগুলির সহায়িকার জন্য ফাঁকা পদগুলির পরীক্ষা ঘিরে অনিয়মের অভিযোগ ওঠায় তা বাতিল করা হয়। নতুন বিজ্ঞপ্তি জারি করে ফের পরীক্ষা নেওয়া হয় গত বছর ২২ জানুয়ারি। কিন্তু বিধানসভা নির্বাচন এসে যাওয়ায় নিয়োগ প্রক্রিয়া স্থগিত রাখা হয়। চলতি বছর ৪ জানুয়ারি তা ফের চালু হয়। সহায়িকা পদগুলির জন্য ৫৪ জন মহিলা মনোনীত হয়েছেন। তাঁদেরই নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হতেই এই বিক্ষোভ হল সোমবার। |
|
|
|
|
|