নিজস্ব সংবাদদাতা • সিউড়ি |
বিয়ে না করে যখন পড়ার আব্দার করেছিল তাঁর নাবালিকা ভাইঝি, তখন আর না করতে পারেননি শিবলাল মুর্মু। বিডিও-কে সঙ্গে নিয়ে সিউড়ি ১ ব্লকের নগরী গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল প্রধান শিবলালবাবু ভাইঝির বিয়ে রুখেছেন।
শিবলালবাবুর ভাইঝি দাতা মুর্মু স্থানীয় স্কুলের নবম শ্রেণির ছাত্রী। বাবা মারা গিয়েছেন কয়েক বছর আগে। মা লক্ষ্মী মুর্মু খেতমজুর। মা-মেয়ের দেখাশোনা করেন শিবলালবাবুর বাবা সীতারাম মুর্মু। নাতনি দাতার সঙ্গে পাশের গ্রামের বছর উনিশের এক যুবকের সঙ্গে বিয়ে ঠিক করেছিলেন সীতারামবাবু। সোমবার আদিবাসী প্রথা মেনে দাতাকে আশীর্বাদ করতে আসার কথা ছিল পাত্রপক্ষের। কিন্তু, আরও পড়শোনা করতে চাওয়া দাতা বিয়েতে বেঁকে বসে। এ দিন সকালেই কাকা শিবলালবাবুকে সে মনের কথা জানায়। কাকা ভাইঝির আবেদনে সাড়া না দিয়ে পারেননি।
বিডিও (সিউড়ি ১ ব্লক) বিনয় ঘোষচৌধুরীকে সব জানান তৃণমূলের উপপ্রধান। বিডিও ফোন করে দাতার দাদুকে পঞ্চায়েত কার্যালয়ে ডেকে পাঠিয়ে কিছুটা নরমেগরমে বোঝান। বলেন, জোর করে বিয়ে দিতে চাইলে তিনি পুলিশ নিয়ে হাজির হবেন। তাতেই কাজ হয়। বিয়ে আটকায় দাতার। শিবলালবাবুর কথায়, “ওই টুকু মেয়ের বিয়ে হলে তো ওর শরীর আর মনের উপরে চাপ পড়বে। তাতে ওরই ক্ষতি হবে।” আর দাতার ইচ্ছে, সে উচ্চশিক্ষিত হবে। ভবিষ্যতে নিজের পায়ে দাঁড়াবে। তবে অনটনের সংসারে পড়াশোনাও ঠিকমতো করা হয় না এই স্কুলছাত্রীর। সব শুনে বিডিও-র আশ্বাস, ওই মেয়েটিকে কোনও ভাবে সরকারি সাহায্য করা যায় কি না, তা তিনি দেখবেন। |