নিজস্ব সংবাদদাতা • রামপুরহাট |
অবশেষে ১৫ দিন বন্ধ থাকার পরে রামপুরহাট থানার শালবাদরা পাথর শিল্পাঞ্চলে শ্রমিক-মালিক বিরোধের জট কাটল। সোমবার রামপুরহাট মহকুমা প্রশাসনিক ভবনে অতিরিক্ত জেলাশাসক (সাধারণ) অমিতাভ সেনগুপ্তের উপস্থিতিতে জেলা আদিবাসী গাঁওতার নেতৃত্ব ও প্রতিনিধি দল এবং মালিক পক্ষের উপস্থিতিতে বৈঠক হয়।
বৈঠকের স্থায়িত্ব ছিল আড়াই ঘণ্টা। অমিতাভবাবু বলেন, “মজুরি বৃদ্ধি নিয়ে যে আন্দোলন চলছিল তাতে মালিক পক্ষ ও গাঁওতা নেতৃত্বের মধ্যে ফলপ্রসু আলোচনা হয়েছে। সিদ্ধান্ত হয়েছে, ১২০ টাকা করে সব স্তরের শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি দেওয়া হবে। এর পরে কাজের দক্ষতা অনুযায়ী মজুরি বাড়ানো হবে। এ ছাড়াও, পাথর শিল্পাঞ্চলের যৌথ কমিটি প্রশানকে নিয়ে বিভিন্ন বিষয়ের উপরে দু’মাস অন্তর বৈঠক করবে।” তিনি আরও বলেন, “পাথর শিল্পাঞ্চলে দূষণ নিয়ন্ত্রণ ও বৈধতা নিয়ে প্রশাসন সমস্ত কাগজপত্র খতিয়ে দেখছে। আশা করি কাল বুধবার থেকে পুরোদমে কাজ শুরু করার ইঙ্গিত পাওয়া গিয়েছে। কারণ, যত দিন পাথর শিল্পাঞ্চল বন্ধ থাকবে ততদিন সরকার আর্থিক দিক থেকে বঞ্চিত হবে ও শ্রমিকেরাও মজুরি পাবেন না।”
জেলা আদিবাসী গাঁওতার সম্পাদক রবীন সোরেন এবং আহ্বায়ক সুনীল সোরেন ছাড়াও যৌথ কমিটিতে থাকা শালবাদরা পাথর শিল্পাঞ্চলের আদিবাসী গাঁওতার ১২ জন সদস্য উপস্থিত ছিলেন। রবীন সোরেন ও সুনীল সোরেন বলেন, “কেবলমাত্র শালবাদরা পাথর শিল্পাঞ্চলের সুলুঙ্গা এলাকার শ্রমিকদের মজুরি বৃদ্ধি হয়েছিল। অন্য এলাকায় মজুরি বৃদ্ধির দাবিতে আমাদের সদস্যরা আন্দোলন চালাচ্ছিলেন। অবশেষে প্রশাসনিক বৈঠকে মালিক পক্ষ মজুরি বাড়ানোর দাবি মেনে নিয়েছেন। আমরা আলোচোনায় খুশি। এ ব্যাপারে কাল বুধবার শ্রমিকদের নিয়ে এলাকায় বৈঠক করে আজকের এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে দেব। সেখানে পাথর শিল্পাঞ্চল খোলার বিষয়ে আলোচনা হবে।” শালবাদরা স্টোন মাইন ওনার অ্যাসোসিয়েশেনের সভাপতি সিরাজ শেখ এবং মুখপাত্র মৈনুদ্দিন হোসেন বলেন, “প্রশাসনের ভূমিকায় আমরা খুশি। মজুরি বাড়ানো হবে। অন্য সমস্যাগুলি যৌথ কমিটিতেই আলোচনা করে সমাধান করব।” |