হিসেবে মেলানো কঠিন। আজ থেকে বারো-পনেরো বছর আগে যে জায়গাটা ছিল শাল গাছের গভীর অরণ্য, সেখানে আজ একটাও শালগাছ নেই। শুধু উত্তরের পুকুরে মাঝারি ধরনের একটি শিমুল গাছ ঠায় দাঁড়িয়ে। দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার একেবারে প্রান্ত সীমায় কুশমণ্ডি ব্লকের ২ নং করঞ্জি গ্রাম পঞ্চায়েতের উত্তরে প্রাচীন মান্ডাহার বনভূমি শূন্যতায় পরিণত হয়েছে। প্রায় ১০০ একরের শালবাগানে কোনও শালগাছের চিহ্ন নেই। টাঙন নদীর কয়েক কিলোমিটার পশ্চিমে উত্তর দিকে উত্তর দিনাজপুরের সীমানা ঘেঁষা এই শালবাগান এক সময় অরণ্যসম্পদে বিপুল ভাবে সমৃদ্ধ ছিল। শাল-সেগুনের সঙ্গে ভেষজ গাছ, বন্য পশুপাখির আস্তানা ছিল। |
মান্ডাহারের শালবাগানে গাছগাছালির চিহ্ন মাত্র নেই। |
কিন্তু কাঠ চোরাচালানকারীদের চক্রান্তে মান্ডাহারের বনভূমি আজ মরুভূমিতে পরিণত। শুধু শীতের মরসুমে সেখানে চলে কিছু চাষবাস। বনভূমির মাটি বিক্রি করে দেওয়া হয়। এমনকী পুকুরের মাটি তুলেও বিক্রি করে দেওয়া হচ্ছে। বনভূমির মাঝে তৈরি হয়েছে একটি খেলার মাঠ। যে মাঠে চলে ধান ঝাড়াই-মাড়াইয়ের কাজ। বছর কয়েক আগে পর্যন্ত এখানে পর্যটকদের ভিড় লেগেই থাকত। ধীরে ধীরে প্রশাসনের অবহেলায় এবং মানুষের লোভে শালবাগান শ্মশানের রূপ নেয়। এখান থেকে ৫০ কিলোমিটার দূরে রায়গঞ্জের বনদফতরের আধিকারিকরা এই ব্যাপারে উদাসীন। প্রাকৃতিক সম্পদ সুরক্ষার জন্য সংশ্লিষ্ট দফতরকে অনুরোধ জানাচ্ছি।
বিপ্লবকুমার রায়। মালিগাঁও, দক্ষিণ দিনাজপুর
|
ছোটবেলায় বাজারে গেলে প্রায় দেখতাম ছারপোকা মারার ওষুধ বিক্রি হচ্ছে। তখন প্রতিটি বাড়িতে ছারপোকার দারুণ উপদ্রব ছিল। ওষুধেও তেমন কাজ দিত না। ছারপোকার অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে শোওয়ার চৌকি ডোবার মধ্যে ডুবিয়ে রাখতে দেখেছি।
বহু চেষ্টার পর ছারপোকা এখন আর নেই বললেই চলে। অন্তত ওদের কথা আর শোনা যায় না। কিন্তু আশ্চর্যজনক ভাবে মশা বহাল তবিয়তেই রয়ে গিয়েছে। এই তুচ্ছ পতঙ্গকে নির্মূল করা যাচ্ছে না। মাঝে মাঝে এরা মারাত্মক অসুখ বাধিয়ে নিজেদের অস্তিত্ব জানান দেয়। গত অক্টোবর-নভেম্বরে ডুয়ার্সে ম্যালেরিয়া- চিকুনগুনিয়া ব্যাপক ভাবে ছড়িয়ে পড়েছিল। কয়েকটি স্থানে মহামারি আকারও ধারণ করেছিল।
মশার দমনে বাজারে অনেক কিছু পাওয়া যায়। কিন্তু সে সবও অনেক সময় কাজে আসে না। ছারপোকার মতো মশাকেও নাশ করা যাবে। দরকার আন্তরিক প্রচেষ্টা। বাড়ির আশেপাশের ছোটখাট গর্ত বুজিয়ে ফেলতে হবে। পুরনো হাঁড়ি, কলসি ও ডাবের খোলায় যাতে জল না জমে তা দেখতে হবে। আশেপাশের ঝোপঝাড় পরিষ্কার রাখতে হবে। সর্বোপরি সারা বছর মশারি ব্যবহার করতে হবে। ছারপোকা যদি বিলুপ্ত হতে পারে তবে তুচ্ছ পতঙ্গ মশা হবে না কেন? আমাদের আন্তরিক প্রচেষ্টাই পারে মশাকে নির্মূল করতে।
অশোক সূত্রধর। ফালাকাটা, জলপাইগুড়ি
|
গত ৮ মার্চ, ২০১২ নিউদিল্লি-শিয়ালদহ রাজধানী এক্সপ্রেসের থ্রি-টায়ারে (কোচ নং- বি-৩, বার্থ-৬০-৬৫) পরিবারের সঙ্গে কলকাতায় ফিরছিলাম। শারীরিক অসুস্থতার জন্য রাতে নিরামিষ খাবার দিতে বলি। কিন্তু খাবারের মান দেখে বিস্মিত হলাম। একটি প্লেটে অল্প ভাত, জলের মতো ডাল, ও পনিরের পাতলা ঝোল। যেখানে পনিরের বদলে কতগুলি মুলোর টুকরো দেখতে পাওয়া গেল। এই প্রসঙ্গে রাজধানীর নিয়মিত যাত্রীদের থেকে জানা গেল যে এই গুরুত্বপূর্ণ ট্রেনটিতে আমিষ খাবার ছাড়া অন্য কোনও খাবার নাকি মুখেই দেওয়া যায় না। অথচ এই ট্রেনের টিকিটের সঙ্গেই দিন ও রাতের খাবারের টাকা নিয়ে নেওয়া হয়। বিষয়টিতে যাত্রী থেকে শুরু করে রেলমন্ত্রকের কোনও ভ্রূক্ষেপই নেই। এই নিয়ে অভিযোগ কার কাছে জানাব তা-ও জানা গেল না।
রাজধানীর মতো গুরুত্বপূর্ণ ট্রেনে যদি এ ধরনের নিকৃষ্ট মানের খাবার সরবরাহ করা হয়ে থাকে তা হলে যাত্রী-স্বাচ্ছন্দ্য নিয়ে বারবার রেল বাজেটে রেলমন্ত্রীদের এত প্রতিশ্রুতি কেন? যার প্রতি রেলমন্ত্রকের কোনও দায়বদ্ধতা নেই , তা না বললেই চলে।
অরবিন্দ কুমার সেন। মহামায়াপাড়া, জলপাইগুড়ি
|
শিলিগুড়ি শহর সংলগ্ন ছোট-বড় সমস্ত ফাঁকা জায়গা ছেয়ে রয়েছে পার্থেনিয়াম গাছ। গাছটির রেণু বাতাসের সঙ্গে মিশে ত্বকের অসুখ তৈরি করে। সত্বর এই গাছগুলোকে সমূলে নির্মূল করার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে কর্তৃপক্ষের কাজে আবেদন জানাচ্ছি।
সুনীত সরকার। শান্তিনগর, শিলিগুড়ি
|
এই বিভাগে চিঠি পাঠান
সম্পূর্ণ নাম ও ঠিকানা উল্লেখ করে।
‘উত্তরের চিঠি’
এ বি পি প্রাঃ লিঃ,
১৩৬/৮৯ চার্চ রোড,
শিলিগুড়ি ৭৩৪৪০১ |
|