আমাদের চিঠি

অবহেলিত রবীন্দ্রনাথের স্মৃতি
ভুতুড়ে বাড়িতে পরিণত হয়েছে রবীন্দ্রনাথের স্মৃতি-বিজড়িত মাতৃসদন।
দেশ-বিদেশে রবীন্দ্র-স্মৃতি সংরক্ষণের জন্য নানা রকম প্রচেষ্টা চলছে। কিন্তু বাঁকুড়ায় দেখি উল্টো ব্যাপার। শহরের তামলিবাঁধ মোড় থেকে পাটপুরগামী রাস্তায় একটু হাঁটলেই দেখতে পাওয়া যায় মাতৃসদনের একটি অবহেলিত বাড়ি। এই ‘বাঁকুড়া নারী ও শিশুমঙ্গল সমিতি’র প্রসূতিভবনটির ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের জন্যই রবীন্দ্রনাথ ১৯৪০-এর মার্চ মাসে এখানে এসেছিলেন। ৩ মার্চ সকাল আটটায় কবি আসেন এবং ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করে বলেন, ‘এ কাজটি সম্পাদন করে সবচেয়ে বেশি আনন্দ পেলুম’। আজ সেই বাড়িটির জরাজীর্ণ অবস্থা। জানলা-দরজা চুরি হয়েছে, চুন-সুরকি খসে ইটের পাঁজর বের হয়ে ভুতুড়ে বাড়িতে পরিণত হয়েছে। বাড়িটি পাশের বস্তিবাসীদের শৌচাগার হিসেবে ব্যবহৃত হওয়ায় দুর্গন্ধে যাওয়া যায় না। বাঁকুড়া পৌরসভা ও জেলা প্রশাসনিক ভবনের নাকের ডগায় এমনই অবস্থায় পড়ে আছে রবীন্দ্রনাথের স্মৃতি বিজরিত এই বাড়ি। বাড়িটির প্রতি নজর দিতে ঊর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করছি।
রেলের দীর্ঘসূত্রিতা
আমি গত ১১/১০/ ০৮-এ রাজধানী এক্সপ্রেসের একটি টিকিট বাঁকুড়া বুকিং অফিস থেকে কিনি। পিএনআর নং-৬৪১৭৬৫৭৮০৫, মূল্য ৩,১১০ টাকা। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ওয়েটিং-এ থাকায় টিকিটটি বাঁকুড়া স্টেশনে বাতিল করে মূল্য ফেরত চাই। বলা হয়, নির্দিষ্ট ফর্ম পূরণ করে কলকাতায় মূল্য দাবি করতে। সেই মতো কাজ করলেও মূল্য ফেরত পাই না।
তিন বছর কেটে যাওয়ার পর ২৩/০৩/২০১১-এ চিঠি দিয়ে আমার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের বিবরণ জানতে চাওয়া হয়। আমি তৎক্ষণাৎ তা জানাই। কিন্তু আজ পর্যন্ত কোনও টাকা ফেরত পেলাম না। দঃ পূর্ব রেল কর্তৃপক্ষকে সুদ সহ মূল টাকা ফেরত দেওয়ার জন্য অনুরোধ জানাচ্ছি।
কর্মপ্রার্থী
আমি এক জন বেকার কর্মপ্রার্থী। পাবলিক সার্ভিস কমিশনের ২০০৯-এ গ্রুপ-ডি পরীক্ষার মাধ্যমে প্যানেল ভুক্ত হই (মেমো নং-এ-৭৯/পিএসসি(এ) তাং-৩০.০৫.১১) স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ দফতরে। এর পর কোনও খবর না পেয়ে কয়েক বার স্বাস্থ্য দফতরে খোঁজ নিয়েছি। কিন্তু প্রতি বারই জানানো হয় অর্থ মন্ত্রক অনুমতি দেয়নি, পরে খোঁজ নিন। আজ পর্যন্ত কিছুই হল না। চরম হতাশায় ভুগছি। বিষয়টি মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী তথা স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী যদি বিবেচনা করেন, তবে অসংখ্য বেকার যুবক-যুবতীরা উপকৃত হবেন।
বিদ্যুৎ বিপর্যয়
আসন্ন গ্রীষ্মে জোপলাই গ্রাম বিদ্যুৎ বিপর্যয়ের শিকার হতে পারে। একটি পুরনো ৩৩ কেভি ট্রান্সফর্মার থেকে প্রায় ৬০ টি পরিবারকে এবং দারিদ্র সীমার নীচে বসবাসকারী ২০-২৫টি পরিবারে বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়াও হুকিং, পাম্প সবই চলছে। মাঝে মধ্যেই বিভ্রাট ঘটিয়ে ট্রান্সফর্মার জানান দেয় তার পক্ষে অতিরিক্ত বোঝা টানা কঠিন হচ্ছে। অবিলম্বে একটি উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন ট্রান্সফর্মার বসানোর জন্য বিদ্যুৎ দফতরের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
লোডশেডিংয়ের রমরমা
গরম পড়তেই লোডশেডিং শুরু হয়েছে। এটি নিয়ন্ত্রণে নেই কোনও বাস্তব পরিকল্পনা। উচ্চবিত্তেরা ইনভার্টার ব্যবহার করে এই সমস্যা থেকে মুক্তি পান। কিন্তু সিংহভাগ মানুষই গরমের নরক যন্ত্রণা ভোগ করেন। যাঁদের ভোটে জিতে বিধায়ক-সংসদরা শীততাপ নিয়ন্ত্রিত ঘরে থাকেন এবং গাড়িতে চাপেন, সেই আম-জনতার কথা আর মাথায় থাকে না। সরকারি অফিস, আদালতের যথেচ্ছ বিদ্যুৎ অপচয় নিয়ন্ত্রণ করলে সমস্যার কিছুটা সুরাহা হয়। দিনের বেলায়ও রাস্তায় আলো জ্বলে। এ ভাবেও অবহেলায় বিদ্যুতের অপচয় হচ্ছে। সরকারকে অনুরোধ করি বিষয়টিতে নজর দেওয়ার জন্য। প্রত্যহ ব্যাপক হারে লোডশেডিং হতে থাকলে উন্নয়ন আটকে যাবে।
স্টেশনের অগ্নি-সুরক্ষা
‘আমাদের চিঠি’ বিভাগে প্ল্যাটফর্মে অগ্নিবিধি থাকবে না (০২/০১) শীর্যক চিঠিটি প্রকাশিত হওয়ার পর কৃষ্ণনগর স্টেশনের প্ল্যাটফর্ম ঘুরে দেখেছিলেন রেলকর্তারা। জেলা-প্রশাসনের একটি বৈঠকেও স্থির হয় যে স্টেশন চত্বরকে আগুন শূন্য করে ফেলতে হবে। একই সঙ্গে অভিযান শুরু করে দমকল বাহিনী। কিন্তু এক মাস কাটতে না কাটতেই ২-নং প্ল্যাটফর্মে কড়াই উল্টে গরম তেলে দগ্ধ হলেন কৃষ্ণনগর সরকারি কলেজের ছাত্রী রাইমা খাতুন। এখন প্ল্যাটফর্ম আবার যে কে সেই। চলছে গ্যাস, স্টোভ ও কয়লার উনুনের অবাধ ব্যবহার। রেল কর্তাদের কাছে অনুরোধ স্টেশন চত্বরকে অগ্নিমুক্ত করতে প্রয়োজনে আরও কঠোর ব্যবস্থা নিন।
এই বিভাগে চিঠি পাঠান সম্পূর্ণ নাম ও ঠিকানা উল্লেখ করে।
আমাদের চিঠি,
সম্পাদকীয় বিভাগ,
আনন্দবাজার পত্রিকা প্রাঃ লিঃ,
৬ প্রফুল্ল সরকার স্ট্রিট,
কলকাতা-৭০০০০১



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.