|
|
|
|
|
|
এক, দুই, তিন, চার |
ল’ |
অল ইন্ডিয়া ল এন্ট্রান্স টেস্ট (এআইএলইটি)
ন্যাশনাল ল ইউনিভার্সিটি, নয়াদিল্লি তাদের পাঁচ বছরের বি এ এল এল বি কোর্সে ভর্তির জন্য এই পরীক্ষা পরিচালনা করে। তবে স্নাতক কোর্সের সঙ্গে সঙ্গে এই পরীক্ষার মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানের এল এল এম এবং পিএইচ ডি কোর্সেও ভর্তি হওয়া যায়। সাধারণত মে মাসের প্রথম দিকে পরীক্ষাটি হয়।
যোগ্যতা: প্রার্থীকে উচ্চ মাধ্যমিক বা সমতুল পরীক্ষায় গড়ে কম পক্ষে ৫০ শতাংশ নম্বর সহ উত্তীর্ণ হতে হবে। যে বছর পরীক্ষা সেই বছর ১ জুলাই বয়স থাকতে হবে ২১ বছরের নীচে। তফসিলি জাতি ও জনজাতির ক্ষেত্রে এই বয়স ২৩ বছরের নীচে হওয়া চাই। |
|
পরীক্ষাটি নব্বই মিনিটের। প্রশ্ন থাকে ১৫০ টি। যে সব বিষয়ে প্রশ্ন আসে সেগুলি হল ১) ইংরেজি (৩৫টি প্রশ্ন), ২) জেনারেল নলেজ/ কারেন্ট অ্যাফেয়ার্স (৩৫টি প্রশ্ন), অঙ্ক (১০টি প্রশ্ন), লিগাল অ্যাপটিটিউড (৩৫টি প্রশ্ন) এবং লজিকাল রিজনিং (৩৫টি প্রশ্ন)।
ঠিকানা: ন্যাশনাল ল ইউনিভার্সিটি, সেক্টর ১৪, দ্বারকা, নয়াদিল্লি- ১১০০৭৮।
ফোন: ০১১-২৮০৩৪৯৯৩/ ২৮০৩৪২৫৭।
ওয়েবসাইট: http://nludelhi.ac.in/
কমন ল অ্যাডমিশন টেস্ট (ক্ল্যাট)
দেশের চোদ্দোটি জাতীয় আইন বিদ্যালয়/ বিশ্ববিদ্যালয়ে (এনএলএসআইইউ বেঙ্গালুরু, নালসার হায়দরাবাদ, এনএলআইইউ ভোপাল, ডব্লিউবিএনইউজেএস কলকাতা, এনএলইউ যোধপুর, এইচএনএলইউ রায়পুর, জিএনএলইউ গাঁধীনগর, আরএমএলএনএলইউ লখনউ, আরজিএনইউএল পাটিয়ালা, সিএনএলইউ পটনা, এনইউএএলএস কোচি, এনএলইউ ওড়িশা, এনইউএসআরএল রাঁচি এবং এনএলইউজেএ অসম) বিভিন্ন স্নাতক এবং স্নাতকোত্তর কোর্সে ভর্তির জন্য এই সর্বভারতীয় পরীক্ষা নেওয়া হয়। প্রতি বছর এই চোদ্দোটিরই কোনও একটি ইনস্টিটিউট ক্ল্যাট-এর পরিচালনা করে। ২০১২ সালে যেমন এটি পরিচালনা করছে এনএলইউ, যোধপুর। পরীক্ষাটি হয় সাধারণত মে মাসে।
যোগ্যতা: স্নাতক স্তরে ভর্তি হওয়ার ক্ষেত্রে দ্বাদশ শ্রেণি অথবা সমতুল স্তরে কমপক্ষে ৫০ শতাংশ পেতে হবে সাধারণ প্রার্থীদের। আর তফসিলি জাতি/ জনজাতির ক্ষেত্রে ৪৫ শতাংশ নম্বর থাকতে হবে। যে বছর পরীক্ষা, সেই বছর সাধারণ এবং অন্যান্য অনুন্নত শ্রেণির প্রার্থীদের ক্ষেত্রে বয়সসীমা থাকতে হবে ২০ বছরের মধ্যে। আর তফসিলি জাতি/ জনজাতির ক্ষেত্রে বয়স থাকতে হবে ২২
বছরের মধ্যে।
ক্ল্যাটে দুশোটি মাল্টিপল চয়েস প্রশ্ন থাকে। সময় দেওয়া হয় দু’ঘন্টা। প্রশ্ন আসে কম্প্রিহেনশন সহ ইংরেজি (৪০ নম্বর), জেনারেল নলেজ/ কারেন্ট অ্যাফেয়ার্স (৫০ নম্বর), প্রাথমিক স্তরের অঙ্ক (২০ নম্বর), লিগাল অ্যাপটিটিউড (৫০ নম্বর) এবং লজিকাল রিজনিং (৪০ নম্বর)।
ওয়েবসাইট: www.clat.ac.in
সিমবায়োসিস এন্ট্রান্স টেস্ট (সেট)
সিমবায়োসিস ল স্কুল সিম্বায়োসিস আন্তর্জাতিক বিশ্ববিদ্যালয়েরই একটি অংশ। সেট পরীক্ষার মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন ল কোর্স যেমন বিএ এলএলবি, বিবিএ এলএলবি-তে ভর্তি হতে পারে ছাত্রছাত্রীরা। অনলাইন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সেট-এর জন্য রেজিস্টার করতে হয়। পরীক্ষা হয় সাধারণত মে মাসে।
যোগ্যতা: সাধারণ প্রার্থীদের কম পক্ষে ৫০ শতাংশ নম্বর (তফসিলি জাতি ও জনজাতির ক্ষেত্রে ৪৫ শতাংশ) পেয়ে দ্বাদশ শ্রেণি উত্তীর্ণ হতে হবে প্রথম প্রচেষ্টাতেই। সাধারণ প্রার্থীর বয়স কুড়ি বছরের বেশি হলে চলবে না।
প্রবেশিকা পরীক্ষাটিতে মোট সময় থাকে আড়াই ঘন্টা। দেড়শোটি অবজেকটিভ ধরনের প্রশ্ন থাকে পাঁচটি বিভাগ মিলিয়ে। বিভাগগুলি হল লজিকাল রিজনিং, লিগাল রিজনিং, অ্যানালিটিক্যাল রিজনিং, জেনারেল নলেজ এবং রিডিং কমপ্রিহেনশন। প্রত্যেকটি বিভাগেই তিরিশটি করে প্রশ্ন থাকে। এই পরীক্ষায় কোনও নেগেটিভ মার্কিং থাকে না।
প্রার্থীদের সেট পরীক্ষার নম্বরের ভিত্তিতে গ্রুপ ডিসকাশন এবং পার্সোনাল ইন্টারভিউ-এর জন্য ডাকা হয়। ফাইনাল লিস্ট লিখিত পরীক্ষা এবং জি ডি-পি আই মিলিয়ে তৈরি করা হয়।
ঠিকানা: সিমবায়োসিস ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, সিমবায়োসিস টেস্ট সেক্রেটারিয়েট,
গ্রাম: লাভালে
তাল: মূলসি
জেলা: পুণে-৪১২১১৫, মহারাষ্ট্র।
ফোন: ০২০-৩৯১১৬২২৬-২৭।
ওয়েবসাইট: http://www.set-test.org/ |
ইঞ্জিনিয়ারিং |
|
অল ইন্ডিয়া ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ট্রান্স এগজামিনেশন (এ আই ই ই ই)
দেশের বিভিন্ন জাতীয় এবং রাজ্য স্তরের টেকনলজিক্যাল প্রতিষ্ঠানে (প্রযুক্তির বিভিন্ন জাতীয় প্রতিষ্ঠান, আইআইটি, বিশ্ববিদ্যালয়, টেকনিক্যাল ইনস্টিটিউট ইত্যাদি) যারা বি ই বা বি টেক পড়তে আগ্রহী, তারা এই পরীক্ষা দিতে পারে। পরীক্ষাটি নেয় সেন্ট্রাল বোর্ড অব সেকেন্ডারি এডুকেশন (সিবিএসই)।
যোগ্যতা: এই পরীক্ষায় বসতে ৫০ শতাংশ নম্বর সহ দ্বাদশ শ্রেণি উত্তীর্ণ হতে হবে।
এখানে ফিজিক্স, কেমিস্ট্রি এবং অঙ্কে অবজেকটিভ ধরনের পরীক্ষা হয়। সময় থাকে তিন ঘন্টা। পরীক্ষায় নেগেটিভ মার্কিং আছে।
ঠিকানা: সেন্ট্রাল বোর্ড অব সেকেন্ডারি এডুকেশন, পি এস ১-২, ইনস্টিটিউশনাল এরিয়া, আই পি এক্সটেনশন, পতপারগঞ্জ, দিল্লি- ১১০০৯২। ফোন: ০১১-২২২৩৯১৭৭-৮০ (এক্সটেনশন ১১০,১৫১, ১৫৭), ০১১-২২২৪৬০৯৫।
ওয়েবসাইট: www.aieee.nic.in |
অল ইন্ডিয়া অ্যাডমিশন টেস্ট (আইস্যাট)
ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব স্পেস সায়েন্স অ্যান্ড টেকনলজিতে তিনটি বিষয়ে চার বছরের বি টেক প্রোগ্রাম পড়ানো হয়। বিষয়গুলি হল, এয়ারোস্পেস ইঞ্জিনিয়ারিং, এভিয়নিক্স এবং ফিজিক্যাল সায়েন্সেস। এই কোর্সগুলিতে ভর্তি হতে সর্বভারতীয় আইস্যাট পরীক্ষা দিতে হয়। প্রার্থীরা শুধু অনলাইন প্রক্রিয়ার মাধ্যমেই আবেদন করতে পারবে।
যোগ্যতা: প্রার্থীকে ভারতের নাগরিক হতে হবে। যারা সাধারণ এবং অন্যান্য অনুন্নত শ্রেণির তাদের দশম শ্রেণির পরীক্ষায় কমপক্ষে গড়ে ৭০ শতাংশ নম্বর পেতে হবে। তফসিলি জাতি বা জনজাতি এবং প্রতিবন্ধী প্রার্থীদের সেখানে ৬০ শতাংশ নম্বর পেতে হবে। আর দ্বাদশ শ্রেণিতে সাধারণ এবং অন্যান্য অনুন্নত শ্রেণির প্রার্থীদের ফিজিক্স, কেমিস্ট্রি এবং অঙ্ক মিলিয়ে গড়ে কম পক্ষে ৭০ শতাংশ নম্বর পেতেই হবে। তবে তফসিলি জাতি বা জনজাতি এবং প্রতিবন্ধী প্রার্থীদের সেখানে গড়ে কম পক্ষে ৬০ শতাংশ নম্বর পেতে হবে।
পরীক্ষায় প্রশ্ন থাকে অবজেকটিভ ধরনের। প্রশ্ন থাকে ফিজিক্স, কেমিস্ট্রি এবং অঙ্কের ওপর।
ঠিকানা: ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব স্পেস সায়েন্স অ্যান্ড টেকনলজি, ভালিয়ামালা পিও, তিরুঅনন্তপুরম- ৬৯৫৫৪৭, কেরল।
ফোন: ০৪৭১-২৫৬৮৪৭৭/ ২৫৬৮৪৭৮/ ২৫৬৮৪৭৯।
ওয়েবসাইট: www.iist.ac.in |
ইউপিইএস ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যাপটিটিউড টেস্ট (ইউপিইসিট)
ইউপিইসিট পরীক্ষাটি পরিচালনা করে ইউনিভার্সিটি অব পেট্রোলিয়াম অ্যান্ড এনার্জি স্টাডিজ, দেরাদুন। তেল এবং গ্যাস, শক্তি, পরিবহন, তথ্য প্রযুক্তি, ইলেকট্রনিক্স এবং পরিকাঠামোর অন্তর্গত বিভিন্ন বিষয় নিয়ে এখানে বি টেক করা যায়। যেমন, পরিকাঠামোর ক্ষেত্রে এখানে ইনফ্রাস্ট্রাকচার ইঞ্জিনিয়ারিং, ফায়ার অ্যান্ড সেফটি ইঞ্জিনিয়ারিং এবং ন্যানোটেকনলজিতে স্পেশালাইজেশন সহ মেটিরিয়াল সায়েন্স ইঞ্জিনিয়ারিং-এ বি টেক করা যায়।
যোগ্যতা: কম পক্ষে ৬০ শতাংশ নম্বর থাকতে হবে হায়ার এবং সিনিয়র সেকেন্ডারি স্তরে। এ ছাড়া ফিজিক্স, কেমিস্ট্রি এবং অঙ্কে আলাদ করে প্রত্যেকটিতে ৬০ শতাংশ নম্বর
থাকতে হবে।
ঠিকানা: ইউনিভার্সিটি অব পেট্রোলিয়াম অ্যান্ড এনার্জি স্টাডিজ, বিধোলি ক্যাম্পাস অফিস এনার্জি একার্স, পিও বিধোলি ভায়া প্রেম নগর, দেরাদুন- ২৪৮০০৭।
ওয়েবসাইট: www.upes.ac.in |
ডাক্তারি |
|
অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অব মেডিক্যাল সায়েন্সেস (এআইআইএমএস এমবিবিএস)
সংসদের আইন অনুসারে অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অব মেডিক্যাল সায়েন্সেস হল একটি জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান। প্রায় লাখখানেক ছেলেমেয়ে প্রতি বছর পরীক্ষা দেয় এই প্রতিষ্ঠানের এমবিবিএস কোর্সে ভর্তির জন্য। আসন সংখ্যা ৫০। এর মধ্যে সাতটি আসন তফসিলি জাতির প্রার্থী, ৪টি আসন তফসিলি জনজাতি এবং ৫টি বিদেশি প্রার্থীদের জন্য সংরক্ষিত আছে। বাকি ৩৪ আসন রয়েছে সাধারণ প্রার্থীদের জন্য।
যোগ্যতা: প্রার্থীকে দ্বাদশ অথবা সমতুল পরীক্ষায় পাশ করতে হবে। সেই সঙ্গে ফিজিক্স, কেমিস্ট্রি (অর্গ্যানিক এবং ইনঅর্গ্যানিক), বায়োলজি (বটানি এবং জুঅলজি) এবং ইংরেজিতে কমপক্ষে গড়ে ৬০ শতাংশ নম্বর থাকতে হবে।
এটি পেপার ভিত্তিক পরীক্ষা। ২০০টি অবজেকটিভ ধরনের প্রশ্ন (মাল্টিপল চয়েস এবং রিজনিং-অ্যাসার্শন ধরনের) থাকে। বিষয় ফিজিক্স (৬০ নম্বর), কেমিস্ট্রি (৬০ নম্বর), বায়োলজি (৬০ নম্বর) আর জেনারেল নলেজ (২০ নম্বর)। অর্থাৎ মোট ২০০ নম্বরের পরীক্ষা। এখানে নেগেটিভ মার্কিং থাকে।
ফোন: ৯১-১১-২৬৫৮৮৫০০/ ২৬৫৮৮৭০০/ ২৬৫৮৯৯০০।
ওয়েবসাইট: www.aiims.edu. |
বিএইচইউ অল ইন্ডিয়া পিএমটি
বেনারাস হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয়ে মেডিসিনের বিভিন্ন ব্যাচেলর কোর্সে ভর্তির জন্য একটি সর্বভারতীয় প্রবেশিকা পরীক্ষা (সর্বভারতীয় প্রি মেডিক্যাল টেস্ট) হয়। কোর্সগুলির মধ্যে রয়েছে এম বি বি এস, বি ডি এস, বি এ এম এস এবং বি ফার্মা। বিভিন্ন ক্ষেত্রে আসন সংখ্যা: এমবিবিএস-এ ৮৪টি, বিডিএস-এ ৩৮টি, বিএএমএস-এ ৫০টি এবং বি ফার্মায় ৩৩টি আসন রয়েছে।
যোগ্যতা: প্রার্থীকে দ্বাদশ শ্রেণি পাশ করতে হবে। এমবিবিএস/ বিডিএস/ বিএএমএস-এর ক্ষেত্রে সাধারণ প্রার্থীকে ইংরেজি, ফিজিক্স, কেমিস্ট্রি এবং বায়োলজি মিলিয়ে কম পক্ষে ৫০ শতাংশ নম্বর পেতে হবে। এবং বি ফার্মা-র ক্ষেত্রে সাধারণ এবং অন্যান্য অনুন্নত শ্রেণির প্রার্থীদের কম পক্ষে ৬০ শতাংশ নম্বর থাকতে হবে।
এম বি বি এস-এর ক্ষেত্রে এই প্রবেশিকা পরীক্ষায় দুটি ভাগ থাকে এক, পিএমটি স্ক্রিনিং এবং দুই, পিএমটি মেনস্। তবে, ব্যাচেলর অব ডেন্টাল সার্জারি (বিডিএস), বি ফার্মা এবং ব্যাচেলর অব আয়ুর্বেদ, মেডিসিন এবং সার্জারি (বিএএমএস) কোর্সগুলির ক্ষেত্রে শুধু পিএমটি স্ক্রিনিং টেস্টই দিতে হবে। স্ক্রিনিং টেস্টে অবজেকটিভ ধরনের প্রশ্ন থাকে ফিজিক্স, কেমিস্ট্রি, বটানি এবং জুঅলজি থেকে। আর মেনস্ পরীক্ষাটি হল রচনাভিত্তিক পরীক্ষা।
ঠিকানা: ইনস্টিটিউট অব মেডিক্যাল সায়েন্সেস, বেনারস হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয়, বেনারস-২২১০০৫।
ওয়েবসাইট: www.imsbhu.nic.in |
কৃষ্ণ অল ইন্ডিয়া এন্ট্রান্স টেস্ট (কেএআইইটি)
কৃষ্ণ ইনস্টিটিউট অব মেডিক্যাল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্গত বেশ কয়েকটি কলেজ রয়েছে। এই সব কলেজে মেডিক্যাল, ডেন্টাল, ফিজিয়োথেরাপি, নার্সিং এবং বায়োটেকনলজির মতো নানান বিষয় পড়ানো হয়। এর মেডিক্যাল কলেজটি মালয়েশিয়ান মেডিক্যাল কাউন্সিল দ্বারাও গণ্য। প্রতি বছর বিশ্ববিদ্যালয়টি একটি সর্বভারতীয় পরীক্ষা (কেএআইইটি) পরিচালনা করে বিভিন্ন কোর্স ছাত্রছাত্রীদের ভর্তির জন্য। সাধারণত মে মাসে পরীক্ষা হয়।
যোগ্যতা: সাধারণ প্রার্থীদের উচ্চ মাধ্যমিক বা সমতুল স্তরে ফিজিক্স, কেমিস্ট্রি এবং অঙ্ক মিলিয়ে কম পক্ষে ৫০ শতাংশ নম্বর পেতে হবে। আর অনুন্নত শ্রেণির প্রার্থীদের ক্ষেত্রে ফিজিক্স, কেমিস্ট্রি এবং অঙ্ক মিলিয়ে কম পক্ষে ৪০ শতাংশ নম্বর পেতে হবে।
প্রবেশিকা পরীক্ষা একটাই কমন পেপার থাকে। প্রশ্ন থাকে ফিজিক্স, কেমিস্ট্রি এবং বায়োলজি (বটানি এবং জুঅলজি) থেকে। ফিজিক্স ও কেমিস্ট্রি ৫০টি করে এবং বায়োলজিতে ১০০টি প্রশ্ন থাকে। এখানে প্রশ্ন বাছার কোনও সুযোগ নেই। প্রার্থীকে ২০০টি প্রশ্নই উত্তর করতে দেওয়া হয়। প্রত্যেক প্রশ্নের জন্য এক নম্বর থাকে। তবে ভুল হলে এখানে কোনও নেগেটিভ মার্কিং-এর নিয়ম নেই। মোট সময় থাকে তিন ঘন্টা।
ঠিকানা: কৃষ্ণ ইনস্টিটিউট অব মেডিক্যাল সায়েন্সেস ইউনিভার্সিটি, মালকাপুর, কারাদ (সাতারা জেলা) ৪১৫১১০, মহারাষ্ট্র।
ফোন: (০২১৬৪) ২৪১৫৫৫/৬/৭/৮।
ওয়েবসাইট: http://www.kimsuniversity.in/ |
সিএমসি ভেলোর কমন এন্ট্রান্স টেস্ট
প্রতিষ্ঠানে স্নাতক স্তরে মেডিক্যাল এবং প্যারামেডিক্যাল কোর্সে ভর্তির জন্য প্রতি বছর একটি সর্বভারতীয় প্রবেশিকা পরীক্ষা নেয় ক্রিশ্চান মেডিক্যাল কলেজ, ভেলোর। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি তামিলনাড়ুর ড. এমজিআর মেডিক্যাল ইউনিভার্সিটি, চেন্নাই-এর সঙ্গে যুক্ত। এখানকার এম বি বি এস কোর্সের জন্য আসন সংখ্যা ৬০।
যোগ্যতা: ফিজিক্স কেমিস্ট্রি ও বায়োলজি সহ দ্বাদশ শ্রেণিতে কম পক্ষে গড়ে ৬০ শতাংশ নম্বর পেয়ে উত্তীর্ণ।
প্রবেশিকা পরীক্ষায় ফিজিক্স, কেমিস্ট্রি বায়োলজি ছাড়াও জেনারেল এবিলিটি এবং কারেন্ট অ্যাফেয়ার্স ((কিছু প্রশ্ন) থেকেও প্রশ্ন আসে।
ঠিকানা: ক্রিশ্চান মেডিক্যাল কলেজ, ভেলোর- ৬৩২০০৪।
ফোন: ০৪১৬-২২৮২০১০, ৩০৭২০১০।
ওয়েবসাইট: http://www.cmch-vellore.edu |
ডিজাইন |
|
ন্যাশনাল এন্ট্রান্স এগজামিনেশন ফর ডিজাইন (এনইইডি)
ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ডিজাইন, আমদাবাদ-এ স্নাতক এবং স্নাতকোত্তর স্তরে ডিজাইন-এর পেশাদারি কোর্স করায়। এদের স্নাতক কোর্সটি হল গ্র্যাজুয়েট ডিপ্লোমা প্রোগ্রাম ইন ডিজাইন (জিডিপিডি)। চার বছরের এই স্নাতক প্রোগ্রামটি তিনটি ক্ষেত্রে দেওয়া হয় ১) ইন্ডাসট্রিয়াল ডিজাইন (এর মধ্যে পড়ে প্রোডাক্ট ডিজাইন, ফার্নিচার অ্যান্ড ইন্টিরিয়র ডিজাইন, সেরামিক এবং গ্লাস ডিজাইন); ২) কমিউনিকেশন ডিজাইন (যার মধ্যে রয়েছে গ্রাফিক ডিজাইন, অ্যানিমেশন ফিল্ম ডিজাইন, ফিল্ম অ্যান্ড ভিডিয়ো কমিউনিকেশন, এগজিবিশন (স্পেশিয়াল) ডিজাইন) আর ৩) টেক্সটাইল, অ্যাপারেল এবং লাইফ স্টাইল অ্যাকসেসরি ডিজাইন (যার মধ্যে পড়ে টেক্সটাইল ডিজাইন)। আনুমানিক ১০০টি আসন রয়েছে।
যোগ্যতা: উচ্চ মাধ্যমিক বা সমতুল পরীক্ষা (যেমন, আইসিএসই/ আইবি/ এআইএসএসসিই) উত্তীর্ণ। এই পরীক্ষার ক্ষেত্রে প্রার্থীর বয়স ২০ বছরের মধ্যে থাকতে হবে। ছেলেমেয়েদের প্রবেশিকা পরীক্ষা দিয়ে ভর্তি হতে হয়।
ঠিকানা: ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ডিজাইন, পালদি, আমদাবাদ- ৩৮০০০৭।
ফোন: +৯১ ৭৯ ২৬৬২৩৬৯২।
ওয়েবসাইট: http://www.nid.edu/ |
ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ফ্যাশন টেকনলজি এন্ট্রান্স পরীক্ষা
ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ফ্যাশন টেকনলজিতে ডিজাইন এবং ফ্যাশন সংক্রান্ত নানা ধরনের স্নাতক এবং স্নাতকোত্তর কোর্স পড়ানো হয়। এই সব কোর্সে ভর্তি হতে ছাত্রদের প্রতিষ্ঠান পরিচালিত প্রবেশিকা পরীক্ষা দিতে হয়। এখানে ব্যাচেলর অব ডিজাইন কোর্স করা যায় ফ্যাশন ডিজাইন, লেদার ডিজাইন, অ্যাক্সেসরি ডিজাইন, টেক্সটাইল ডিজাইন, নিটওয়্যার ডিজাইন এবং ফ্যাশন কমিউনিকেশন। সাধারণত পরীক্ষা হয় ফেব্রুয়ারি মাসে।
যোগ্যতা: প্রার্থীকে কোনও পাবলিক স্কুল/ বোর্ড থেকে উচ্চ মাধ্যমিক বা সমতুল পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবে।
ডিজাইন-এর ব্যাচেলর ডিগ্রি প্রোগ্রামের প্রবেশিকা পরীক্ষায় ৪০ শতাংশ জেনারেল এবিলিটি টেস্ট (জিএটি), ৪০ শতাংশ ক্রিয়েটিভ এবিলিটি টেস্ট (সিএটি) আর ২০ শতাংশ সিচুয়েশন টেস্ট-এর ওপর পরীক্ষা হয়। এই পরীক্ষায় কিন্তু নেগেটিভ মার্কিং থাকে।
ঠিকানা: ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ফ্যাশন টেকনলজি, নিফট ক্যাম্পাস, প্লট- থ্রি বি, ব্লক এল এ, ১৬ নম্বর জলের ট্যাঙ্কের কাছে, সেক্টর থ্রি, সল্টলেক সিটি, কলকাতা- ৭০০০৯৮।
ফোন: ২৩৩৫৮৮৭২/ ২৮৯০/ ৮৩৪৮।
ওয়েবসাইট: http://www.nift.ac.in |
অল ইন্ডিয়া এন্ট্রান্স এগজামিনেশন ফর ডিজাইন (এআইইইডি)
আর্চ অ্যাকাডেমি অব ডিজাইন তাদের ডিজাইনের স্নাতক এবং স্নাতকোত্তর কোর্সে ভর্তির জন্য একটি সর্বভারতীয় পরীক্ষার (এআইইইডি) আয়োজন করে। এদের ফ্যাশন ডিজাইন অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট-এর স্নাতক স্তরের কোর্সটি চার বছরের। এ ছাড়া এখানে ফ্যাশন ডিজাইন-এ ল্যাটরাল এন্ট্রি এবং পার্ট টাইম ডিগ্রি প্রোগ্রামও পড়ানো হয়। মেয়াদ তিন বছর।
যোগ্যতা: স্নাতক স্তরের ক্ষেত্রে উচ্চ মাধ্যমিক বা সমতুল পরীক্ষায় (যেমন, সিবিএসই/ আইসিএসই/ আইবি/ স্টেট বোর্ড) উত্তীর্ণ হতে হবে।
পরীক্ষাটি অনলাইন প্রক্রিয়া এবং পেপার বেসড দু’ভাবেই নেওয়া হয়।
ঠিকানা: আর্চ অ্যাকাডেমি অব ডিজাইন, প্লট নম্বর ৯, গোবিন্দ মার্গ, মালভিয় নগর ইনস্টিটিউশনাল এরিয়া, মালভিয় নগর, জয়পুর- ৩০২০১৭।
ফোন: + ৯১ -১৪১-৪০৬০৫০০/০২/ ০৩।
ওয়েবসাইট: http://www.aieed.com/ |
|
|
|
|
|