টুকরো খবর
চলে গেলেন সালভে
চলে গেলেন প্রাক্তন বোর্ড প্রেসিডেন্ট ও কেন্দ্রীয় মন্ত্রী এন কে পি সালভে। বার্ধক্যজনিত কারণেই তাঁর মৃত্যু হয়। বয়স হয়েছিল ৯০। কয়েকদিন আগে তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। তাঁর মরদেহ নাগপুরে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে, সেখানেই তাঁর শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে। রেখে গিয়েছেন পুত্র নামী আইনজীবি হরিশ সালভে ও কন্যা অরুন্ধতীকে। দুঁদে কংগ্রেসি রাজনীতিবিদ ও ক্রিকেট প্রশাসক হিসেবে দেশ জোড়া পরিচিতি ছিল প্রয়াত সালভের। মধ্যপ্রদেশের ছিদওয়ারায় জন্ম, দীর্ঘদিন ক্রিকেট প্রশাসনে যুক্ত ছিলেন। তাঁর সময়ে ১৯৮৩ সালে ভারত প্রথম বিশ্বকাপ জেতে। ১৯৮৭-তে ক্রিকেট বিশ্বকাপ উপমহাদেশে আয়োজন করার পিছনে তাঁর গুরুত্বপূর্ণ এবং সক্রিয় ভূমিকা ছিল। সেবারই প্রথম ক্রিকেট বিশ্বকাপ ইংল্যান্ডের বাইরে কোথাও আয়োজিত হয়। ঘরোয়া ক্রিকেটে চ্যালেঞ্জার ট্রফি তাঁর নামে হয়ে থাকে। মহারাষ্ট্র থেকে আলাদা করে বিদর্ভ ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন গড়ার পিছনে তিনিই ছিলেন কান্ডারি। বিদর্ভ ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট ছিলেন দীর্ঘদিন, তার পরে বোর্ড প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব নেন। যে সময়টা সালভে বোর্ড প্রেসিডেন্ট ছিলেন, তখন ভারতীয় ক্রিকেটে দুই মহাতারকা গাওস্কর ও কপিলের ইগোর লড়াই তুঙ্গে ছিল। মূলত সালভের জন্যই তা কখনও মাত্রা ছাড়ায়নি। ভারতীয় ক্রিকেটে তাঁর অবদানের কথা স্মরণ করে আজ বিবৃতি দিয়েছেন বোর্ড প্রেসিডেন্ট শ্রীনিবাসন। বলেছেন, “বোর্ডের প্রেসিডেন্ট হিসেবে তাঁর অবদান কখনওই ভোলা যাবে না। তাঁর সময়েই ভারত প্রথম বিশ্বকাপ জিতেছিল। তাঁর জন্যই ভারত পাকিস্তান যুগ্ম ভাবে ৮৭-র বিশ্বকাপ আয়োজন করতে পেরেছিল।”

লিয়েন্ডারের হাফসেঞ্চুরি
তেন্ডুলকরের শততম সেঞ্চুরির মহাকীর্তির কয়েক দিনের মধ্যেই আরও একটা ভারতীয় মহাকীর্তি হয়ে গেল টেনিস কোর্টে। করলেন লিয়েন্ডার পেজ। মিয়ামি মাস্টার্সে ৫০তম ডাবলস খেতাব জিতে।“দুর্দান্ত অনুভূতি! ভীষণ, ভীষণ স্পেশাল! পঞ্চাশটা টুর্নামেন্ট- সহজ কথা নয়, কী বলেন? ছ’শোটা ম্যাচ জেতার জন্য কিছু পরিশ্রম তো করতেই হয়েছে!” জেতার পর বলেন উচ্ছ্বসিত লিয়েন্ডার। এটিপি ট্যুরের ইতিহাসে লিয়েন্ডারের আগে ডাবলসে পঞ্চাশটি খেতাব জেতার কৃতিত্ব রয়েছে আরও চব্বিশ জনের। মিয়ামি মাস্টার্সে এই নিয়ে টানা তিন বছর ডাবলসের ট্রফি জিতলেন লিয়েন্ডার। এ বারের জয় রাদেক স্তেপানেককে সঙ্গে নিয়ে। মির্নি-নেস্টর আগের বছরের মতো এ বারও রানার্স। এ দিন ফাইনালে দ্বিতীয় বাছাই ম্যাক্স মির্নি-ড্যানিয়েল নেস্টর জুটির বিরুদ্ধে সপ্তম বাছাই পেজ-স্তেপানেক প্রথম সেট হেরেছিল ৩-৬। কিন্তু পরের সেটেই দুর্দান্ত ভাবে ঘুরে দাঁড়িয়ে লিয়েন্ডাররা সেট জেতেন ৬-১। আর তৃতীয় সেট ১০-৮ জিতে কোর্টের মধ্যেই একে অপরকে জড়িয়ে ধরে জয়ের নাচ শুরু হয়ে যায় পেজ-স্তেপানেকের। পরে লিয়েন্ডার বলেন, “দ্বিতীয় সেটে রাদেক এসে সার্ভিস রিটার্ন নিয়ে কয়েকটা পরামর্শ দিতেই ছন্দটা বদলে গেল।” বাকি ৪৯ খেতাবের অন্যান্য সঙ্গীদের ধন্যবাদ দিয়ে লিয়েন্ডার বলেছেন, “আমার এত দিনের সাফল্যের জন্য সবাইকে ধন্যবাদ। ওরা না থাকলে এ জিনিস হত না। তবে সবচেয়ে বড় ধন্যবাদ স্তেপানেকের প্রাপ্য।”

পারিবারিক কারণে আটকে আক্রম, অনিশ্চিত হাডিন
কলকাতা নাইট রাইডার্সের বোলিং পরামর্শদাতা কোথায়? সপ্তাহখানেকে র ওপর হয়ে গেল কেকেআর-এর শিবির চলছে। কিন্তু ওয়াসিম আক্রম এখনও যোগ দেননি। অথচ প্রত্যেক বারের নিয়ম হচ্ছে, ক্যাম্পের একেবারে শুরু থেকে আক্রম থাকবেন। এ বারে তাই এত দিন হয়ে যাওয়ার পরেও তাঁকে দেখতে না পাওয়ায় রীতিমতো বিস্ময় তৈরি হয়েছে। এ দিন নাইট রাইডার্স সূত্রে অবশ্য জানা গেল, পারিবারিক কারণে আটকে গিয়েছেন আক্রম। শোনা যাচ্ছে তাঁর মায়ের অসুস্থতা নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়ায় আসতে দেরি হচ্ছে। স্ত্রী মারা যাওয়ার পর সন্তানদের দায়িত্বও তাঁকে একলাই সামলাতে হচ্ছিল। পারিবারিক সঙ্কট কাটলে দু’এক দিনের মধ্যে তিনি এসে পড়তে পারেন বলে খবর। এ দিন কোনও কোনও কেকেআর কর্তা দাবি করলেন, আক্রম সোমবারেই কলকাতা এসে পড়তে পারেন। আক্রমের আসার খবর থাকলেও অস্ট্রেলীয় উইকেটকিপার ব্র্যাড হাডিনের টিমের সঙ্গে যোগ দেওয়ার কোনও খবর নেই। গ্রেম স্মিথ যেমন পুণে ওয়ারিয়র্স থেকে ছিটকে গেলেন চোটের জন্য তেমনই খবর হচ্ছে, হাডিনের আইপিএল খেলাও আর হচ্ছে না এই মরসুমে। প্রথমে শোনা যাচ্ছিল চোটের জন্য তিনি অনিশ্চিত। এখন চোট সেরে গেলেও পারিবারিক জটিলতার কারণ রয়েছে বলে শোনা যাচ্ছে। হাডিনকে নিয়ে যে সমস্যা হতে পারে সেটা আগে থেকেই আঁচ করেছিলেন কেকেআর কর্তারা। যার জন্য তাঁরা ব্রেন্ডন ম্যাকালামের জন্য ঝাঁপিয়েছিলেন নিলামে।

লক্ষ্য থেকে দূরে সরছে মহমেডান
রবিবার গ্যাংটকে কালীঘাট মিলন সঙ্ঘের সঙ্গে গোলশূন্য ড্র করে তিন নম্বরেই রইল মহমেডান। তাদের পয়েন্ট আট ম্যাচে ১৩। ভাইচুং ভুটিয়ার ইউনাইটেড সিকিম একই পয়েন্টে আছে সাত ম্যাচ খেলে। এ দিকে সিকিমকে হারানোর পর এ দিন আইজল এফসিকেও ২-০ হারিয়ে এক নম্বরে উঠে এল রয়্যাল ওয়াহিংডো। তাদের পয়েন্ট আট ম্যাচে ১৬। দুইয়ে ওএনজিসি সাত ম্যাচে ১৪ পয়েন্টে।

অলিম্পিকে গীতা
অলিম্পিকে নামার যোগ্যতা অর্জন করে নিলেন ভারতের মহিলা কুস্তিগির গীতা। কাজাখাস্তানের আস্তানায় এশীয় কোয়ালিফাইং টুর্নামেন্টের ৫৫ কিলোগ্রাম বিভাগের কোরীয় প্রতিদ্বন্দ্বীকে হারিয়ে সোনা জেতেন তিনি। তাতেই লন্ডন গেমসের দরজা খুলে গেল গীতার জন্য। এই টুর্নামেন্টের সোনা এবং রুপো জয়ী লন্ডনে গেমসে নামতে পারবেন। ২০০৪-এ মেয়েদের কুস্তি অলিম্পিকের অন্তর্গত হওয়ার পরে গীতাই প্রথম ভারতীয় মেয়ে যিনি অলিম্পিকের যোগ্যতা পেলেন।

দাবায় চ্যাম্পিয়ন
রাজ্য দাবা প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হল খড়্গপুরের মেয়ে অয়ন্তিকা দাস। রেলশহরের পুরাতনবাজারের বাসিন্দা অয়ন্তিকা অনূর্ধ্ব ৭ বছর বিভাগে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। ২৩-২৫ মার্চ কলকাতার কাঁকুড়গাছিতে এই প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছিল। অয়ন্তিকা সাউথ সাইড মডেল স্কুলে দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্রী। ১৫-২৪ জুলাই পুদুচেরিতে জাতীয় স্তরের দাবা প্রতিযোগিতায় যোগ দেবে।




First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.