অরণ্যের পশু ও মানুষের মধ্যে সংঘাত বাড়া সত্ত্বেও অসমে হাতির সংখ্যা বৃদ্ধি অব্যাহত। গন্ডার, বাঘের মতোই হাতির সংখ্যাতেও পয়লা নম্বরে কাজিরাঙা জাতীয় উদ্যান। বনমন্ত্রী রকিবুল হুসেন জানান, রাজ্যের ২৫টি সংরক্ষিত অরণ্য, ২০টি অভয়ারণ্য, ৫টি জাতীয় উদ্যান ও রাজস্ব খণ্ডের অন্তর্ভুক্ত অরণ্য মিলিয়ে ৫৬২০টি হাতির সন্ধান মিলেছে। ২০০৮ সালে সংখ্যাটি ছিল ৫৪০০।
১৯৯৩ সালে অসমে ৫৫২৪টি হাতি ছিল। এ বারের সুমারি অনুযায়ী, অসমে অভয়ারণ্য ও জাতীয় উদ্যান মিলিয়ে ৩০৫৪টি হাতি রয়েছে। সংরক্ষিত অরণ্য, প্রস্তাবিত সংরক্ষিত অরণ্য ও স্বশাসিত জেলা পরিষদ মিলিয়ে হাতির সংখ্যা ২৫১৬টি। জাতীয় উদ্যানগুলির মধ্যে কাজিরাঙায় ১১৬৫টি হাতি রয়েছে। এটিই সর্বাধিক। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে মানস। সেখানে ৯৪৫টি হাতির বাস। তবে, ঘনত্বের বিচারে, প্রতি ১০০ বর্গ কিলোমিটার এলাকায় মানসে হাতি সব থেকে বেশি, ১৮৯টি। কাজিরাঙায় এই সংখ্যা ১৩৫.৬৩। হাতির সংখ্যা সব থেকে কম ওরাং রাজীব গাঁধী জাতীয় উদ্যানে। প্রতি ১০০ বর্গ কিলোমিটারে ৫টি। নামেরিতে ২৩৩ ও ডিব্রু-শইখোয়ায় ১১৫টি হাতি মিলেছে। ২০০৮ সালের সুমারি অনুযায়ী ডিব্রু-শইখোয়ায় ১৬১টি হাতি ছিল। ঘনত্বের বিচারে অবশ্য পয়লা নম্বরে রয়েছে বড়নদী অভয়ারণ্য। প্রতি ১০০ বর্গ কিলোমিটারে, হাতির সংখ্যা ৩৮৯.২টি। বয়সের কাঠামো অনুযায়ী, ৫১ শতাংশ হাতি প্রাপ্তবয়স্ক, ২০ শতাংশ কিশোর, ১২টি শিশু ও ১৭টি নবজাতক। স্ত্রী-পুরষ অনুপাতের হিসাব ১:১.২ (৪৫:৫৫)।
এ দিকে, দেশের মধ্যে প্রথম ভ্রুণ সংস্থাপন প্রক্রিয়ার (ইটিটি) মাধ্যমে মিথুনের জন্ম হল নাগাল্যান্ডে। নাগাল্যান্ডের জাতীয় গবেষণা কেন্দ্রের অধিকর্তা সি রাজখোয়া জানান, উত্তম অবস্থায় থাকা ভ্রুণকে, অন্য সারোগেট স্ত্রী-মিথুনের গর্ভে স্থাপন করা হয়েছিল। সেখান থেকে সুস্থ পুরুষ মিথুন শাবকের জন্ম হয়। রাজখোয়া জানান, গবেষণা কেন্দ্রে তরল নাইট্রোজেনের মধ্যে, ভ্রুণটিকে ৯০ দিন অবধি রাখার ব্যবস্থাও রয়েছে। শীঘ্রই, ‘ইটিটি’ প্রক্রিয়ায় আরও তিনটি মিথুন শাবকের জন্ম হবে। আপাতত, গবেষণাকেন্দ্রে, উত্তর-পূর্বের বিভিন্ন স্থান থেকে আনা ১২২টি মিথুনকে প্রতিপালন করা হচ্ছে। |