|
|
|
|
পরচা-কাণ্ড নিয়ে বৈঠক |
নিজস্ব সংবাদদাতা • বালুরঘাট |
জমির জাল পরচা কান্ডে সতর্ক দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা প্রশাসন কিসান ক্রেডিট কার্ড বিলি নিয়ে ব্লকের কৃষি অধিকর্তাদের ‘আসল নথি’ পরীক্ষা করতে বলেছেন। বুধবার বালুরঘাটে জেলা প্রশাসনিক স্তরে এক বৈঠকে ওই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বৈঠকে জেলার ব্যাঙ্কগুলির প্রতিনিধি এবং ৮টি ব্লকের কৃষি অধিকর্তাদের সঙ্গে জেলাশাসক, জেলা লিড ব্যাঙ্ক ম্যানেজার উপস্থিত ছিলেন। জেলা জুড়ে প্রায় দেড় লক্ষের উপর চাষিকে কিসান ক্রেডিট কার্ডের আওতায় এনে ঋণদান প্রকল্পের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে গত মাসে এই কর্মসূচি শুরু হয়। পাশাপাশি এই কর্মসূচিতে প্রকৃত কৃষকদের হয়রানি বন্ধেও ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষকের আন্তরিক সহযোগিতা চাওয়া হয়েছে। দক্ষিণ দিনাজপুরের জেলাশাসক দুর্গাদাস গোস্বামী বলেন, “ঋণদান কর্মসূচিতে কিসান ক্রেডিট কার্ডের সুযোগ প্রকৃত চাষিরা পান, সে দিকে সকলকে নজর রেখে কাজ করতে বলা হয়েছে। জেলায় এখনও পর্যন্ত ৪২ হাজার ১৬৬ জন চাষিকে কিসান কার্ডের আওতায় আনা গিয়েছে। কর্মসূচিতে গতি আনতে বৈঠকে সংশ্লিষ্ট বিভাগের আধিকারিকেরা একমত হয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।” জমির জাল পরচা ও নথি দাখিল করে ব্লক কৃষি কিসান ক্রেডিট কার্ড হাতিয়ে সরকারি ঋণ আদায়ের এক চক্র সক্রিয় হয়ে উঠেছে। কুমারগঞ্জ ব্লকের একটি রাষ্ট্রায়ত্ত্ব ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ এক ব্যক্তির পরচা দেখে তদন্তে নামলে জালিয়াতির বিষয়টি সামনে আসে। এরপর কুমারগঞ্জের কৃষি অধিকর্তা আবেদনকারিদের বেশ কিছু জমির পরচা ও দলিল পরীক্ষার জন্য ব্লক ভূমি সংস্কার দফতরে পাঠালে সেগুলি জাল বলে ধরা পড়ে। জেলা উপকৃষি অধিকর্তা লক্ষ্মীকান্ত মান্ডি বলেন, “ইতিমধ্যে কুমারগঞ্জে মোট ১৬ জনের বিরুদ্ধে থানায় জাল পরচা ও নথি দাখিলের অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। পুলিশ ঘটনার তদন্তে নেমেছে। ব্লক কৃষি অধিকর্তারা এবার থেকে সতর্ক হবেন।” এতদিন চাষির দাখিল করা জমি তথ্যের ‘জেরক্স’ কপির উপর সই করে ব্লক কৃষি অধিকর্তা কিসান কার্ড ইস্যুর জন্য সংশ্লিষ্ট ব্যাঙ্কে পাঠাতেন। জমির আয়তন, পরিমাণে কারচুপি করার সুযোগ পেয়ে দুষ্টচক্র সক্রিয় হয়ে উঠেছিল বলে লিড ব্যাঙ্ক ম্যানেজার জেলার ব্যাঙ্ক সমূহের প্রাবন্ধিক তন্ময় দাস জানিয়েছেন। |
|
|
|
|
|