মালদহ জেলা পুলিশের সঙ্গে যৌথ অভিযান চালিয়ে থেকে জালনোট কারবারে জড়িত সন্দেহে এক তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীকে গ্রেফতার করেছে অন্ধ্রপ্রদেশ পুলিশ। বৃহস্পতিবার রাতে বৈষ্ণবনগর এলাকায় ঘটনাটি ঘটেছে। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতের নাম লুতফর হক। একসময় তিনি স্থানীয় কৃষ্ণপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের কংগ্রেসের পঞ্চায়েত সদস্য ছিলেন। পরবর্তীতে মাস তিনেক আগে তিনি তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেন। সম্প্রতি অন্ধ্রপ্রদেশের তিরুমালা টাউন পুলিশ চার লক্ষ টাকা জালনোট-সহ মালদহের বাসিন্দা ৪ জনকে গ্রেফতার করে। ধৃতদের কাছ থেকেই সেখানকার পুলিশ লুতফরের নাম জানতে পারে। |
মালদহের জেলা পুলিশ সুপার জয়ন্ত পাল বলেন, “লুতফর হক দীর্ঘদিন ধরে জাল নোটের কারবারের সঙ্গে জড়িত বলে জানা গিয়েছে। তিরুমালা পুলিশ জেলার চারজন জালনোটের মামলার গ্রেফতারের পর লুতফরের নাম জানতে পারে। ওকে ধরার জন্য এর পর আমাদের সাহায্য চাওয়া হয়।” শুক্রবার তিরুমালা টাউন স্টেশনের পুলিশ ধৃতকে অন্ধ্রপ্রদেশে নিয়ে যাওয়ার জন্য মালদহে আদালতে আবেদন করে। আদালত ওই রাজ্যের পুলিশকে পাঁচদিনের ‘ট্রানজিট রিমান্ডে’ তিরুপতি আদালতে নিয়ে হাজির করানোর জন্য অনুমতি দিয়েছেন। ধৃতের মোবাইল টেলিফোনটিও বাজেয়াপ্ত করেছে অন্ধ্র পুলিশ। তাকে চক্রান্ত করে ফাঁসানো হয়েছে বলে আদালতে দাঁড়িয়ে দাবি করেছেন লুতফর। তিনি বলেন, “একসময় কংগ্রেস করতাম। কংগ্রেসের পঞ্চায়েত সদস্যও ছিল। এখন তৃণমূল কংগ্রেস করি। সেই জন্যই আমাকে ফাঁসানো হয়েছে।” এই ঘটনায় দলের কর্মী নাম জড়িয়ে পড়ায় অস্বস্তিতে পড়েছেন দলের নেতারা। জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক ছোটন মৌলিক বলেন, “লুত্ফর জাল নোটের কারবারের সঙ্গে যুক্ত তা আমরা জানতাম না। ও যদি সত্যি জালনোটের কারবারের সদস্য হয়ে থাকলে তাহলে আমরা ওর পাশে থাকব না। আইন আইনের পথে চলবে।” জেলা কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক দেবপ্রিয় সাহা বলেন, “অসামজিক কাজের সঙ্গে যুক্ত জানার পরেই লুতফরকে অনেকদিন আগেই দল থেকে বার করে দেওয়া হয়েছে। |