|
|
|
|
কাজ শেষ হবে এক বছরে |
সংখ্যালঘুদের জন্য দফতর কর্ণজোড়ায় |
নিজস্ব সংবাদদাতা • রায়গঞ্জ |
উত্তর দিনাজপুর জেলায় পৃথক একটি সংখ্যালঘু দফতর তৈরির সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার। রায়গঞ্জের কর্ণজোড়ায় প্রায় ৫ কাঠা সরকারি জমিতে ওই দফতর গড়ে তোলার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। দফতরের নয়া ভবনের নাম হবে সংখ্যালঘু ভবন। ওই ভবন থেকে সংখ্যালঘু দফতরের কাজকর্ম পরিচালনা হওয়ার পাশাপাশি জেলা মাদ্রাসা শিক্ষা দফতরের প্রশাসনিক কাজকর্মও পরিচালনা করা হবে। রাজ্য সংখ্যালঘু দফতর ও মাদ্রাসা শিক্ষা দফতর ওই ভবন তৈরির জন্য সম্প্রতি ৭২ লক্ষ ৮৫ হাজার ২০০ টাকা বরাদ্দ করেছে। ভবন তৈরির জন্য প্রথম কিস্তির ৩৯ লক্ষ টাকা সম্প্রতি জেলা প্রশাসনের তহবিলে জমা পড়েছে। প্রথম কিস্তির টাকা হতে পাওয়ার পরই গত সপ্তাহে জেলা পরিষদ কর্তৃপক্ষ ভবন তৈরির জন্য টেন্ডার প্রক্রিয়া শুরু করেছেন।
অতিরিক্ত জেলাশাসক তথা জেলা পরিষদের নির্বাহী আধিকারিক দিব্যেন্দু দাস বলেন, “জেলায় আলাদা ভাবে সংখ্যালঘু দফতর ছিল না। জেলা শাসকের দফতরের পাশের কয়েকটি ঘরে ওই দফতরের কাজকর্ম পরিচালনা করা হত। সেই কারণে পরিকাঠামোর অভাবে ওই দফতরের কাজকর্ম পরিচালনা করতে সমস্যা তো একটু হতই। জেলার সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের বাসিন্দারাও দীর্ঘদিন ধরে জেলা প্রশাসনের কাছে পৃথক সংখ্যালঘু দফতর গড়ে তোলার আর্জি জানাচ্ছিলেন। আশা করছি, এপ্রিল মাসের মধ্যে ভবন তৈরির কাজ শুরু করা যাবে।” প্রশাসনিক সূত্রে জানা গিয়েছে, ১৯৯২ সালে উত্তর দিনাজপুর জেলা গঠন হওয়ার পর রায়গঞ্জের কর্ণজোড়ায় জেলাশাসকের দফতরের পাশের কয়েকটি ঘরে অস্থায়ী ভাবে সংখ্যালঘু দফতর গড়ে ওঠে। জেলার ৯টি ব্লকের সংখ্যালঘু অধ্যুষিত এলাকায় স্বাস্থ্যকেন্দ্র, সংখ্যালঘু পড়ুয়াদের হস্টেল, কবরস্থান, পানীয় জলের প্রকল্প, সংখ্যালঘুদের ইন্দিরা আবাস যোজনায় বাড়ি তৈরির সরকারি কাজকর্ম ওই দফতর থেকে পরিচালনা করা হয়। এ ছাড়াও জেলার বিভিন্ন মাদ্রাসার ক্লাসরুম তৈরি ও পরিকাঠামো উন্নয়নের বিভিন্ন সরকারি কাজকর্মও সেখান থেকে পরিচালনা করা হয়। জেলার ৩০ টি মাদ্রাসার শিক্ষকরা প্রতি মাসে অস্থায়ী ওই দফতরে গিয়ে বেতন তোলেন। দফতরের উদ্যোগে জেলায় ৩০টি স্বাস্থকেন্দ্র তৈরির কাজ চলছে। অতিরিক্ত জেলাশাসক প্রভুদত্ত ডেভিড প্রধান লেপচা বলেন, “জেলার ৯ টি ব্লকের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের বাসিন্দারা ও মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ বিভিন্ন সরকারি প্রকল্পের সুবিধার জন্য ব্লক প্রশাসনের কাছে আবেদন করে প্রতিদিনই জেলা সংখ্যালঘু দফতরে খোঁজখবর নেওয়ার জন্য ভিড় করেন। জেলায় পৃথক সংখ্যালঘু দফতর তৈরি হলে আশা করছি সে সমস্যা মিটবে।” তিনি জানান, ১ বছরে দফতর তৈরির কাজ শেষ করার পরিকল্পনা হয়েছে! |
|
|
|
|
|