উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের ছাত্র সংসদ সিপি-টিএমসিপি জোট (স্টুডেন্ট ফোরাম)-এর হাতছাড়া হল। মোট ১৬টি আসনের মধ্যে ১২টি আসন পেয়ে ছাত্র সংসদ দখল করল এসএফআই। শুক্রবার ওই ভোট হয়েছে।
এই জয়কে ‘অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ’ বলে মনে করছেন প্রাক্তন পুরমন্ত্রী অশোক ভট্টাচার্য। তিনি বলেন, “গোটা রাজ্যে কী হচ্ছে তা ছাত্র সমাজও দেখছে। তারই প্রতিফলন দেখা যাচ্ছে নানা জায়গায়। সেই প্রেক্ষাপটে এই জয় অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ।” |
আইন বিভাগের নির্বাচনে ৩টি আসনে জিতেছেন ফোরামের প্রার্থীরা। ফোরামের হারের পিছনে ছাত্র পরিষদের অন্তর্ঘাত রয়েছে বলে অভিযোগ তুলেছেন জোট সঙ্গী তৃণমূল ছাত্র পরিষদের নেতারাই। আইন বিভাগের নির্বাচনে ফোরামের দায়িত্বে থাকা নেতা তথা শিলিগুড়ি টাউন যুব তৃণমূলের সভাপতি ধীমান বসু বলেন, “এই হারের পিছনে যড়যন্ত্র রয়েছে। ছাত্র পরিষদের নেতারা ভোটারদের ভুল বুঝিয়েছেন। এসএফআই-কে জেতাতেই তাঁরা সক্রিয় ছিলেন।” বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদের সাধারণ সম্পাদক ছাত্র পরিষদের নেতা রোনাল্ড দে এবং অপর প্রতিনিধি মুক্তিনাথ শর্মার বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছেন তিনি।
জয়ে খুশি এসএফআই-এর দার্জিলিং জেলা সম্পাদক সৌরভ দাস বলেন, “রাজ্য জুড়েই তৃণমূল নৈরাজ্য সৃষ্টি করছে। ছাত্রছাত্রীরা ওদের পক্ষে রায় দেননি। তা ছাড়া আমরা পড়ুয়াদের পাশে ছিলাম।” গত ১৮ মার্চ বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩ নম্বর গেটের সামনে ছাত্র পরিষদ এবং তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সদস্যের মধ্যে মারপিটের ঘটনা ঘটে। উভয়পক্ষই থানায় অভিযোগ জানানোর পর পুলিশ ঘটনায় জখম হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রোনাল্ড দে-কে গ্রেফতার করে। তাঁর বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা করা হলে জেলেও যেতে হয়। অথচ অভিযুক্ত তৃণমূল ছাত্র পরিষদের নেতা পঙ্কজ সিংহের বিরুদ্ধে জামিন যোগ্য ধারায় মামলা হয়। এরই মধ্যে ২০ মার্চ নির্ধারিত দিনে মনোনয়নপত্র জমা নেওয়া হয়। ছাত্র পরিষদের উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের দায়িত্বে থাকা নেতা অভিজিৎ রায়চৌধুরী বলেন, ‘‘বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদের সাধারণ সম্পাদককে যে ভাবে গ্রেফতার করা হয়েছে তার প্রভাব পড়েছে নির্বাচনে।” রোনাল্ড বলেন, “যে ভাবে আমাকে গ্রেফতার করা হয়েছে তা অনেকেই মেনে নিতে পারেনি। তৃণমূলই যে অন্তর্ঘাত করছে সেটা স্পষ্ট।” |