|
|
|
|
ফাঁসিদেওয়ায় মেরেধরে ডাকাতি, আহত দম্পতি |
নিজস্ব সংবাদদাতা • ফাঁসিদেওয়া |
দরজা ভেঙে ঢুকে ব্যবসায়ী দম্পতিকে লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে টাকা ও সোনাদানা নিয়ে বোমা ছুঁড়ে পালাল একদল দুষ্কৃতী। বৃহস্পতিবার গভীর রাতে ঘটনাটি ঘটে ফাঁসিদেওয়া থানার রাঙাপানি এলাকায়। মারধরের জেরে ওই দম্পতি জখম হয়েছেন। তাঁদের প্রাথমিক চিকিৎসা করানো হয়েছে। ওই দম্পতির এক আত্মীয়কেও দুষ্কৃতীরা ভোজালি দিয়ে কোপ মারলে বাঁ হাত জখম হয়। ক্ষতস্থানে সেলাই করাতে হয়েছে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, দুষ্কৃতীরা প্রায় ৮ হাজার টাকা নগদ এবং ৫-৬ ভরি সোনার অলঙ্কার লুট করে। গৃহকত্রীর কান ও হাতের অলঙ্কারও খুলে নেয় দুষ্কৃতীরা। ব্যবসায়ীর মোটর বাইকটিও নিয়ে পালায়। খবর পেয়ে রাতেই ওই এলাকায় যান পুলিশ কর্মীরা। শুক্রবার সকালে শিলিগুড়ির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অমিত জাভালগিও ওই বাড়িতে যান। তবে এখনও দুষ্কৃতীদের কোনও খোঁজ মেলেনি। জেলার পুলিশ সুপার আনন্দ কুমার বলেন, “প্রাথমিক ভাবে কিছু সূত্র মিলেছে। দুষ্কৃতীদের খোঁজে তল্লাশি চলছে।” বিমলবাবুর বাড়ির সামনেই একটি মুদি দোকান রয়েছে। ওই দোকানের উপরে ভরসা করেই সংসার চলে তাঁর। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে, দুষ্কৃতীরা সংখ্যায় ৭-৮ জন ছিল। সকলেই শক্তসমর্থ চেহারার। তার মধ্যে একজনের মুখ কাপড় দিয়ে ঢাকা ছিল। রাত আড়াইটে নাগাদ দুষ্কৃতীরা ওই ব্যবসায়ী বিমল ঘোষের বাড়ির বাইরের গেটের তালা ভেঙে ভিতরে ঢোকে। বারান্দার তালা ভাঙার সময়ে বিমলবাবুর স্ত্রী জয়ন্তী দেবী টের পান। তিনি স্বামীকে ঘুম থেকে টেনে তোলার আগেই দুষ্কৃতীরা ঘরের দরজা ভেঙে ঢুকে পড়ে। ঘরে ঢুকেই লোহার রড দিয়ে বিমলবাবুর বুকে, পেটে, পায়ে মারতে থাকে। যন্ত্রণায় বিমলবাবু আর্তনাদ করতে প্রথমে বাইকের চাবি দাবি করে। দুষ্কৃতীদের দাবি মেনে তিনি বাইকের চাবি দিতেই আলমারির লকার খোলার নির্দেশ দেয় এক দুষ্কৃতী। অন্যজন জয়ন্তী দেবীর হাত ও কানের অলঙ্কার চেয়ে মারধর শুরু করে। তার পরে নিজেই সেগুলি ছিনিয়ে নেয়। বিমলবাবুর লকার থেকে টাকা পয়সা, অলঙ্কার বার করে দিলে দুষ্কৃতীরা তাঁর বাড়ির পিছনের খোলা মাঠ দিয়ে পালিয়ে যায়। ওই ব্যবসায়ী বলেন, “বারান্দার গেটের তালা ভাঙার শব্দ পেয়ে ওঠার আগেই কংক্রিটের খুঁটি দিয়ে ধাক্কা মেরে ঘরের দরজা খুলে ঢুকে পড়ে। বাধা দেওয়ার সুযোগও পাইনি। আমার চিৎকারে পড়শিরা জেগে ওঠেন। সে জন্যই পালানোর সময়ে ডাকাতরা বোমা ছুড়তে ছুড়তে পালায়।” দুষ্কৃতীরা পালানোর পরে পুলিশকে খবর দেওয়া হয় বলে জানান তিনি। |
|
|
|
|
|