|
|
|
|
বেতন কাটা হল ধর্মঘটে অনুপস্থিত ৮০ কর্মীর |
নিজস্ব সংবাদদাতা • জলপাইগুড়ি |
সরকারি নির্দেশ থাকা সত্বেও গত ২৮ ফেব্রুয়ারি ধর্মঘটের দিন অফিসে না আসায় জলপাইগুড়ির বিভিন্ন সরকারি দফতরের ৮০ কর্মীর এক দিনের বেতন কাটা হয়েছে। বৃহস্পতিবার ওই ব্যপারে লিখিত নির্দেশ কর্মীদের হাতে ধরানো হয়েছে। এদের মধ্যে জেলাশাসকের দফতরে ৩৯ জন, জেলা পরিষদের ৩৭ জন এবং ভূমি রাজস্ব দফতরের ২০ জন কর্মী রয়েছেন। ধর্মঘটে অফিসে অনুপস্থিতির যে কারণ কর্মীরা দেখিয়েছেন সেটি রাজ্য সরকারের নির্দেশের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ না হওয়ায় তাদের ছুটি মঞ্জুর না করে বেতন কেটে নেওয়া হয়েছে। ধর্মঘটের দিন অফিসে না আসায় জলপাইগুড়ির এই তিনটে দফতরে শতাধিক কর্মীকে শোকজ করা হয়। গত ১৩ মার্চ কর্মীদের শোকজ করা হয়েছিল। সাতদিনের মধ্যে শোকজ হওয়া সব কর্মীই নিজেদের জবাব জেলা প্রশাসনের কাছে পাঠিয়ে দেন। এদের মধ্যে যে সব কর্মী নিজের অথবা পরিবারের অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে সেই মতো চিকিৎসকের সংশাপত্র জমা দিয়েছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে কোনও শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। যেমন জেলাশাসকের দফতরে ৪৯ জন কর্মীকে শোকজ করা হলেও শাস্তির কোপে পড়েছেন ৩৯ জন। যারা সরকারি শাস্তির কোপে পড়েছেন তারা সকলেই একই ধরনের জবাব দিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই জবাব ছিল এমন, “গত ২৮ ফেব্রুয়ারি সর্বভারতীয় ধর্মঘট থাকায় অফিসে আসতে পারিনি। অতএব, ওই দিনের ছুটি মঞ্জুর করা হোক।” যে কর্মীদের একদিনের বেতন কাটা হয়েছে তাঁদে মধ্যে জেলাশাসকের দফতরে কর্মরত কো-অর্ডিনেশন কমিটির জেলা সম্পাদক অপূর্ব বসু রয়েছেন। শুক্রবার অপূর্ববাবু বলেন, “গতকাল অফিস ছাড়ার সময়ে নির্দেশ পেয়েছি। অগণতান্ত্রিক এবং কর্মী অধিকারের পরিপন্থী এই নির্দেশের বিরুদ্ধে আইনের পথে যাব।” বেতন কাটা হয়েছে চতুর্থ শ্রেণীর কর্মী শৈবালকান্তি পালের। তিনি বলেন, “মধ্যবিত্ত সংসারে একদিনের বেতন কাটা হলে সমস্যা তো হবে। শোকজের উত্তরে জানিয়েছিলাম ধর্মঘটের কারণেই অফিসে যেতে পারিনি। বছর তিনেক আগে তৎকালীন বিরোধী দলের বন্ধেও তো অফিসে যেতে পারিনি তখন কিন্তু বেতন কাটা হয়নি।” সরকারি দফতরের কর্মী কাজল রায় চৌধুরী বলেন, “এটি নীতির প্রশ্ন। যে দাবিগুলিতে ধর্মঘট হয়েছিল তার মধ্যে কর্মীদের পেনশনের দাবিও ছিল। অবসরের সময়ও এগিয়ে আসছে। তাই পেনশন সুরক্ষার দাবিতে না হয় এক দিনের বেতন কাটা গেল।” |
|
|
|
|
|