|
|
|
|
কোপ বেতন ও মেয়াদে |
ধর্মঘটে গরহাজিরায় আরও কর্মীকে শাস্তি |
নিজস্ব প্রতিবেদন |
বামেদের ডাকে গত ২৮ ফেব্রুয়ারি ধর্মঘটের দিন কাজে না-আসায় রাজ্যের আরও শতাধিক সরকারি কর্মীর এক দিনের বেতন কেটে নেওয়া হল। এঁদের মধ্যে রয়েছেন রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের অন্যতম ইউনিয়ন ‘নবপর্যায়’-এর সাধারণ সম্পাদক সমীররঞ্জন মজুমদারও। একই সঙ্গে তাঁদের চাকরির মেয়াদ এক দিন কমিয়ে দেওয়ার নোটিস দেওয়া হয়েছে। তবে সেই নোটিসেও নিয়ম মানা হয়নি বলে অভিযোগ করেছেন সমীররঞ্জনবাবু। তাঁর অভিযোগ, “কোনও কর্মীর বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিলে সরকারি বিধির কত নম্বর ধারায় তা করা হল, নোটিসে সেটা উল্লেখ করাটাই নিয়ম। এ ক্ষেত্রে সরকারি নোটিসে তার উল্লেখ নেই।
শুক্রবার রাজ্যের শ্রম দফতরের ১৭ জন, পূর্ত দফতরের ১১ জন এবং অর্থ দফতরের ৩৯ জনকে ওই নোটিস ধরানো হয়েছে। নোটিস দেওয়া হয়েছে অন্যান্য দফতরের কিছু কর্মীকেও। জলপাইগুড়ি জেলাতেও বিভিন্ন সরকারি দফতরের ৮০ জন কর্মীর বেতন কাটার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তাঁদের মধ্যে জেলাশাসকের দফতরের ৩৯ জন, জেলা পরিষদের ৩৭ জন এবং ভূমিরাজস্ব দফতরের ২০ জন কর্মী রয়েছেন। ধর্মঘটের দিন কর্মস্থলে গরহাজির থাকায় ১৩ মার্চ জলপাইগুড়ির এই তিন দফতরের শতাধিক কর্মীকে ‘শো-কজ’ বা কারণ দর্শানোর নোটিস দেওয়া হয়। যাঁদের বেতন কাটা হয়েছে, তাঁদের মধ্যে জেলাশাসকের দফতরে কর্মরত কো-অর্ডিনেশন কমিটির জেলা সম্পাদক অপূর্ব বসুর নামও রয়েছে।
বাম-সমর্থিত ইউনিয়নের বেশির ভাগ কর্মীই জানান, ধর্মঘটকে সমর্থন করার জন্যই তাঁরা ওই দিন কাজে যোগ দেননি। সমীরবাবুর দাবি, “ধর্মঘটের দিনের জন্য আগে থেকেই ছুটি নিয়ে রেখেছিলাম। তা জানিয়েও দিয়েছিলাম যথাস্থানে। তবু শাস্তি দেওয়া হল।” মালা দে নামে এক কর্মী বলেন, “আমার ছ’বছরের ছেলের পরীক্ষার জন্য ২৪ ফেব্রুয়ারি থেকে ৯ মার্চ পর্যন্ত ছুটি নিয়েছিলাম। তবু আমার বেতন কাটা হয়েছে, কমিয়ে দেওয়া হয়েছে চাকরির মেয়াদ।” তবে শো-কজের জবাবে তিনি ধর্মঘট সমর্থন করার কথাই লিখেছিলেন। |
|
|
|
|
|