|
|
|
|
পশ্চিমবঙ্গে ১৯৭২-এর ছায়া দেখছে সিপিআই |
নিজস্ব সংবাদদাতা • পটনা |
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের মধ্যে ১৯৭২-এর ছায়া দেখছে বাম শরিক সিপিআই। পটনায় দলের ২১তম পার্টি কংগ্রেসে ওই বক্তব্য পেশ করা হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গে বামফ্রন্টের বড় শরিক সিপিএম আগেই ওই কথা প্রকাশ্যে বলা শুরু করেছে। সিপিআই পার্টি কংগ্রেসে মমতা-সরকারের কড়া সমালোচনা করে বলা হয়েছে, এই সরকারে ১৯৭২-এর ছায়া দেখা যাচ্ছে। গণতান্ত্রিক রীতিনীতির তোয়াক্কা করছে না সরকার। এক জন যা মনে করছেন, সেটাই হচ্ছে। সংবাদমাধ্যমের উপরে আক্রমণ চলছে। নির্বাচিত পঞ্চায়েতের ক্ষমতা তুলে দেওয়া হচ্ছে বিডিওদের হাতে। এক বছর না যেতেই এই সরকারের নানা পদক্ষেপ ও নীতিতে পরিবর্তনপন্থীরাও অসন্তুষ্ট। গণতন্ত্র নয়, পশ্চিমবঙ্গের সরকারে চলছে একতন্ত্র।
তবে পশ্চিমবঙ্গে বামপন্থীদের ক্ষমতা হারানো নিয়েও পার্টি কংগ্রেসে সবিস্তার আলোচনা হয়েছে। প্রত্যাশিত ভাবেই, সমালোচনার তির সিপিএমের দিকে। ‘উন্নততর বামফ্রন্ট’ গড়ার ক্ষেত্রে সিপিএমের ভূমিকা নিয়ে বলা হয়েছে, একাধিক বার বলা সত্ত্বেও অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় ফ্রন্টে আলোচনা না করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সিঙ্গুর-নন্দীগ্রামের ক্ষেত্রে সিপিআই, ফরওয়ার্ড ব্লক এবং আরএসপি-কে নিয়ে গঠিত ত্রিদলীয় কমিটিকেও সিপিএম গুরুত্ব দেয়নি। কমিটির অনেক প্রস্তাবকে সিপিএম যে ভাবে ‘নস্যাৎ’ করেছে, আলোচনায় উঠে এসেছে তা-ও। দলের নেতা-কর্মীদের আচরণেরও সমালোচনা হয়েছে। আভাস মিলেছে যে, দীর্ঘ ১৬ বছর পর সিপিআইয়ের সাধারণ সম্পাদকের পদে বদল ঘটতে চলেছে। এ বি বর্ধনের জায়গায় আসতে চলেছেন দলে বর্তমান সহ-সাধারণ সম্পাদক সুধাকর রেড্ডি। তবে বর্ধন সম্পাদকমণ্ডলীতে থাকবেন। হায়দরাবাদ পার্টি কংগ্রেসে অন্ধ্রপ্রদেশের নেতা এবং প্রাক্তন সাংসদ সুধাকর রেড্ডি সহ-সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। |
|
|
|
|
|