মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী কিশোরীকে গণধর্ষণ করে বিষ খাইয়ে দেওয়ার ঘটনায় অভিযুক্তদের গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। শুক্রবার বাঁকুড়া মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি থাকা ওই কিশোরীর অবস্থার কিছুটা উন্নতি হলেও কথা বলার অবস্থায় আসেনি। পুলিশ জানিয়েছে, তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে না পারায় অভিযুক্ত যুবক ছাড়া বাকিদের পরিচয় জানা যাচ্ছে না। অভিযুক্ত যুবকের নাম অজয় মাহাতো। বোরো থানার জাওড়া গ্রামে তার বাড়ি। ঘটনার পর থেকে তিনি পলাতক। তাঁর সন্ধান চালানো হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার সকালে বোরো থানার একটি জঙ্গলের মধ্যে ইটভাটির পাশে ওই কিশোরীকে বেহঁশ অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। তার বাবার অভিযোগ, “মঙ্গলবার সন্ধ্যা থেকে মেয়ের খোঁজ পাচ্ছিলাম না। উদ্ধারের পরে মেয়ে জানিয়েছে, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বাড়ির বাইরে থেকে অজয় মাহাতো ও তার সঙ্গীরা মেয়েকে তুলে নিয়ে যায়। একটি ঘরে দু’দিন রেখে তাকে ওরা ধর্ষণ করে। তারপরে কীটনাশক খাওয়ায়। মারা গিয়েছে ভেবে পরে তারা মেয়েকে জঙ্গলের মধ্যে ফেলে রেখে পালায়।” কিশোরীর মা বলেন, “মেয়ে খুব ক্ষীণ গলায় কথা বলছে। মাঝে মধ্যে বেহুঁশ হয়ে পড়ছে।” পুলিশ জানিয়েছে, মুল অভিযুক্তের খোঁজ মেলেনি। এই দু’দিন তাকে কোথায় রাখা হয়েছিল তা খোঁজ করা হচ্ছে।
জাওড়া গ্রামে গিয়ে অভিযুক্ত ২৭ বছরের যুবক অজয়কে পাওয়া যায়নি। তাঁর বাবা প্রভাকর মাহাতো বলেন, “আমার ছেলে কোথায় জানি না। তাকে মিথ্যা অভিযোগে ফাঁসানো হয়েছে।” স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, অজয়রা তিন ভাই ইটভাটার ব্যবসা করেন। সেই ইটভাটার পাশ থেকেই ওই কিশোরীকে অচৈতন্য অবস্থায় পাওয়া গিয়েছিল। অজয় তৃণমূল কর্মী বলে এলাকায় পরিচিত। তৃণমূলের মিছিলেও তাকে দেখা গিয়েছে। তবে জাওড়া লাগোয়া বারি গ্রামের বাসিন্দা মহিলা তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সভানেত্রী নিয়তি মাহাতোর দাবি, “অজয় মাহাতো নামে আমাদের দলের কোনও কর্মী বা সমর্থক নেই।” |