এক বধূকে ধর্ষণের চেষ্টা করার অভিযোগ পুলিশ শ্লীলতাহানির ঘটনা বলে লঘু করে দিয়েছেএই মর্মে পাত্রসায়র থানার বিরুদ্ধে অভিযোগ পেয়ে বাঁকুড়ার পুলিশ সুপারের রিপোর্ট তলব করল জাতীয় মহিলা কমিশন। পুলিশ সুপার প্রণব কুমার বলেন, “কমিশনকে রিপোর্ট পাঠানো হবে। ওই অভিযোগেরও গুরুত্ব সহকারে তদন্ত করা হচ্ছে।”
পুলিশ সূত্রে খবর, চলতি বছর ২৪ জানুয়ারি সকালে পাত্রসায়র থানা এলাকার বাসিন্দা, পেশায় অঙ্গনওয়াড়ি সহায়িকা ওই বধূ সাইকেল চালিয়ে ডান্না গ্রামে যাচ্ছিলেন। ওই বধূর অভিযোগ, এক যুবক তাঁকে ধর্ষণের চেষ্টা করে। বাধা দেওয়ায় যুবকটি তাঁকে মারধরও করে। স্থানীয় বাসিন্দারা বধূটিকে উদ্ধার করে পাত্রসায়র স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি করান। সে দিনই বধূটি থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।
বধূর অভিযোগ, “গামছায় মুখ ঢাকা যুবকটিকে চিনতে পারিনি। পাত্রসায়র থানার তৎকালীন ওসি সঞ্জীব চক্রবর্তীর কাছে পুরো ঘটনার বিবরণ জানিয়ে অভিযোগ করেছিলাম। কিন্তু তিনি যুবকটিকে চিহ্নিত তো করেনইনি, উল্টে শ্লীলতাহানির মামলা রুজু করে বিষয়টি লঘু করে দেন। এ নিয়ে আমাকে বাড়াবাড়ি করতেও মানা করেন।” ওই বধূ পুলিশের বিরুদ্ধে জাতীয় মহিলা কমিশনে অভিযোগ করেন। এর পরেই নড়েচড়ে বসে পুলিশ। বুধবার পাত্রসায়রের নতুন ওসি মানবেন্দ্র পাল বধূর বাড়িতে গিয়ে অভিযোগ শোনেন। অভিযুক্তকে গ্রেফতার করার আশ্বাসও দেন। পুলিশ সূত্রের খবর, সঞ্জীববাবুকে নানা কারণে গত ২৮ ফেব্রুয়ারি পাত্রসায়র থানা থেকে সরিয়ে পুলিশ লাইনে ‘ক্লোজ’ করা হয়েছে। ওই বধূর অভিযোগ প্রসঙ্গে তাঁর দাবি, “পুরনো ঘটনা। কী মামলা হয়েছিল, মনে পড়ছে না। নতুন ওসিকে জিজ্ঞাসা করুন।” মানবেন্দ্রবাবু অবশ্য মন্তব্য করতে চাননি। তবে, জেলা পুলিশের এক আধিকারিক বলেন, “ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগ জামিনঅযোগ্য। কিন্তু শ্লীলতাহানির চেষ্টা হলে ৩৫৪ ধারায় মামলা করা হয়, যা জামিনযোগ্য।” কেন শ্লীলতাহানির মামলা রুজু হল, সে প্রসঙ্গে কিছু বলতে চাননি পুলিশ সুপার। তাঁর বক্তব্য, “বধূটি অভিযুক্তকে চিহ্নিত করতে পারেননি বলেই গ্রেফতার করতে দেরি হচ্ছে।” |