নাটক সমালোচনা...
যুগনায়ক
যুগনায়ক। সেই তারুণ্যের ডাক আজও মানুষকে উদ্বেলিত করে। দেড়শো বছরেও তার তেজ মানুষকে প্রভাবিত করে, প্রেরণা দেয়। প্রযোজক সুচেতা চক্রবর্তী ও নাট্যকার চন্দন সেনের যুগ্ম প্রতিভায় আলোকিত হলেন তিনি। স্বামী বিবেকানন্দ। যুব মানসে আলোড়ন তোলে এমনই নাটক ‘যুগনায়ক’ দেখে স্তম্ভিত হতে হয়। মঞ্চে উপস্থিত সেই চরিত্রের ঔজ্জ্বল্য যেন এখনও চোখ ধাঁধিয়ে দেয়। এ নাটক যেন আগামী দিনের পথ চলার মন্ত্র। ধ্যান, ভাব আর আধ্যাত্মিকতার সংমিশ্রণ।
টানটান চন্দন সেন ও মানস দত্তগুপ্তের নাট্যরূপ। এখানে নাটক শুরু রাখাল আর নরেন্দ্রনাথের আলাপচারিতা দিয়ে। অস্থির নরেনের মনে প্রচুর প্রশ্ন। কৌতূহল দৃশ্য থেকে দৃশ্যান্তরে। অনেক কিছুই জানা, কিন্তু তবুও নতুন করে জানার আগ্রহ এমনই সময়ে রামকৃষ্ণের সঙ্গে নরেনের পরিচয় হল দক্ষিণেশ্বরে। ক্রমে ঘনিষ্ঠতা। নরেন গৃহত্যাগীও হলেন। উদ্যানবাটিই তখন ধ্যান-জ্ঞান।
ছবি: রফিকুল
কিন্তু শিহরিত হতে হয় নরেনের মা ভুবনেশ্বরী দেবীর সংলাপে। তিনি এসেছিলেন ছেলেকে বাড়িতে ফিরিয়ে নিয়ে যেতে। তাঁর প্রশ্ন, “যে ধর্ম নিজের গৃহের অভাব মেটাতে পারে না সে ধর্ম কেমন?” কিন্তু ঘটনা দ্রুত বদলে যেতে থাকে। নাট্যগুণে সুন্দর ভাবে উপস্থাপিত হয়েছে শিকাগো বৃত্তান্ত, নিবেদিতার পর্ব। পাশাপাশি তুলে ধরা হয়েছে দেশের জন্য আত্মত্যাগ, শিবজ্ঞানে জীবসেবা, দৃঢ়তা, সচেতনতা। বিবেকানন্দের চরিত্রে শান্তিলাল মুখোপাধ্যায়, নিবেদিতা চরিত্রে সুচেতা চক্রবর্তী, শ্রীরামকৃষ্ণ চরিত্রে উৎপল চট্টোপাধ্যায় নাটকের গতিকে কোথাও এক মুহূর্তের জন্যও থামতে দেননি। শুধু এঁরা নন, প্রতিটি চরিত্রের জন্য মানানসই কলাকুশলী নির্বাচনও নাটকের বড় প্রাপ্তি। জয় মুখোপাধ্যায়, রাকেশ, বিমলেন্দু চক্রবর্তী, রমেন রায়চৌধুরী, সোমা দে, সোমা নেয়ার সহ অন্যান্যরা। প্রশংসা পাবেন উদ্যোক্তা বিবেক মুখোপাধ্যায়ও।
সেই সময়োপযোগী সঙ্গীত যেন আজকের দিনেও সমান সুখকর। ‘জুড়াইতে চাই, কোথা জুড়াই’ গানটিতে রাঘব চট্টোপাধ্যায় উত্তীর্ণ। নাটকটির উপস্থাপক নাট্যায়নন ও মারাতলা বিবেকানন্দ সোসাইটি।

তিন কন্যা
সম্প্রতি শিশির মঞ্চে বেলেঘাটা তিন কন্যা নাট্যসংস্থার সাংস্কৃতিক সন্ধ্যায় শুরুতেই ছিল মধুমিতা বসু ঠাকুর, সরমা সেন ও কুমকুম বন্দ্যোপাধ্যায়ের গান। মধুমিতার ‘আমি তখন ছিলেম মগন’, সরমার ‘গাঙে জোয়ার এল’ আর কুমকুমের ‘রুমক ঝুমক’। দীপঙ্কর পাল গাইলেন ‘মধু গন্ধে ভরা’ ও ‘আজি ঝরঝর মুখর বাদর দিনে’। অনুষ্ঠানের অন্যান্য শিল্পীদের মধ্যে ছিলেন দেবলীনা দত্ত, কুমকুম চট্টোপাধ্যায়, সুচিন সিংহ। নৃত্যে স্বাতী বন্দ্যোপাধ্যায়, দেবজিৎ মুখোপাধ্যায় ও রাজন্য সেন প্রশংসনীয়। অঞ্জন চন্দ্রের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানটি অত্যন্ত মনোজ্ঞ হয়ে উঠেছিল।


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.