রেশন কার্ডের জন্য বিধায়ক, পুরপ্রধান ও পঞ্চায়েত প্রধানের সই নকল করার অভিযোগে এক জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পুলিশ জানায়, ধৃতের নাম সুধাংশু দাস। বাড়ি বসিরহাটের নৈহাটির ঠাকরুনতলায়। ধৃতের কাছ থেকে বিশিষ্ট ব্যক্তিদের নামের নকল সিল-সহ নানা নথি উদ্ধার হয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে সুধাংশুবাবুর কাজ মূলত অর্থের বিনিময়ে অবৈধভাবে সীমান্ত পেরিয়ে আসা বাংলাদেশিদের নকল কাগজের বিনিময়ে রেশন কার্ডের ব্যবস্থা করে দেওয়া। পুলিশের দাবি, জেরার মুখে সুধাংশুবাবু এই কথা স্বীকার করেছেন।
পুলিশ জানায়, গত বছর ডিসেম্বর নাগাদ বসিরহাটের খাদ্য দফতর জানতে পারে যে বসিরহাট মহকুমার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে তাদের কাছে রেশন কার্ডের জন্য জমা পড়া বেশ কিছু আবেদনপত্রের সঙ্গে দেওয়া বিশিষ্ট ব্যক্তিদের সই করা শংসাপত্র নকল। অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায়, রেশন কার্ডের সঙ্গে পঞ্চায়েত প্রধান, বিধায়ক এবং পুরপ্রধানের সই করা নাগরিকের যে প্রমাণপত্র রয়েছে তা সঠিক নয়।
এর পরেই ঘটনাটি মহকুমা খাদ্য দফতরের পক্ষ থেকে সংশিষ্ট পুরপ্রধান, পঞ্চায়েত প্রধান ও বিধায়কের কাছে পাঠানো হয় তাঁদের সই সঠিক কি না তা পরীক্ষা করার জন্য। পরীক্ষার পর জানা যায়, সমস্ত সই নকল। বসিরহাটের পুর-চেয়ারম্যান কৃষ্ণা মজুমদার জানান বেশ কিছু আবেদনপত্রে প্রাক্তন পুরপ্রধান তথা বসিরহাট দক্ষিণের বিধায়কের সই আছে। অনেকগুলিতে বেশ কয়েক বছর আগেকার পুরপ্রধানের সই আছে। সবই নকল। খাদ্য দফতরের তরফে অভিযোগ, একটি চক্র বিশিষ্ট ব্যক্তিদের সই নকল করাই নয়, মোটা টাকার বিনিময়ে জন্ম ও মৃত্যুর শংসাপত্রও দিচ্ছে। সই নকলের বিষয়টি বিধায়ক ও খাদ্য দফতরকে জানানো হয়। পুর কর্তৃপক্ষ ও খাদ্য দফতর বিষয়টি পুলিশকে জানায়। অভিযোগ পেয়ে তদন্তে নামে পুলিশ। বৃহস্পতিবার রাতে নৈহাটির ঠাকরুনতলার বাড়ি থেকে সুধাংশুবাবুকে ধরে পুলিশ। পুলিশ জানায়, আর কারা এ বিষয়ে জড়িত তা দেখতে তদন্ত শুরু হয়েছে। |