রাত ১০টা নাগাদ খাওয়া-দাওয়া সেরে পরিবারের সকলে ঘুমিয়ে পড়েছিলেন। সেই সুযোগে দুষ্কৃতীরা কোলাপসিবল গেটের তালা ভেঙে ঘরে ঢুকে নগদ টাকা, সোনার গয়না নিয়ে চম্পট দিল। বৃহস্পতিবার ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর ২৪ পরগনার গাইঘাটা থানার বর্ণবেড়িয়া-মালোপাড়ায়। পুলিশ জানায়, শুক্রবার সকালে ওই পরিবারের গৃহকর্তা দেবদাস হালদার, ভারতী হালদার, জয়ন্তী হালদার, পার্থ হালদার, সুস্মিতা হালদার, ইতিকা হালদার ও জুঁই হালদার নামে সাতজনকে বনগাঁ মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। প্রাথমিক বাবে পুলিশের অনুমান খাবার সঙ্গে কোনও ওষুধ মিশিয়ে তাঁদের এমন দশা ঘটিয়ে লুঠপাট চালায় দুষ্কৃৃতীরা। পুলিশ একটি চুরির মামলা দায়ের করেছে। বনগাঁর এসডিপিও জয়ন্ত মুখোপাধ্যায় বলেন, “এর আগেও ওই এলাকায় দু’দুবার একইরকম ঘটনা ঘটেছে। দুষ্কৃতীদের ধরতে জোর তল্লাশি চলছে।” পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, দেবদাসবাবু পেশায় অবসরপ্রাপ্ত সেনাকর্মী। ঘটনার দিন রাত ১০টা নাগাদ পরিবারের সকলে ভাত খোায়ার পরে দুধ খেয়েছিলেন। তারপরেই সকলের মাথা ঘুরতে থাকে। একটু পরে সকলেই ঘুমিয়ে পড়েন। ভোর ৫টা নাগাদ উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী ইতিকার ঘুম ভেঙে যায়। কোনওরকমে উঠে দেখেন কোলাপসিবল গেটের তালা ভাঙা। পড়ে রয়েছে সোনার গয়নার খালি বাক্স। এর পরে তিনি সকলকে ডাকার চেষ্টা করেন। পরিবারের সদস্যদের দাবি, দুষ্কৃতীরা আলমারি ভেঙে প্রায় সাত ভরি সোনার গয়না ও কয়েক হাজার নগদ টাকা নিয়ে গিয়েছে। খোয়া গিয়েছে দু’টি মোবাইল ফোনও। খাবার সঙ্গে মাদক জাতীয় কিছু মিশিয়ে পরিবারের সকলকে গভীর ঘুমে পাঠিয়ে দুষ্কৃতীরা এই কাণ্ড ঘটিয়েছে বলে পুলিশের ধারণা। এমনকী ইতিকার বক্তব্য, দুধের সঙ্গে কিছু মেশানো হয়ে থাকতে পারে। যদিও আগের রাতে কাউকে তাঁরা বাড়িতে ঢুকতে দেখেননি বলেও জানিয়েছেন। কিছুদিন আগে একই ঘটনা ঘটেছে ওই এলাকায়। সে ক্ষেত্রেও রাতে খাওয়ার পরে পরিবারর সকলে অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন। চুরি যায় প্রচুর জিনিসপত্র। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, বাংলাদেশি দুষ্কৃতীরাই এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত। তদন্তে নেমে সমস্ত দিকই খতিয়ে দেখছে পুলিশ। |