দক্ষিণ কলকাতা: গড়িয়া, সোনারপুর
গ্রিনপার্ক শিক্ষাসদন
পঞ্চাশে পা
কাছাকাছির মধ্যে স্কুল ছিল হরিনাভিতে। বড় রাস্তা দিয়ে চলত একটি মাত্র বাস। আর তাতেই ভিড়ে ঠাসাঠাসি করে নিয়মিত স্কুলে যেতে হত পাড়ার ছেলেমেয়েদের।
প্রায় পঞ্চাশ বছর আগের সেই দিনগুলি আজও বাসিন্দাদের স্মৃতিতে উজ্জ্বল। এলাকার প্রবীণদের কথায়: এই অঞ্চলের পুরনো নাম ছিল কুমড়োখালি। তখন এই এলাকায় বাড়ির সংখ্যা হাতে গুনে বলা যেত। পরে এলাকাটির নাম হয় গ্রিনপার্ক। এখন আকাশ ঢেকে গিয়েছে বহুতলে। লোকসংখ্যাও বেড়েছে কয়েক গুণ। অঞ্চলের পুরনো বাসিন্দা বেলা চক্রবর্তী বলেন, “এলাকায় একটা স্কুলের দরকার থাকলেও প্রথম দিকে নানা কারণে তা হয়ে ওঠেনি।
কিন্তু বাসে চেপে পাড়ার ছেলেমেয়েদের অন্য জায়গায় পড়তে যাওয়ার বিষয়টিকেও মেনে নিতে পারতেন না অনেকে। এক দিন হরিনাভিতে স্কুল যাওয়ার পথে দুর্ঘটনায় মারা যায় পাড়ারই এক পড়ুয়া। এর পরেই বাসিন্দারা মিলে পাড়ায় একটি স্কুল গড়ার পরিকল্পনা করেন।”
সেই ১৯৬৩-র ২ ফ্রেব্রুয়ারি শুরু হয় যাত্রা। পাড়ার ক্ষুদে পড়ুয়াদের নিয়ে শুরু হয় গ্রিনপার্ক শিক্ষা সদনের প্রাথমিক বিভাগের পঠনপাঠন। টালির চাল, টিন আর বেড়া দিয়ে ঘেরা সেই গ্রিনপার্ক শিক্ষা সদন এ বার পঞ্চাশ বছরে পা রাখল।
স্কুলের প্রথমিক বিভাগের প্রধান শিক্ষক রবীন কর বলেন, ‘‘গুটি কয়েক পড়ুয়া নিয়ে শুরু হলেও আজ এই প্রাথমিক বিভাগে চারশো ছেলেমেয়ে পড়ে। কিন্তু আক্ষেপের বিষয়, এই প্রথমিক বিভাগ আজও সরকারি স্বীকৃতি পায়নি।”
স্কুল পরিচালন সমিতি সূত্রে খবর, ১৯৮৪ সালে গ্রিনপার্ক শিক্ষা সদন মাধ্যমিক এবং ১৯৯২ সালে উচ্চমাধ্যমিক স্কুল হিসেবে ঘোষিত হয়। স্কুলের বর্তমান প্রধান শিক্ষক সুতপা চক্রবর্তী বলেন, “মাধ্যমিক এবং উচ্চমাধ্যমিক মিলিয়ে আমাদের স্কুলে এখন পড়ুয়ার সংখ্যা দেড় হাজার। এর মধ্যে একটি বড় অংশের পড়ুয়া সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের।”

ছবি: পিন্টু মণ্ডল




অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.