|
|
|
|
|
|
|
ক্লিক অর প্রেস |
ক্লিক করলেই কেনাকাটি
অতি সহজে কেনাকাটি করা যায়।
কিন্তু নিরাপদ কি? উত্তর দিচ্ছেন সুরিত ডস |
|
কয়েকটি ক্লিক! জিনিস পৌঁছে যাবে আপনার দরজায়। বই থেকে জুতো ২৪ঘণ্টা সবই মিলবে। এমনকী জিনিস খারাপ হলে কয়েকটি ক্ষেত্রে তা বদলে নেওয়ার সুযোগও আছে। জেট যুগে ক্রমেই জনপ্রিয় হয়ে উঠছে অনলাইন কেনাকাটি। কিন্তু কতটা নিরাপদ? এ বার এ নিয়েই বলব।
নিজের নাম থেকে ক্রেডিট কার্ডের খুঁটিনাটি অনলাইন কেনাকাটির সময়ে অনেক তথ্য দিতে হয়। বিপদ এখানেই। কোনও কারণে এ সব তথ্য বেহাত হলেই নানা অনিষ্ট হতে পারে। তাই নিরপত্তার বিষয়টি সবসময় মাথায় রাখতে হবে।
প্রথমেই বলি, যে সব সাইটে আপনি স্বচ্ছন্দ নন তাতে কেনাকাটি করবেন না। সাইটের সামান্য ভুল বানান, কম রেজলিউশনের লোগো, ছবি এবং বড্ড বেশি তথ্য চাইলে সাবধান হন।
স্প্যাম মেল খোলাই উচিত নয়। খুলে ফেললেও কেনাকাটি একদমই করবেন না। ওয়েব ব্রাউজারের অ্যাড্রেসবারে সরাসরি সাইটের নাম লিখলে ভাল। সাইটে কোনও পপ-আপ খুললে তাতে কোনও ব্যক্তিগত তথ্য না দেওয়াই ভাল। সাইট খোলার পরে URL ঠিক আছে কি না আবার দেখে নিন। একই সঙ্গে সাইটে ‘সিকিউরিটি লোগো’ আছে কি না দেখে নিন। এর মানে কোনও তৃতীয় পক্ষ সাইটটির সুরক্ষা পরীক্ষা করে দেখেছে। এ ক্ষেত্রে তথ্য চুরির আশঙ্কা অনেক কম।
দেখে নিন সাইটে তথ্য এনক্রিপশন হচ্ছে কি না। এনক্রিপশন হলে আপনি সাইটে যে সব তথ্য দেবেন তা গোপন থাকবে। এ ধরনের সাইটের কোথাও ‘চাবি’ চিহ্ন খুঁজে পাবেন এবং দেখবেন সাইটের URLটি ‘http://’এর বদলে ‘https://’ দিয়ে শুরু হচ্ছে।
|
|
অলঙ্করণ: দেবাশীষ দেব |
অনলাইনে ডেবিট কার্ডের থেকে ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করা ভাল। কারণ, কোনও ভাবে ক্রেডিট কার্ডে টাকা খোয়া গেলে সাধারণত ক্রেডিট কার্ড সংস্থা টাকা ফিরিয়ে দেয়। তা ছাড়া আপনি আইনি সাহায্যও পাবেন। কিন্তু ডেবিট কার্ড হলে টাকা ফেরত পাওয়া কঠিন।
ক্রেডিট কার্ডে মাত্র এক বার ব্যবহারযোগ্য ‘ভার্চুয়াল’ কার্ডও তৈরি করা যায়। রেজিস্ট্রেশন থাকলে অনলাইনে আপনি এ ধরনের ক্রেডিট কার্ড তৈরি করে নিতে পারবেন যার নম্বর, সিভিভি এবং এক্সপায়ারি ডেট আপনার আসল কার্ডের থেকে আলাদা। এই কার্ড ব্যবহার করলে অনলাইনে আপনাকে আপনার আসল কার্ডটির এই সব তথ্য দিতেই হচ্ছে না। ফলে তথ্য চুরির সম্ভাবনাও অনেক কমে যাচ্ছে। তা ছাড়া ‘ভার্চুয়াল’ কার্ডটি একটি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে নিষ্ক্রিয় হয়ে যায়। ফলে চোর তার তথ্য জানলেও তা ব্যবহার করতে পারবে না। তবে অনলাইনে একটি ক্রেডিট কার্ডই ব্যবহার করবেন। এতে হিসাব বুঝতে সুবিধা হবে।
বিদেশে কয়েকটি সংস্থা ক্রেডিট বা ডেবিট কার্ড ছাড়াই অ্যাকাউন্ট খুলে অনলাইনে কেনাকাটির সুযোগ দেয়। আশার কথা, এ দেশেও কিছু দিনের মধ্যেই এই সুবিধা পাওয়া যাবে।
ইন্টারনেট কাফে বা অফিসের কম্পিউটার থেকে কেনাকাটি করবেন না। কম্পিউটারে অনলাইনে কাজকর্মের অনেক তথ্যই ‘cache’-এ সেভ হয়ে থাকে। এতে সাইট দ্রুত খোলে। ফলে অন্য কেউ আপনার তথ্য জেনে যেতে পারেন। তা ছাড়া ঠিকমতো লগআউট না করলে লগইন পাসওয়ার্ড ও ইউজার নেম ফাঁস হয়ে যেতে পারে। তাই বাড়ির কম্পিউটারই ব্যবহার করুন।
ইন্টারনেট সংযোগ যেন সুরক্ষিত হয়। ওয়্যারলেস সংযোগে ইন্টারনেট (ওয়াইফাই) অনেক সময়েই সুরক্ষিত থাকে না, হ্যাকিং-এর আশঙ্কা থাকে। এ ধরনের নেটওয়ার্কে কেনাকাটি না করাই ভাল।
কম্পিউটারকেও সুরক্ষিত রাখতে হবে। কম্পিউটারে ভাল অ্যান্টি-ভাইরাস, অ্যান্টি-স্পাইঅয়্যার, অ্যান্টি-ম্যালঅয়্যার থাকা দরকার। কি-লগার বলে এক ধরনের ম্যালঅয়্যার আছে। এটি কি-বোর্ডে আপনি কোনও ‘কি’ টিপলে তা রেকর্ড করে নেয়। ফলে ক্রেডিট কার্ডের নম্বর, পাসওয়ার্ড বা অন্য যে কোন তথ্য সহজে অন্যের কাছে পৌঁছে যায়। তাই এই সময় ‘ভার্চুয়াল কি-বোর্ড’ ব্যবহার করুন।
কঠিন পাসওয়ার্ড তৈরি করুন। পাসওয়ার্ড অন্তত ১০টি অক্ষরের হলে ভাল হয়। সংখ্যা, স্পেশাল ক্যারেক্টার, অক্ষর দিয়ে পাসওয়ার্ড তৈরি করুন। পাসওয়ার্ড মনে রাখতে পারলে সবচেয়ে ভাল হয়। নইলে কোনও গোপন জায়গায় লিখে রাখুন। ক্রেডিট কার্ডের নম্বর ও পাসওয়ার্ডও একই ভাবে রাখুন। কোনও সাইটে গিয়ে ‘remember your credit card number or password’-এ কখনও ক্লিক করবেন না।
|
|
|
|
|
|
|