ওডাফা ওকোলি এবং র্যান্টি মার্টিন্সের পরে ভারতের সবচেয়ে দামি ফুটবলার হতে চলেছেন টোলগে ওজবেই। দল বদলের বাজারে তাঁর দাম উঠল দেড় কোটিরও কাছাকাছি।
আর অস্ট্রেলিয়ান স্ট্রাইকারকে ধরে রাখতে মরিয়া ইস্টবেঙ্গল দ্বারস্থ হল প্রধান স্পনসর ইউ বি গ্রুপের দরজায়।
ইস্টবেঙ্গলের মতো মোহনবাগান এবং প্রয়াগ ইউনাইটেডও টোলগেকে পেতে ঝাঁপিয়েছে। টোলগের ব্যাপারে আশাবাদী হলেও ইস্টবেঙ্গল তাঁর বাড়ির উপর কড়া নজর রাখছে। যাতে বাকি দুটো ক্লাব কর্তারা সহজে টোলগের সঙ্গে কথা বলতে না পারে। টোলগে অবশ্য ফোনেই যোগাযোগ রাখছেন অন্যদের সঙ্গে। তবে লাল হলুদ কর্তাদের বলেছেন, আমার প্রথম পছন্দ ইস্টবেঙ্গল। লাল হলুদ ফুটবল সচিব সন্তোষ ভট্টাচার্য বললেন, “টোলগের সঙ্গে আমাদের কথা হয়েছে। ও কিছু বাড়তি টাকা দাবি করেছে। ইউ বি-র সঙ্গেও এটা নিয়ে কথা বলছি। ওরা রাজি হয়ে গেলে আমাদের রাখতে কোনও অসুবিধা নেই। তবে আমরা কিছুতেই আমাদের বাজেটের বাইরে যাব না।” ইস্টবেঙ্গলের প্রধান কর্তা দেবব্রত সরকার অবশ্য বললেন, “টোলগে হয়তো ইস্টবেঙ্গলেই থাকবে।”
টোলগে এত টাকা দাবি করায় ইস্টবেঙ্গলের একটা অংশ অবশ্য নতুন বিদেশি খোঁজারও পক্ষপাতী। তাঁদের আশঙ্কা, টোলগে এত বেশি টাকা পেলে ক্ষুব্ধ হতে পারেন পেন-ওপারা। যাঁদের প্রায় দ্বিগুণ টাকা পাবেন টোলগে। তা ছাড়া বর্তমান পরিস্থিতিতে ইউ বি গ্রুপের পক্ষে বাজেট বেশি বাড়ানো হচ্ছে না। বিমান ব্যবসা সামলাতে তারা হিমসিম। অস্ট্রেলিয়ান তারকা আরও কয়েক দিনের মধ্যে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন বলে শোনা যাচ্ছে। এ দিন মুম্বই এফ সি ম্যাচ শেষ হওয়ার পরে টোলগে বলে গেলেন, “যা সিদ্ধান্ত নেব, মরসুম শেষেই।” ফুটবলাররা অবশ্য সবাই এ কথা বলেন। কিন্তু আসলে সিদ্ধান্ত নেন আগেই।
টোলগে নিয়ে টানাপোড়েনের ফাঁকে ইস্টবেঙ্গলের নজরে আর এক বিদেশি চিডি এডে। র্যান্টি মার্টিন্সকে না পাওয়ার জন্যই খোঁজ পড়েছে চিডির। তবে চিডিকে নিতে গেলে প্রায় কোটি টাকা দিতে হবে। সেখানেও বৈষম্য নিয়ে সমস্যা হতে পারে। তাই তাঁর বদলে নতুন বিদেশি নেওয়া যায় কি না, সেই কথাও উঠছে।
ইস্টবেঙ্গলে আর একটা বড় চমক হতে পারে সালগাওকরের টোম্বা সিংহ। দীর্ঘদিনের চোট আঘাত সারিয়ে টোম্বা স্বমহিমায় এ বার। তাই তাঁর সঙ্গে কথা বলছে অনেক ক্লাব। ইস্টবেঙ্গল কথা চালাচ্ছে সালগাওকরের ডিফেন্ডার খেলেম্বা সিংহের সঙ্গেও। টোম্বা, খেলেম্বা দু’জনেই ঝুঁকে ইস্টবেঙ্গলে। |