ডেম্পোর বিরুদ্ধে রবিবার খেলতে নামার আগে মোহনবাগান শিবিরে দুটো শব্দই ঘুরছে।
বদলা এবং চাপ।
মোহনবাগান মারগাওতে ৫ গোলে হেরেছিল ডেম্পোর কাছে। সে বার কোনও বিদেশি ছিল না সুব্রত ভট্টাচার্যর হাতে। আগের ম্যাচেও পুণেতে এক বিদেশি নিয়ে খেলতে হয়েছিল। এ বার মরিয়া সুব্রত হাতে থাকা তিন বিদেশিকেই খেলিয়ে দিতে চান। ভাবছেন ৪-৩-৩ ছকের কথা। আক্রমণে লোক বাড়িয়ে।
অন্য দিন ওডাফা কোনও কথা বলেন না। শুক্রবার তাঁবু থেকে বেরোনোর সময় তিনিও বলে গেলেন, “খুব গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ। তিন পয়েন্ট নিতেই হবে।” চোটের জন্য দীর্ঘদিন বাইরে হাদসন লিমা এবং ব্যারেটো। দু’জনেই কোচের কাছে আর্জি জানিয়েছেন, পুরো সুস্থ। খেলতে চান। হাদসন ভালই প্র্যাক্টিস করলেন। সুব্রত যা দেখে বলে দিলেন, “ওরা যখন খেলতে চায়, দু’জনকেই প্রথম দলে খেলানোর ইচ্ছে রয়েছে।”
এ দিকে, মনস্তাত্বিক চাপ তৈরি শুরু করে দিয়েছেন ডেম্পো কোচ আর্মান্দো কোলাসো। শুক্রবার পুরো টিম নিয়ে এখানে এসেছেন তিনি। এবং এ দিন প্র্যাক্টিসের মাঠ পাওয়া নিয়ে দু’বার সময় বদলের পর এক প্রস্থ নাটকের শেষে তাঁর দল মোহনবাগান মাঠে প্র্যাক্টিসই করবে না বলে জানিয়ে দিলেন।
সুব্রতর অবশ্য তা নিয়ে মাথা ব্যথা নেই। সামনে ওডাফা-ব্যারেটো। সামান্য পিছন থেকে সুনীল ছেত্রী, দৌড়োদৌড়ির জন্য। মাঝমাঠে হাদসন, রাকেশ মাসি, মণীশ মৈথানি। আপাতত এই দল ভেবে এগোচ্ছেন তিনি। চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আজ প্র্যাক্টিস শেষে। শুক্রবার প্র্যাক্টিস শেষে রহিম নবি থেকে শুরু করে প্রশান্ত বন্দ্যোপাধ্যায়, সবার মুখেই বদলার কথা। “প্রতিশোধ চাই। আর জেতা মানে ডেম্পোকে চাপে ফেলা।” বললেন নবি।
রবিবার না জিতলে আই লিগ জয়ের স্বপ্ন পুরোপুরি শেষ মোহনবাগানের। তাই জিততে মরিয়া ওডাফা থেকে নবি সবাই। ব্যারেটো, হাদসনের দেখানোর পালা, তাঁরা শেষ হয়ে যাননি।
শুক্রবার সকালে ইউ বির প্রতিনিধি এসে ক্লাবে কর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করলেন। প্রধান বিষয়, পরের বারের দল গঠন। ইউ বির পাশাপাশি আর একটা স্পনসর নেওয়ার চেষ্টায় মোহনবাগান। কিন্তু তাদের জালে এখনও ডেনসন দেবদাস ছাড়া কোনও নামী তারকা ধরা দেননি। মোহনবাগানের তিন বিদেশির ভাবনায় রয়েছেন টোলগে ওজবে, কালু এবং জেমস মোগা। কথাবার্তা চালছে তিন জনের সঙ্গে। কেউ নিশ্চিত নন। কালুকে নিয়ে তীব্র আপত্তি আছে ওডাফার। পাশাপাশি বিদেশি ডিফেন্ডার নিয়েও কোনও নির্দিষ্ট সিদ্ধান্ত নিতে পারেননি ক্লাব কর্তারা। টোলগেকে না পেলে তাইল্যান্ডের নতুন ডিফেন্ডার বা চার্চিলের অস্ট্রেলিয়ান ডিফেন্ডার আন্টুন কোভাসিসের কথা ভাবা হচ্ছে। সিরিয়ার এক মিডফিল্ডারকে নিয়েও কথা চলছে। |