টুকরো খবর
যুবকের মৃত্যু, ধৃত ৭ বন্ধু
বন্ধুদের সঙ্গে বৃহস্পতিবার রাতে কালীপুজো দেখতে বেরিয়েছিলেন এক যুবক। শুক্রবার ভোরে নিজেরই বাড়ির উঠোনে তাপস মালিক (২৬) নামে ওই যুবককে মৃত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা গেল। তাঁকে খুন করা হয়েছে, এই অভিযোগে তাঁর সাত বন্ধুকে মারধর করে পুলিশের হাতে তুলে দেন প্রতিবেশীরা। গ্রেফতার করা হয়েছে সকলকে। ঘটনাটি আরামবাগের ঘরগোয়াল গ্রামের। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, বন্ধুদের সঙ্গে বর্ধমানের জামালপুরে যাবেন বলে বেরিয়েছিলেন তাপস। এ দিন ভোরে তাঁকে উঠোনে শুয়ে থাকতে দেখে বৃদ্ধ বাবা ভেবেছিলেন, ছেলে ঘুমিয়ে আছে। ডেকে তুলতে গিয়ে দেখেন, দেহে প্রাণ নেই। এরপরেই গ্রামে হইচই পড়ে যায়। তাপসের সঙ্গীদের মারধর করে একটি ঘরে তালাবন্ধ করে রাখে জনতা। খবর দেওয়া হয় পুলিশকে। দেহ ময়না-তদন্তে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। গ্রেফতার করা হয়েছে ভীম মালিক, কার্তিক মালিক-সহ সাত জনকে। পুলিশের দাবি, ধৃতদের জেরা করে জানা গিয়েছে, কার্তিকের ভুটভুটিতে চেপে বেরিয়েছিলেন সকলে। মদ্যপ অবস্থায় বন্ধুদের মধ্যে কোনও কারণে তর্কাতর্কি বাধে। ভুটভুটি স্টার্ট দেওয়ার লোহার যন্ত্র দিয়ে তাপসের মাথায় ঘা মারা হয়। নেশার ঘোরে কেউ বুঝতেও পারেননি, মারা গিয়েছেন ওই যুবক। পরে বন্ধুরাই তাঁকে ধরাধরি করে বাড়ি উঠোনে এনে শুইয়ে দেন।

ঠিকাকর্মীদের দাবি মঞ্জুর
ছবি: তাপস ঘোষ।
ন্যূনতম মজুরি ও কাজের নিশ্চয়তার দাবিতে ৪ দিন ধরে অনশন-কর্মসূচি চালাচ্ছিলেন সারা বাংলা হাসপাতাল রোগী কল্যাণ ও অস্থায়ী ঠিকাকর্মী ঐক্য কেন্দ্রের সদস্যেরা। চুঁচুড়া ইমামবাড়া সদর হাসপাতালে ওই ঠিকাকর্মীদের অনশন তুলে নেওয়ার জন্য শুক্রবার পুলিশ, প্রশাসন ও স্বাস্থ্য দফতরের তরফে অনুরোধ করা হয়। তা সত্ত্বেও অনশন চালাতে থাকেন আন্দোলনকারীরা। পরে বিশাল পুলিশ বাহিনীকে ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়। হুগলি জেলার এসডিও (সদর) জলি চৌধুরী, মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক উন্মেষ বসু ও হাসপাতাল সুপার শ্যামল চক্রবর্তী তাঁদের কিছু দাবি মেনে নিলে অনশন ওঠে।

মারপিট, মৃত্যু বধূর
নিকাশি নালাকে কেন্দ্র করে দুই প্রতিবেশী পরিবারের বিবাদে প্রাণ গেল এক মহিলার। বৃহস্পতিবার ঘটনাটি ঘটেছে গোঘাটের নলডুবি গ্রামে। ওই দিন দুপুরের দিকে তৃণমূল কর্মী রামকৃষ্ণ সাঁতরা ও তাঁর স্ত্রী অসীমা সাঁতরার (৩৫) সঙ্গে নালা নিয়ে ঝগড়া বাধে সিপিএম কর্মী রঘুনাথ সাঁতরার। দু’পক্ষের মধ্যে বাঁশ-কাটারি নিয়ে মারামারি বেধে যায়। বাঁশের আঘাতে জখম হন অসীমা। তাঁকে ভর্তি করা হয়েছিল আরামবাগ মহকুমা হাসপাতালে। রাতের দিকে পাঠানো হয় এসএসকেএম হাসপাতালে। সেখানেই মারা যান ওই মহিলা। পুলিশ এই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে গ্রেফতার করেছে ৫ জনকে। দেহ ময়না-তদন্ত করানো হয়। ঘটনাচক্রে দুই পরিবার পৃথক রাজনৈতিক শিবিরের সঙ্গে যুক্ত থাকায় শুক্রবার সকালে কিছুটা রাজনৈতিক উত্তেজনাও ছড়ায় এলাকায়।

বাসন্তী পুজো নলপুরে
ছবি: রমাপ্রসাদ গঙ্গোপাধ্যায়।
বাসন্তী পুজোতে সাঁকরাইলের নলপুর এলাকা প্রতিবারের মতো এ বারও সরগরম। ২ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে ১২টিরও বেশি বারোয়ারি পুজো হয়। সুদশ্য মণ্ডপের পাশাপাশি থাকে ‘থিম’পুজোও। আসে চন্দননগরের আলো। রঘুদেববাটি গ্রামের সাঁতরাপাড়ায় স্বেচ্ছাসেবী সোসাইটি ক্লাবের এ বারের ‘থিম’ আলিপুর চিড়িয়াখানা। জীবজন্তুর মাটির মডেল ব্যবহার করা হয়েছে। চকশ্রীকৃষ্ণপুরের মণ্ডপ তৈরি হয়েছে রাজভবনের অনুকরণে। মুচির মাঠ জনকল্যাণ সমিতির মণ্ডপ হয়েছে ব্যান্ডেল চার্চের আদলে। এ ছাড়াও, হীরাপুর যুবগোষ্ঠী, বুলেট সঙ্ঘ, ব্রাহ্মণপাড়া যুবকবৃন্দ, উলা বালক সঙ্ঘ-সহ অন্যান্য পুজো কমিটিও নজরকাড়া মণ্ডপ বানিয়েছে।

পোলবায় আইজি
পোলবায় এক বধূকে গণধর্ষণ ও তাঁর স্বামীকে খুনের ঘটনার তদন্তে শুক্রবার তদন্তে এলেন আইজি (পশ্চিমাঞ্চল) গঙ্গেশ্বর সিংহ। নিহতের স্ত্রী-ছেলের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। সঙ্গে ছিলেন হুগলির পুলিশ সুপার তন্ময় রায়চৈাধুরী ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর) অশেষ বিশ্বাস-সহ পদস্থ কর্তারা। শীঘ্রই দোষীদের গ্রেফতার করা সম্ভব হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন পুলিশ কর্তারা। প্রসঙ্গত, বুধবার রাতে পোলবার গ্রামের ওই পরিবারে লুঠপাট চালায় দুষ্কৃতীরা। খুন করা হয় গৃহকর্তাকে। তাঁর ছেলের হাত-পা-চোখ বেঁধে দেওয়া হয়। স্ত্রীকে গণধর্ষণ করে পালিয়ে যায় দুষ্কৃতীরা।

মৃতদেহ উদ্ধার
শৌচাগারের পাইপ দিয়ে রাস্তায় চুঁইয়ে পড়ছিল ফোঁটা ফোঁটা রক্ত। সাতসকালে পরিত্যক্ত একটি আবাসনের সামনে এই দৃশ্য দেখে চমকে ওঠেন স্থানীয় বাসিন্দারা। শেষে আবাসনের একটি কোয়ার্টারে ঢুকে দেখা যায়, শৌচাগারে পড়ে এক যুবকের ক্ষতবিক্ষত দেহ। শুক্রবার, সাঁতরাগাছি রেল কোয়ার্টার্সে। পুলিশ জানায়, নিকাশি নালার কাছেই অজ্ঞাতপরিচয় যুবকের দেহটি পড়ে ছিল। মাথা ও গলায় একাধিক ক্ষতচিহ্ন। পুলিশের অনুমান, তিন-চার দিন আগে শৌচাগারেই ধারালো অস্ত্র দিয়ে ওই যুবককে খুন করা হয়। স্থানীয়দের অভিযোগ, প্রায়শই রাতে ওই রেল আবাসনে অসামাজিক কাজকর্ম হয়।

ছিনতাইকারী ধৃত
এক মহিলার হার ছিনতাই করে পালাতে গিয়ে ধরা পড়ে গেল এক যুবক। শুক্রবার বিকেলে ঘটনাটি ঘটেছে হাওড়ার ফোরশোর রোডে। ধৃতের নাম শেখ রাজু। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন বিকেল ৫টা নাগাদ ফোরশোর রোডে পথচারী এক মহিলার গলা থেকে একটি সোনার হার ছিনিয়ে নিয়ে রাস্তা দিয়ে ছুটতে শুরু করে ওই যুবক। মহিলার চিৎকারে স্থানীয় বাসিন্দারা রাজুকে তাড়া করেন। তখন রাস্তার ধারে একটি ঝোপের ভিতরে ঢুকে পড়ে সে। স্থানীয় বাসিন্দারা সেখান থেকে তাকে ধরে পুলিশের হাতে তুলে দেয়। পুলিশ জানিয়েছে, ওই যুবক সোনার হারটি খেয়ে ফেলেছে। তাকে গ্রেফতার করে হাওড়া হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

বৃদ্ধের ঝুলন্ত দেহ
এক ব্যক্তির ঝুলন্ত দেহ মিলল। শুক্রবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে জি টি রোডের বেলুড় পেট্রোল পাম্পে। মৃতের নাম কানাইলাল দাস (৬৫)। তিনি ওই পাম্পেরই কর্মী ছিলেন। কয়েক বছর আগে অবসর নেন। তবে অবসর নিলেও কানাইবাবু থাকতেন পাম্প লাগোয়া একটি বাড়িতে। পুলিশ জানায়, এ দিন কর্মীরা এসে অফিস ঘরের ছাদের সিঁড়ি থেকে কানাইবাবুর ঝুলন্ত দেহ দেখেন। হাসপাতালে তাঁকে মৃত ঘোষণা করা হয়। পুলিশের অনুমান, এটি আত্মহত্যা।

তলিয়ে গেল দুই কিশোর
শুক্রবার গুপ্তিপাড়া খেয়াঘাটে স্নান করতে নেমে তলিয়ে গেল চিরঞ্জিৎ বিশ্বাস ও তপন রায় নামে দুই কিশোর। এক ব্যক্তির সৎকারে এসেছিল তারা। তাদের খোঁজ চলছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

ধিক্কার মিছিল
বিডিওকে নিগ্রহের অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছিল গোঘাটের বেঙ্গাই অঘোরকামিনী মহাবিদ্যালয়ের অধ্যক্ষকে। তারই প্রতিবাদে শুক্রবার কলেজের শিক্ষক-কর্মীরা মৌনী মিছিল করেন এলাকায়।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.