|
|
|
|
ধৃত যুবক |
স্ত্রীকে খুন করে প্রমাণ লোপের চেষ্টার অভিযোগ |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
স্ত্রীকে খুন করে প্রমাণ লোপাটের চেষ্টার অভিযোগ ছিল এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। কিন্তু ঘটনার পর থেকেই সে বেপাত্তা ছিল। নিখোঁজ ছিল তাদের তিন বছরের শিশু-কন্যাও। ঘটনার প্রায় দুই বছর বাদে অভিযুক্ত রাজেশ সিংহকে ধরল পুলিশ। খোঁজ মিলেছে মেয়েরও।
পুলিশ সূত্রে খবর, ২০১০-এর ১৮ মে বালির বসুকাটির জামতলায় একটি বন্ধ বাড়ি থেকে সোমা সিংহ নামে এক বধূর কম্বলে জড়ানো বাক্সবন্দি পচাগলা দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। তদন্তে পুলিশ জেনেছিল, ওই বাড়িতেই স্ত্রী সোমা ও ৩ বছরের মেয়েকে নিয়ে ভাড়া থাকত পরিবহণ ব্যবসায়ী রাজেশ। ঘটনার তিন মাস আগে এক দিন মেয়েকে নিয়ে রাজেশকে এলাকার বাইরে যেতে দেখেন স্থানীয়েরা। তার পর থেকে ওই পরিবারের কাউকে দেখা যায়নি। পুলিশ জানতে পেরেছিল, স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে অশান্তি হত। সোমার পরিজনেরা রাজেশের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ দায়ের করেছিল।
কয়েক মাস আগে পুলিশ জানতে পারে, ঘটনার পর থেকেই রাজেশ মেয়েকে নিয়ে উত্তরপ্রদেশের সুলতানপুরে দিদির বাড়িতে লুকিয়ে আছে। বালি থানা থেকে একটি দল সেখানে হানা দিয়ে বুধবার রাজেশকে গ্রেফতার করে। শুক্রবার তাকে বালিতে আনা হয়। পুলিশ জানায়, সুলতানপুরে গাড়িচালকের কাজ করছিল রাজেশ। তার মেয়ে উত্তরপ্রদেশে রাজেশের দিদির কাছেই আছে। জেরায় রাজেশ পুলিশকে জানিয়েছে, ঘটনার দিন কাজ থেকে বাড়ি ফিরে সে মেয়েকে জিজ্ঞাসা করে সোমা কোথায়। মেয়ে জানিয়েছিল মা পাশের ঘরে আছে। সেখানে গিয়ে রাজেশ দেখে সোমা গলায় দড়ি দিয়ে ঝুলছে। তখন ভয় পেয়ে পুলিশকে খবর না দিয়ে স্ত্রীকে কম্বল জড়িয়ে টিনের বাক্সের ভিতরে লুকিয়ে রেখে পালিয়েছিল সে। হাওড়া সিটি পুলিশের ডেপুটি কমিশনার (সদর) সুকেশ জৈন বলেন, “স্ত্রীকে খুন করে প্রমাণ লোপাটের চেষ্টার অভিযোগ ছিল রাজেশের বিরুদ্ধে। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে ওকে গ্রেফতার করা হয়েছে।” |
|
|
|
|
|