|
|
|
|
তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব হুগলিতে |
মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে ফিরিয়ে আনা হল ঘরছাড়া পরিবারকে |
নিজস্ব সংবাদদাতা • শ্রীরামপুর |
জমির দখল নিয়ে মারামারির জেরে ঘরছাড়া পরিবারকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে ফেরানো হল ঘরে। ‘প্রভাবশালী’ তৃণমূল নেতা তথা রিষড়া পুরসভার কাউন্সিলর বিজয়সাগর মিশ্র ও তাঁর পরিবারের বিরুদ্ধেই পড়শিদের ঘর ভাঙচুর এবং হুমকি দেওয়ার অভিযোগ ওঠে।
ঘটনাটি শ্রীরামপুর পুরসভার ২৪ নম্বর ওয়ার্ডের প্রভাসনগরের। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এখানেই বাড়ি বিজয়সাগরবাবুদের। পাশেই টালির চালের ঘরে থাকেন নাগেশ্বর সোনার বর্মা। সংলগ্ন একটি জমির দখল নিয়ে দুই পরিবারের বিবাদ দীর্ঘ দিনের। মামলাও চলছে আদালতে। গত ২২ মার্চ পানীয় জলের সংযোগ নেওয়াকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের মারামারি বাধে। দু’পক্ষেই অ্যাসিড ছোড়ে বলে অভিযোগ। কয়েক জন জখম হন। দু’তরফের দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়। |
|
ছবি: প্রকাশ পাল। |
অভিযোগ, এর পরেই বিজয়সাগরবাবু ও তাঁর দাদা গঙ্গাসাগর দলবল নিয়ে এসে নাগেশ্বরের ঘর ভেঙে দেন। সেই থেকে পরিবারটি অন্যত্র আশ্রয় নেয়। তাঁদের দাবি, খোলা আকাশের নীচে রাত কাটাতে হয়েছে এ ক’দিন। পুলিশও তাঁদের ফেরানোর কোনও ব্যবস্থা করেনি বলে অভিযোগ।
স্থানীয় রাজনীতিতে বিজয়সাগরবাবুর বিরুদ্ধ গোষ্ঠীর তৃণমূল নেতা সাবির আলি নাগেশ্বরবাবুদের হয়ে পদক্ষেপ করেন। গত বৃহস্পতিবার ঘরছাড়া পরিবারটিকে তিনি নিয়ে যান মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করাতে। বিজয়সাগরদের বিরুদ্ধে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে লিখিত নালিশ জানান তাঁরা। মুখ্যমন্ত্রী হুগলির পুলিশ সুপারকে নির্দেশ দেন, ওই পরিবারকে ঘরে ফেরাতে হবে। তারপরেই শুক্রবার শ্রীরামপুর থানার অফিসারদের উপস্থিতিতে ভাঙাচোরা ঘরেই ফেরেন নাগেশ্বরবাবুরা।
বিজয়সাগরবাবুরা অবশ্য সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। গঙ্গাসাগরবাবু বলেন, “ওরা আমাদের জমিতে বাস করছে। তা-ও আমরা উঠে যেতে বলিনি। ২২ তারিখ ওরাই আমাদের আক্রমণ করে। ওরা নিজেরাই নিজেদের ঘর ভেঙে সুবিধা নিতে চাইছে। অন্যায় ভাবে এতে রাজনীতিও জড়াচ্ছে।” বিজয়সাগরবাবুর বক্তব্য, “পরিবারটি মিথ্যাচার করছে। আর কিছু লোক আমাদের দলে থেকেই তা নিয়ে নোংরা রাজনীতি করছেন।”
সাবির অবশ্য স্পষ্টই বলেন, “বিজয়বাবু ও তাঁর পরিবারের জন্য আমাদের দলের বদনাম হচ্ছে। ওঁরা দীর্ঘ দিন ধরেই এলাকায় যা খুশি তা-ই করছেন। মুখ্যমন্ত্রী সঠিক পদক্ষেপ করেছেন।” জেলা পুলিশের এক কর্তা বলেন, “ওই বিষয়টি নিয়ে দেওয়ানি মামলা চলছে। ফৌজদারি মামলায় অভিযুক্তদের মধ্যে অনেকেই পলাতক। তাদের সকলকে গ্রেফতার করা হবে। পরিবারটির নিরাপত্তার দায়িত্ব অবশ্যই নেওয়া হবে।” |
|
|
|
|
|