শেষ পর্যন্ত ত্রিপুরা সরকারও বিদ্যুৎ মাসুল বাড়াল। ১ এপ্রিল থেকে ইউনিট প্রতি বর্ধিত মাসুল কার্যকর হবে। ত্রিপুরা বিদ্যুৎ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (টিইআরসি) চেয়ারম্যান মনোরঞ্জন কর্মকার জানান, রাজ্যে ইউনিট প্রতি গড়ে ১৭ শতাংশ মাসুল বৃদ্ধি হবে। পয়সার হিসেবে যা ৬৯ পয়সা। প্রতিটি ক্ষেত্রে স্তর অনুযায়ী ভিন্ন ভিন্ন মাসুল বৃদ্ধি পাবে। কিছু দিন আগেই রাজ্য বিদ্যুৎ নিগম গড়ে ৪৮ শতাংশ মাসুল বৃদ্ধির প্রস্তাব টিইআরসিকে দিয়েছিল। কিন্তু টিইআরসি মাত্র ১৭ শতাংশ বৃদ্ধির অনুমতি দিয়েছে। ২০১১-১২ অর্থ বছরের শেষে নিগমের যে ঘাটতি হবে বলে আশঙ্কা রয়েছে, মাসুল বৃদ্ধির ফলে ২০১২-১৩ অর্থবর্ষে সেই ঘাটতি ৫০ কোটি টাকা কম হবে বলে মনে করা হচ্ছে। তিনি বলেন, এ বারেও বিদ্যুৎ নিগমকে রাজ্য সরকার ভর্তুকি দেওয়ার কথা ‘গুরুত্ব দিয়েই বিবেচনা করছে’। সে ইঙ্গিত পাওয়া গেল বিদ্যুৎ দফতরের সচিবের কথায়। ‘রাজ্য সরকার ২০১২-১৩ সালেও বিদ্যুতে ভর্তুকি দেওয়ার কথা বিবেচনা করছেন’, এ কথা জানালেন বিদ্যুৎ দফতরের সচিব এস আর কুমার। কিন্তু কতটা ভর্তুকি দেওয়া হবে, সেটা টিইআরসি’র রিপোর্ট খুঁটিয়ে দেখার পর সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। ভর্তুকির টাকা রাজ্য সরকার বিদ্যুৎ নিগমকে দিয়ে থাকে। এ প্রসঙ্গে বিদ্যুৎ দফতরের মন্ত্রী মানিক দে বলেন, রাজ্য সরকার চায় না বিদ্যুৎ পরিষেবা দিতে গিয়ে সাধারণ মানুষের উপর বেশি বোঝা চাপানো হোক। আর টিইআরসি’র অধিকর্তা বলেন, রাজ্য সরকার শেষ বার মাসুল বৃদ্ধি করেছিল ২০০৫-০৬ সালে। তার পরে ২০১২ সালে। অবশ্য জ্বালানির খরচ (ফুয়েল চার্জ) বাবদ বিদ্যুতের ইউনিটে কিছুটা দাম বাড়ে ২০১০ সালে। কেন্দ্রীয় বিদ্যুৎ আইন ২০০৩ অনুযায়ী, রাজ্যে ২০০৫-০৬ সালেই গঠিত হয় বিদ্যুৎ নিগম। নিগমের প্রস্তাব অনুযায়ী ইউনিট প্রতি বিদ্যুতের মাসুল বৃদ্ধি টিইআরসি কিছুটা মেনে নিল। যদিও দফতরের মন্ত্রী বলেন, রাজ্যের বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রগুলির বেশ কয়েকটি প্রাকৃতিক গ্যাস-নির্ভর। গত কয়েক বছরে প্রাকৃতিক গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধি হয়েছে অস্বাভাবিক হারে। |