নাম না করে আজ দীনেশ জমানার সমালোচনা করলেন রেলমন্ত্রী মুকুল রায়।
শপথ নেওয়ার পরে এই প্রথম পূর্বসূরির বিরুদ্ধে সোচ্চার হলেন নতুন রেলমন্ত্রী। তাঁর বক্তব্য, “প্রকল্পের জন্য যথেষ্ট অর্থ বরাদ্দ থাকলেও গত আট মাসে রাজ্যের বিভিন্ন রেল প্রকল্পের কাজ সে ভাবে এগোয়নি বললেই চলে।” গত সপ্তাহে দায়িত্ব নেওয়ার পরে কলকাতায় ফিরে পূর্ব, দক্ষিণ-পূর্ব ও মেট্রো রেলের শীর্ষ কর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন মুকুল রায়। রাজ্যের বিভিন্ন প্রকল্পের কাজ কেমন এগোচ্ছে তা খতিয়ে দেখেন তিনি।
মন্ত্রক সূত্রে জানা গিয়েছে, ঋমমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রেলমন্ত্রীর দায়িত্ব ছাড়া থেকে তিনি দায়িত্ব নেওয়া পর্যন্ত সময়ে পশ্চিমবঙ্গের প্রকল্পগুলিতে কাজের গতি আশানুরূপ ছিল না বলেই মনে করছেন মুকুলবাবু। এই বিষয়ে রেলের শীর্ষ কর্তাদের কাছে ক্ষোভ প্রকাশও করেছেন তিনি। রাজ্যের প্রকল্পগুলির কাজ নতুন উদ্যমে শুরু করার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন রেলমন্ত্রী। বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে কলকাতা ও শহরতলির মেট্রো প্রকল্পগুলিকে। মুকুলবাবুর কথায়, “জোকা-বিবাদী বাগ প্রকল্প সময়ে শেষ করতে বদ্ধপরিকর মন্ত্রক।” জোর দেওয়া হয়েছে দমদম-দক্ষিণেশ্বর মেট্রো করিডর নির্মাণের উপরেও।
দীনেশ রেলমন্ত্রী হিসাবে দায়িত্ব নেওয়ার পরেই মন্ত্রকের কাছে ‘অর্থ নেই’ বলে যে ভাবে সরব হয়েছিলেন তা মোটেই ভাল ভাবে নেননি তৃণমূল নেতৃত্ব। তাঁদের ধারণা, দীনেশ এই ধরনের মন্তব্য করে পরোক্ষে রেলমন্ত্রী হিসাবে মমতার জমানা ও নীতির সমালোচনা করেছিলেন। তৃণমূলের সাংসদ হয়ে তিনি কী ভাবে দলনেত্রীর বিরুদ্ধে সরব হন তা নিয়ে ঘনিষ্ঠ মহলে প্রশ্ন তুলেছিলেন অনেক সাংসদ। দায়িত্ব নিয়েই তাই মুকুল রেল কর্তাদের জানিয়ে দিয়েছেন, যা অর্থ রয়েছে তা দিয়েই কাজ করতে হবে।
প্রসঙ্গত, বাজেট অধিবেশনের প্রথম পর্বের শেষ দিন ছিল আজ। সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময়ে মুকুলবাবু স্বীকার করে নেন, শুধু পশ্চিমবঙ্গই নয়। ধীর গতিতে কাজ চলছে অন্য রাজ্যের প্রকল্পগুলিরও। তবে ইতিমধ্যেই রায়বরেলীর রেল কোচ কারখানার কাজ শেষ হয়ে গিয়েছে বলে জানান রেলমন্ত্রী। শীঘ্রই ওই কারখানার উদ্বোধন করা হবে বলে মন্ত্রকের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। |