টুকরো খবর |
সিউড়িতে চুরি |
নিজস্ব সংবাদদাতা • সিউড়ি |
|
চুরির পরে। ছবি: তাপস বন্দ্যোপাধ্যায়। |
সিউড়ির লম্বদরপুর সড়ক এলাকায় বৃহস্পতিবার একটি বাড়িতে চুরির ঘটনা ঘটল। লোকজন না থাকায় দুষ্কৃতীরা সহজেই ওই বাড়িতে চুরি করে পালায় বলে জানা গিয়েছে। চুরি হয়েছে পিএইচই-র অবসরপ্রাপ্ত কর্মী আনন্দময় সরকারের বাড়িতে। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।আনন্দবাবু সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, “চিকিৎসার জন্য গত ৬ মার্চ থেকে সস্ত্রীক কলকাতায় বোনের বাড়িতে আছি। বাড়িতে তালা দেওয়া ছিল। শুক্রবার সকালে ভাই ও প্রতিবেশীরা বাড়িতে চুরির কথা জানায়।” তিনি জানিয়েছেন বাড়িতে বেশ কিছু দামি শাড়ি ছিল। প্রতিবেশী মল্লিকা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে আনন্দবাবুদের বাড়ির দরজা খোলা দেখি। বাড়ির সামনে একটি ছেলেকেও বসে থাকতে দেখি। সেই সময় ভেবেছিলাম আনন্দবাবুরা বাড়ি ফিরে এসেছেন। কিন্তু পরেরদিন সকালবেলা প্রাতঃভ্রমণে বেরিয়ে দেখি তখনও বাড়ইর দরজা খোলা। তখন সন্দেহ হয়। তারপর আনন্দবাবুর ভাইকে খবর দিই। তখনই চুরির ঘটনাটি জানা যায়।”
|
দাদুর কুকুরকে গুলি, ধৃত নাতি |
নিজস্ব সংবাদদাতা • বোলপুর |
দাদুর পোষা কুকুরকে গুলি করে মারার অভিযোগ উঠল দূরসম্পর্কের নাতির বিরুদ্ধে। ঘটনাটি বৃহস্পতিবার রাতে বোলপুর থানার সুরুল গ্রামের। রাতেই পুলিশ শঙ্খশুভ্র সরকার নামে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে। ধৃতকে শুক্রবার বোলপুর আদালতে হাজির করানো হলে এসিজেএম পীযূষ ঘোষ তাঁর জামিন মঞ্জুর করেন। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সুরুল গ্রামে সরকার পরিবার বহু প্রাচীন। ‘ছোটবাড়ি’ ও ‘বড়বাড়ি’ হিসাবে পরিবারটি ভাগ হয়ে যায়। বৃহস্পতিবার রাতে ‘ছোটবাড়ি’র লক্ষ্মী পুজো ছিল। ওই পুজো চলাকালীন দুই বাড়ির পোষা কুকুরদের ঝগড়াকে কেন্দ্র করে গুলি চলে বলে অভিযোগ। ‘ছোটবাড়ি’র তরফে উমা সরকারের অভিযোগ, “রাতে পুজো চলার সময় আমাদের পোষা কুকুর জেরি মন্দিরের কাছে ছিল। আমার স্বামীর দূরসম্পর্কের নাতি শঙ্খশুভ্রও নিজের পোষা কুকুর নিয়ে এসেছিল। দু’টি কুকুরের মধ্যে ঝগড়া বাধে। হঠাৎই শঙ্খ রিভলভার বার করে জেরিকে গুলি করে।” এর পরেই উমাদেবীর স্বামী অমর্ত্য সরকার বোলপুর থানায় লিখিত অভিযোগ করেন। পুলিশ অভিযুক্তের রিভলভার বাজেয়াপ্ত করে।
|
অচলাবস্থা কাটল না শালবাদরা শিল্পাঞ্চলে |
নিজস্ব সংবাদদাতা • রামপুরহাট |
এগারো দিন পেরিয়ে গেলেও রামপুরহাট থানার শালবাদরা পাথর শিল্পাঞ্চলে শ্রমিকদের মজুরি বৃদ্ধির দাবি নিয়ে আদিবাসী গাঁওতা ও মালিক পক্ষের বিরোধ মিটল না। বৃহস্পতিবার রামপুরহাটের ভারপ্রাপ্ত মহকুমাশাসক মহম্মদ ইব্রাহিম দু’পক্ষকে আলোচনায় ডাকলেও শেষ পর্যন্ত গাঁওতা নেতৃত্ব বৈঠকে যোগ দেননি। মালিক পক্ষ এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে। শালবাদরা স্টোন মাইনস ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের মুখপাত্র মৈনুদ্দিন হোসেনের অভিযোগ, “গাঁওতার এক নেতার আন্দোলনে ১১ দিন ধরে শিল্পাঞ্চল বন্ধ। প্রায় ২৫ হাজার শ্রমিক বসে রয়েছেন। প্রশাসন পাথর শিল্পাঞ্চল থেকে রাজস্ব আদায়ে জোর দিলেও এখানকার সমস্যা মেটানোর ক্ষেত্রে নিশ্চুপ রয়েছে।” মহকুমাশাসক বলেন, “বৃহস্পতিবারের বৈঠকের জন্য গাঁওতা প্রস্তুত ছিল না বলে জানিয়েছিল। তাই আগামী সোমবার আবার বৈঠক ডাকা হয়েছে।” গাঁওতা নেতা রবীন সোরেনের দাবি, “শ্রমিকদের নিয়ে বৈঠক সম্পর্কে আলোচনা করা যায়নি বলে বৈঠকে যোগ দেওয়া যায়নি। তবে আমরাও চাই প্রশাসন শ্রমিকদের মজুরি বৃদ্ধির দাবি পূরণ করুক।”
|
সংবাদপত্রে ফতোয়া জারি নিয়ে ক্ষোভ |
নিজস্ব সংবাদদাতা • সিউড়ি |
গ্রন্থাগারগুলিতে সংবাদপত্র রাখা নিয়ে সরকারি নির্দেশের বিরোধিতা করলেন রাজ্যের প্রাক্তন গ্রন্থাগারমন্ত্রী তপন রায়। তিনি বলেন, “বামফ্রন্ট সরকারের আমলেও আনন্দবাজার পত্রিকা সরকারের কাজের ব্যাপক সমালোচনা করেছে। কিন্তু তখন এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। প্রতিটি গ্রন্থাগারের পরিচালন সমিতি রয়েছে। গ্রন্থাগারের নিয়ম অনুযায়ী ১৬ নম্বর ধারায় উল্লেখ রয়েছে, পাঠক-পাঠিকাদের পছন্দমত সংবাদপত্র গ্রন্থাগারে রাখতে হবে। কাজেই গ্রন্থাগারগুলি কী সংবাদপত্র রাখবে, তা রাজ্য সরকার ঠিক করে দিতে পারে না।” এই জেলায় ১২৩টি গ্রন্থাগার রয়েছে। অনেক পাঠক জানিয়েছেন, আনন্দবাজারের মতো প্রথম শ্রেণির সংবাদপত্র প্রয়োজনে তাঁরা নিজেরাই চাঁদা তুলে গ্রন্থাগারে রাখবেন। নলহাটির কুরুমগ্রাম সম্মিলনীর গ্রন্থাগারিক অমল সরকার, রামপুরহাটের খুরুন গ্রামীণ গ্রন্থাগারের গ্রন্থাগারিক ভানু বিশ্বাস বলেন, “আমরা পাঠকদের মতামত নিয়ে সংবাদপত্র গ্রন্থাগারে রাখব।”
|
লাইনচ্যুত মালগাড়ি, ট্রেন চলাচল ব্যাহত |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মুরারই |
|
নিজস্ব চিত্র। |
মালগাড়ির ২৬টি বগি লাইনচ্যুত হয়ে যাওয়ায় ট্রেন চলাচল ব্যাহত হল সাহেবগঞ্জ-বর্ধমান লুপ লাইনে। শুক্রবার বিকেল ৫টা নাগাদ দুর্ঘটনাটি ঘটে বীরভূমের মুরারই থানার মাকোয়া গ্রামের কাছে, বাঁশলৈ ও রাজগ্রাম স্টেশনের মাঝে। রেল সূত্রের খবর, আপ লাইন ধরে খালি মালগাড়িটি রামপুরহাট থেকে রাজগ্রামের দিকে যাচ্ছিল। দুর্ঘটনার জেরে প্রায় ৩০ ফুট রেললাইন ধনুকের মতো বেঁকে গিয়েছে এবং কিছু অংশ মাটিতেও বসে গিয়েছে। পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক সমীর গোস্বামী বলেন, “ওই লাইনে শিয়ালদহ-বারাণসী এক্সপ্রেস বাতিল করা হয়েছে। অন্য ট্রেনগুলি নলহাটি-আজিমগঞ্জ রুট দিয়ে চলছে। লাইন মেরামতির জন্য রামপুরহাট থেকে একটি দল গিয়েছে। আশা করছি রাতের মধ্যে ওই লাইনে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়ে যাবে।” রেল সূত্রে খবর, সরাইঘাট এক্সপ্রেস, কলকাতা-বালুরঘাট তেভাগা এক্সপ্রেস এবং যশবন্তপুর-মজফ্ফরপুর এক্সপ্রেস নলহাটি-আজিমগঞ্জ রুট দিয়ে চলছে। উত্তরবঙ্গ, কাঞ্চনকন্যা এবং কলকাতা-যোগবাণী এক্সপ্রেস নলহাটি-ব্যান্ডেল-আজিমগঞ্জ দিয়ে চলছে। আর ভাগলপুর-রাঁচি বনাঞ্চল এক্সপ্রেস, কিউল-ঝাঝা এবং হাওড়া-গয়া এক্সপ্রেস চলছে আসানসোল-ঝাঝা রুট দিয়ে।
|
পড়ে জখম |
নিজস্ব সংবাদদাতা • সাঁইথিয়া |
চলন্ত ট্রেন থেকে পড়ে শুক্রবার সকালে জখম হলেন এক মধ্যবয়স্ক যাত্রী। রেল পুলিশ জানিয়েছে, আহত ব্যক্তির নাম বিনয় মাল। বাড়ি বর্ধমানের মেমারি থানার হাটগোবিন্দপুরের হরগ্রামে। এ দিন ডাউন আজিমগঞ্জ-বর্ধমান প্যাসেঞ্জার ট্রেনে বিনয়বাবু রামপুরহাট থেকে বাড়ি ফিরছিলেন। পথে বাতাসপুর স্টেশনে ঢোকার মুখে তিনি ট্রেন থেকে পড়ে যান বলে জানা গিয়েছে। বিনয়বাবুকে উদ্ধার করে প্রথমে সাঁইথিয়ায় নিয়ে যাওয়া হয়। পরে সিউড়ি সদর হাসপাতালে তাঁকে ভর্তি করা হয়। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, তাঁর মাথায় জোর আঘাত লেগেছে। |
|