এবড়ো-খেবড়ো রাস্তায় যান চলাচলে উড়ছে ধুলো। সেই ধুলো গিয়ে জমছে ঘরবাড়িতে। শ্বাসকষ্টজনিত রোগে ভুগছেন সংলগ্ন এলাকার বাসিন্দারা। এই অভিযোগে শুক্রবার হ্যানিম্যান সরণি অবরোধ করেন দুর্গাপুর পুরসভার তিনটি ওয়ার্ডের বাসিন্দারা। বন্ধ হয়ে যায় যান চলাচল। ঘণ্টা দেড়েক পরে পুলিশের আশ্বাসে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। |
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন সকাল সাড়ে ১০টা নাগাদ পুরসভার ৩৬, ৩৭ ও ৩৮ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দারা গ্যামনব্রিজ থেকে মায়াবাজারগামী ওই রাস্তায় জড়ো হন। বন্ধ হয়ে যায় যান চলাচল। রাস্তার মোট দৈর্ঘ্য প্রায় ৫ কিলোমিটার। সরকারি সংস্থা দুর্গাপুর কেমিক্যালস লিমিটেড (ডিসিএল), দুর্গাপুর থার্মাল পাওয়ার স্টেশন (ডিটিপিএস)-সহ প্রায় ৩০টি বেসরকারি কারখানা গড়ে উঠেছে ওই রাস্তার আশপাশেই। রাতুরিয়া, অঙ্গদপুর, অর্জুনপুর, পুরষা-সহ বেশ কয়েকটি গ্রামের বাসিন্দারা নিয়মিত রাস্তাটি ব্যবহার করেন। এছাড়া সরকারি দুই কারখানার আবাসনের বাসিন্দাদেরও যাতায়াতে ভরসা ওই রাস্তাটিই। কিন্তু দীর্ঘদিন গুরুত্বপূর্ণ রাস্তাটি বেহাল হয়ে পড়ে থাকায় সমস্যায় পড়েছেন কয়েক হাজার মানুষ। উপায় না থাকায় বিপদের ঝুঁকি নিয়েই যাতায়াত করেন বাসিন্দারা।
বাসিন্দাদের অভিযোগ, রাস্তার ধুলো জমছে ঘর-বাড়িতে। শ্বাস নিতে কষ্ট হচ্ছে। অনেকেই শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যায় ভুগছেন। স্থানীয় তেঁতুলতলা কলোনির বাসিন্দা সুমন বৈদ্য, পলাশতলা কলোনির অপর্ণা দাস, মিতা চট্টোপাধ্যায়রা বলেন, “পুর এলাকার মধ্যে থেকেও এই হাল। পরিস্থিতি এমনই যে বাইরে থেকে আত্মীয়েরা দায়ে না পড়লে আমাদের বাড়িতে সচরাচর আসতে চান না।” দ্রুত উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবিতে এ দিন তাঁরা রাস্তাটি অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান। লিখিত ভাবে বিষয়টি তাঁরা জানান স্থানীয় কোকওভেন থানাতেও। |
অবরোধের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ। বাসিন্দারা দাবি জানাতে থাকেন, যতদিন রাস্তা সংস্কার না হয় ততদিন সংলগ্ন কারখানাগুলি রাস্তায় জল ছিটানোর ব্যবস্থা করুক। পুলিশ দ্রুত কার্যকরী পদক্ষেপ করার আশ্বাস দিলে ঘণ্টা দেড়েক পরে অবরোধ ওঠে। আসানসোল-দুর্গাপুর উন্নয়ন পর্ষদের চেয়ারম্যান তাপস বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, ইতিমধ্যেই ওই রাস্তা সংস্কারের ব্যাপারে পদ্ধতিগত প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গিয়েছে। |