সেতু থেকে নদীতে ঝাঁপ দিয়ে আত্মঘাতী হলেন এক গৃহবধূ। ঘটনাটি ঘটেছে বৃহস্পতিবার সকালে দক্ষিণ ২৪ পরগনার রায়দিঘি ও কনকনদিঘি মধ্যে সড়ক সেতুতে। পুলিশ জানিয়েছে মৃত মহিলার নাম মল্লিকা চাপরাশি (২৫)। বাড়ি স্থানীয় উত্তর কনকনদিঘি গ্রামে। এই ঘটনায় মল্লিকা দেবীর বাবা ধনঞ্জয় নস্কর মেয়ের শ্বশুরবাড়ির লোকজনের বিরুদ্ধে আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযোগ পেয়ে তদন্তে নেমেছে পুলিশ। পুলিশ ও প্রতিবেশী সূত্রে জানা গিয়েছে, বছর তিনেক আগে মন্দিরবাজারের চাঁদপুর গ্রামে দিনমজুর নেপাল চাপরাশির সঙ্গে মল্লিকাদেবীর বিয়ে হয়। তাঁদের একটি এক বছরের ছেলেও রয়েছে। বিয়ের কিছুদিন পর থেকে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে অশান্তি শুরু হয়। এ দিন সকাল ৭টা নাগাদ মল্লিকাদেবী বাপের বাড়ি যাবেন বলে বাড়ি থেকে বের হন। পরে রায়দদিঘি ও কনকনদিঘির মধ্যে মনি নদীর উপরে সেতু থেকে ঝাঁপ দেন। প্রত্যক্ষদর্শী এক মাঝি জানান, এ দিন তিনি সেতুর পাশেই নৌকায় ছিলেন। আচমকা দেখেন এক মহিলা সেতুর রেলিং থেকে নীচে ঝাঁপ দিলেন। সঙ্গে সঙ্গে তিনি এবং আরও কয়েকজন নৌকা ও জাল নিয়ে নদীতে খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। ঘণ্টাদুয়েক পরে নোঙরে আটকে থাকা ওই মহিলার দেহ উদ্ধার হয়। পুলিশ জানিয়েছে, মৃত মহিলার বাবা জামাই ও শ্বশুর-শাশুড়ির বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন। তাঁরা সকলেই পলাতক। মৃতদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য ডায়মন্ড হারবার হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
|
স্কুল থেকে বাড়ি ফেরার পথে ট্রাক্টরের ধাক্কায় মৃত্যু হল এক ছাত্রীর। বুধবার বিকালে দুর্ঘটনাটি ঘটেছে বাদুড়িয়া থানার চাতরা গ্রামের লালকুঠি মোড়ে। পুলিশ জানিয়েছে, ওই ছাত্রীর নাম রিমা বিশ্বাস (১৩), সে চাতরা নেতাজি বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার বিকাল ৫টা নাগাদ স্কুল থেকে সাইকেলে করে বাড়ি ফিরছিল রিমা। লালকুঠি মোড়ের কাছে দ্রুত গতিতে আসা একটি মাটি বোঝাই ট্রাক্টর নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পিছন থেকে রিমার সাইকেলে ধাক্কা মারে। ট্রাক্টরের ধাক্কায় রাস্তায় ছিটকে পড়ে রিমা। গুরুতর আহত অবস্থায় ওই ছাত্রীকে উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার সময় রাস্তাতেই মৃত্যু হয় তার। ঘটনার প্রতিবাদে গ্রামবাসী লালকুঠি মোড়ের কাছে রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখায়। পরে পুলিশ গিয়ে ট্রাক্টর এবং গাড়ির চালককে আটক করলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। পুলিশ দেহটি উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য বসিরহাট মহকুমা হাসপাতালে পাঠিয়েছে।
|
এক বধূর শ্লীলতাহানির অভিযোগ উঠল প্রতিবেশী কয়েকজন যুবকের বিরুদ্ধে। কাকদ্বীপের চারের ঘেরি গ্রামে বুধবার ওই ঘটনা ঘটে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই দিন সকালে গৃহবধূ নলকূপে পানীয় জল আনতে যান। জল নেওয়াকে কেন্দ্র করে প্রতিবেশী এক যুবকের সঙ্গে তাঁর বচসা বাধে। এর পরে বাড়িতে ফিরে আসেন ওই মহিলা। সন্ধ্যার সময় ফের তিনি জল আনতে যান। বধূর অভিযোগ, সেই সময় প্রতিবেশী ওই যুবক-সহ আটজন তাঁকে টানতে টানতে পানের বরজে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। তিনি চিৎকার করলে তাঁর স্বামী ছুটে এসে বাঁচাতে গেলে ওই যুবকেরা মেরে তাঁর স্বামীর মাথা ফাটিয়ে দেয়। এর পরে পালিয়ে যায়। গুরুতর আহত স্বামীকে কাকদ্বীপ মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। পুলিশ জানিয়েছে, শ্লীলতাহানির অভিযোগ দায়ের হয়েছে। তবে ঘটনার পর থেকেই অভিযুক্তেরা পলাতক।
|
যৌতুকের জন্য বিয়ের আট মাসের মধ্যে এক গৃহবধূর মৃত্যু ঘটানোর অপরাধে বৃহস্পতিবার তাঁর স্বামী ও শ্বশুরকে আট বছর সশ্রম কারাদণ্ড দিল আলিপুর আদালত। এ দিন জেল হাজত থেকে মৃতার স্বামী অশোক সর্দার ও শ্বশুর গোপালকৃষ্ণ সর্দারকে প্রথম ফাস্ট ট্র্যাক কোর্টে হাজির করানো হলে বিচারক শঙ্করমণি ত্রিপাঠী এই রায় দেন। ২০০৪ সালের ৫ নভেম্বর বিষ্ণুপুর থানার ভারু-রামকৃষ্ণপুর গ্রামে বাপের বাড়িতেই ১৯ বছর বয়সী ওই বধূ বিষ খেয়ে আত্মহত্যা করেন। সরকারি আইনজীবী আকবর আলি মোল্লা জানান, ওই তরুণীর সঙ্গে ক্যানিং থানার তালদির বাসিন্দা অশোক সর্দারের আগে থেকেই ঘনিষ্ঠতা ছিল। ২০০৪-এর মার্চে বিয়ের পর স্ত্রীকে বাপের বাড়িতেই ফেলে রাখে অশোক। ২৫ হাজার টাকা ও যৌতুকের গয়নাগাঁটি, দানসামগ্রী না-দিলে তাকে শ্বশুরবাড়িতে নেওয়া হবে না বলে জানানো হয়। ওই বছরেরই ৫ নভেম্বর বিষ খেয়ে মৃত্যু হয় তরুণীর।
|
সাইকেল-চোর সন্দেহে এক ব্যক্তিকে গণপিটুনি দিল জনতা। বৃহস্পতিবার, সোদপুরে। পুলিশ জানায়, ওই ব্যক্তির নাম তাপস রায়। অভিযোগ, ওই ব্যক্তি একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের সামনে স্ট্যান্ড থেকে সাইকেল চুরি করে পালাচ্ছিল। জনতা তাঁকে ধরে গণপিটুনি দেয়। পুলিশ ওই ব্যক্তিকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায়। এ দিনই দুপুরে বরাহনগরের মতিলাল মল্লিক লেনে মৈত্রেয়ী বিশ্বাস নামে এক মহিলার হার ছিনতাই করে পালায় তিন দুষ্কৃতী। পুলিশ জানায়, দুষ্কৃতীরা মোটরবাইকে এসেছিল। |