মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা।
অনাদায়ী ঋণের বোঝা বইতে না পেরে ২০০৬ সালে বালি সমবায় ব্যাঙ্ক বন্ধ হয়। পরে ওই ঋণ আদায়ের জন্য ব্যাঙ্ক চালু হলেও সাধারণ গ্রাহকদের সঙ্গে সব রকম লেনদেন বন্ধ রাখার নির্দেশ দেয় রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। গত ছ’বছরে ছ’কোটি টাকা অনাদায়ী ঋণের মাত্র দেড় কোটি আদায় করা গিয়েছে বলে ওই ব্যাঙ্ক সূত্রে খবর। বেশ কয়েক জনের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার তালিকা তৈরি হয়েছে। একজনের বাজেয়াপ্তও হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে, সমবায় ব্যাঙ্ক থেকে ঋণ নিয়ে তা শোধ করতে না-পারলে তাঁদের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হবে না বলে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘোষণা বালি সমবায় ব্যাঙ্কের কর্মীদের চিন্তায় ফেলেছে। তাঁরা বুঝে উঠতে পারছেন না সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার সুযোগ না-থাকলে সমবায় ব্যাঙ্কগুলি কী ভাবে অনাদায়ী ঋণ আদায় করে কার্যকরী মূলধনের বন্দোবস্ত করবে।
তা ছাড়া, সংশ্লিষ্ট মহলের অভিযোগ, রাজনৈতিক মদতে দক্ষতা যাচাই না করেই ওই ব্যাঙ্কে কর্মী নিয়োগ হয়েছে। ফলে ব্যাঙ্কের কাজে অদক্ষতা বেড়েছে। অনাদায়ী ঋণের পাশাপাশি এটিও ব্যাঙ্ক রুগ্ণ হওয়ার একটা বড় কারণ বলে মনে করছেন তাঁরা। অভিযোগ রয়েছে, ঋণ শোধের ক্ষমতা যাচাই না করে ও বিশেষজ্ঞের মত না নিয়েই বিভিন্ন প্রকল্পের প্রস্তাবে লক্ষ লক্ষ টাকা ঋণ দেওয়ারও।
এই পরিস্থিতিতে ঘুরে দাঁড়াতে অনাদায়ী ঋণ উদ্ধার করা একান্ত জরুরি বলেই মনে করছে ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ। এ প্রসঙ্গে বালি কো-অপারেটিভ ব্যাঙ্ক এমপ্লয়িজ ইউনিয়ন -এর সম্পাদক দীপঙ্কর ভাদুড়ি বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী যদি চান গরিবরা ঋণ শোধ না-করলেও চলবে, তবে তাই হবে। তা হলে গরিব কারা, সেটাও সরকারকেই ঠিক করতে হবে। কিন্তু ব্যাঙ্কগুলিকে সচল রাখতে সে ক্ষেত্রে সরকারকে ক্ষতিপূরণ বাবদ অর্থ দিতে হবে। নয়তো ব্যাঙ্ক চালু করা যাবে না।” |