১০০ দিনের প্রকল্পের টাকা ছিনতাইয়ের অভিযোগে তিন জনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। বুধবার দুপুরে ঘটনাটি ঘটে মুরারই থানার ধনঞ্জয়পুর গ্রামে। ধৃতেরা হলেনরামচন্দ্র রাউল, রাজেশ রাউল দাস, বারো বছরের কিশোর অরুণ সেকসানা রাউল। তাদের বাড়ি বর্ধমানের কাটোয়া থানার গঙ্গাটিকুরি এলাকায়। ধৃতদের বৃহস্পতিবার রামপুরহাট আদালতে হাজির করানো হলে ওই কিশোরকে সিউড়িতে জুভেনাইল আদালতে পাঠানোর নির্দেশ দেন বিচারক। বাকি দু’জনের ৭ দিন পুলিশি হেফাজত হয়। পুলিশ জানায়, এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত আরও চার জনের খোঁজ চলছে।
ধনঞ্জয়পুর গ্রামটি মুরারই ১ ব্লকের ডুমুরগ্রাম পঞ্চায়েতের অধীন। পঞ্চায়েতের সিপিএম সদস্য সেলিম রেজার অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ তদন্ত চালাচ্ছে। বিডিও কৌশিক চট্টোপাধ্যায় বলেন, “পুরো ঘটনার কথা লিখিত ভাবে পঞ্চায়েতের প্রধান কিংবা উপপ্রধানের কাছে জানতে চেয়েছি। লিখিত ভাবে সমস্ত তথ্য পাওয়ার পরে বিস্তারিত ভাবে বলা যাবে।” সেলিম রেজা জানান, বুধবার দুপুরে গ্রামোন্নয়ন কমিটির সচিব হেমন্ত সাহুকে নিয়ে মুরারই থেকে ব্যাঙ্কে টাকা তুলে ডাকঘরে যান। বাইকের ডিকিতে মজুরি বাবদ ৩ লক্ষ ৪৮ হাজার ২৪০ টাকা ছিল। ডাকঘরে ভিড় কমে গেলে টাকা জমা দেব এই ভেবে ডিকি থেকে টাকা বের করিনি। তিনি বলেন, “পরে শুনি রাস্তার পাশে রাখা বাইক থেকে কাগজ নিয়ে পালাচ্ছে এক কিশোর। এসে দেখি ডিকি খোলা। জানতে পারি তিনটি বাইকে ওই কিশোর-সহ সাত জন পানিয়ারা রাস্তা ধরে চলে যাচ্ছে। তাদের খোঁজে পানিয়ারা গ্রাম সংলগ্ন সাঁকো পর্যন্ত যাই। ফের ওরা বালিয়ারা রাস্তা ধরে চলে যাচ্ছে শুনে ফোনে এক জনকে যানাই। দুষ্কৃতীরা ঝাড়খণ্ডের মহেশপুর থানার ভাটিন্ডা গ্রামে ঢুকতে গেলে বাসিন্দারা বাঁশ ফেলে একটি বাইককে ধরে ফেলেন।”
পুলিশ সূত্রে খবর, দুষ্কৃতীদের কয়েক জন ময়ূরেশ্বর থানার মল্লারপুর এলাকায় স্টেশনের কাছে তাঁবু খাটিয়ে যাযাবরের মতো কয়েক দিন আগে ডেরা নিয়েছিল। তিন জন ধরা পড়ার পরে ওই দিনই তারা তাঁবু নিয়ে অন্যত্র সরে পড়েছে। যদিও এই প্রকল্পের জেল নোডাল অফিসার সুপ্রিয় অধিকারী বলেন, “এই ভাবে টাকা তুলে ডাকঘরে জমা দেওয়া যায় না। ড্রাফটের মাধ্যমে ডাকঘরে টাকা পৌঁছয় এবং কোনও পঞ্চায়েত সদস্য ব্যাঙ্ক থেকে টাকা তুলতে পারেন না। এটা একশো দিন প্রকল্পে নিয়ম বিরুদ্ধে কাজ। তবে সমস্ত ঘটনা ভাল ভাবে জেনে এ ব্যাপারে তদন্ত করব।” |