অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় অভিযুক্তকে ধরতে নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগে থানায় বিক্ষোভ দেখাল তৃণমূল। বুধবার সকালে মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুর থানায় ওই বিক্ষোভের ঘটনা ঘটে। অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্তদের নিয়ে তৃণমূলের নেতৃত্বে থানার সামনে অবস্থানও হয়। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে মঙ্গলবার গভীর রাতে হরিশ্চন্দ্রপুর থানার পারো এলাকায়। আগুনে তিন তৃণমূল সমর্থক ফরমান আলি, কুরমান আলি, শেখ তজমূলদের ৩টি ঘর, ২টি চায়ের দোকান এবং একটি গোয়ালঘর পুড়ে যায়। বদলা নিতে আনেসুর আগুন ধরিয়ে দেয় বলে অভিযোগ। তৃণমূলের অভিযোগ, দিনকয়েক আগেও অভিযুক্ত ধারাল অস্ত্র নিয়ে তাঁদের তিন সমর্থকের উপরে হামলার চেষ্টা করে। তখনই থানায় অভিযোগ জানানো হয়। পুলিশ কোনও ব্যবস্থা না-নেওয়ায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে বলে তৃণমূলের অভিযোগ। দলের হরিশ্চন্দ্রপুর-১ ব্লক সভাপতি বিকাশ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “অভিযুক্তকে ধরার কথা বলা হলেও পুলিশ কানে তোলেনি। তাকে ধরলে এই পরিস্থিতি হত না।” মালদহের পুলিশ সুপার জয়ন্ত পাল বলেন, “অভিযুক্তকে ধরতে একাধিকবার গ্রামে হানা দেওয়া হয়। তাকে পাওয়া যায়নি। অগ্নিকাণ্ডের পরে অভিযোগের ভিত্তিতে এদিন ফের মামলা হয়েছে। অভিযুক্তকে খোঁজা হচ্ছে।” পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গ্রামে কয়েক পুরুষ ধরে ৩৬ বিঘার একটি অংশীদারি জমি রয়েছে। ৩৬টি পরিবার ওই জমির অংশীদার। সম্প্রতি ওই জংমির ভাগাভাগি হয়। এতদিন আনেসুর পারিবারিক এক বিঘা জমিতে চাষবাস করে শরিকদের ভাগ দিতেন। জমি ভাগাভাগির সময়ে শরিকদের ফসলের অংশ দেওয়ার আশ্বাস দিয়ে পুরো এক বিঘা জমির মালিকানা দাবি করেন। পাশাপাশি, আগুনে যাদের বাড়ি পুড়েছে তাঁদের ভাগের এক বিঘার সঙ্গে নিজের জমি বদলে দেওয়ার প্রস্তাব দেন। তাতে গ্রামের কেউই রাজি হননি। তা নিয়েই বিরোধ চলছিল। কয়েকদিন আগে আনেসুর ওই তিন তৃণমূল সমর্থককে হুমকি দেন বলে অভিযোগ। তার পরেই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় সবাই তাঁকেই সন্দেহ করছে। তবে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় তাঁর ছেলে জড়িত নন বলে দাবি করেছেন আনেসুরের বাবা নূর মহম্মদ। তিনি বলেন, “ও তো কয়েকদিন ধরে বাড়িতেই নেই। আনেসুর কীভাবে আগুন দেবে। ওর নামে মিথ্যা অভিযোগ তোলা হচ্ছে।” |