বিদ্যুৎ বিপর্যয়ের কারণে পাম্প মেশিন অচল হয়ে পড়ায় গরমের শুরুতে মাথাভাঙা পুরসভা ও লাগোয়া পচাগড় গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় পানীয় জল সরবরাহ ব্যবস্থা বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। প্রায় এক সপ্তাহ ধরে ওই দুটি এলাকায় পঞ্চাশ হাজারেরও বেশি বাসিন্দা পানীয় জলের সমস্যায় নাকাল। বাধ্য হয়ে তাঁদের জল কিনে ব্যবহার করতে হচ্ছে। বিভিন্ন মহলে অভিযোগ উঠেছে, জলকষ্ট বেড়ে চললেও পুরসভা এবং জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতরের হেলদোল নেই। আজ, বৃহস্পতিবার মাথাভাঙা পুরসভার বাজেট অধিবেশনে বিরোধী তৃণমূল কংগ্রেস কাউন্সিলাররা সমস্যা সমাধানের দাবিতে বিক্ষোভ দেখানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এ দিকে জলকষ্ট মেটাতে হস্তক্ষেপ চেয়ে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে চিঠি পাঠিয়েছেন পচাগড় গ্রাম পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ। পঞ্চায়েত প্রধান কাজল রায় বলেন, “বিভিন্ন দফতরে সমস্যার কথা জানিয়ে লাভ হয়নি। তাই নিরুপায় হয়ে সোমবার মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি দিয়েছি।” বাসিন্দাদের অভিযোগ, শহরের বিভিন্ন ওয়ার্ডের বাড়িতে সংযোগ পাইপে দিনের বেশিরভাগ সময় জল থাকে না। কিছু বাড়িতে টিপটিপ করে জল পড়ছে। একই কারণে দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করেও টাইম কল থেকে এক বালতি জল সংগ্রহ করা সম্ভব হচ্ছে না। সেটাও আচমকা বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। শহরের দক্ষিণ পাড়ার বাসিন্দা অপু নন্দী বলেন, “সকাল থেকে জলের জন্য দৌড়ে বেড়াতে হচ্ছে। কিন্তু কোথাও জল মিলছে না।” আমলাপাড়ার বাসিন্দা চৈতন্য পোদ্দার বলেন, “বাড়িতে পানীয় জলের সংযোগ আছে। কিন্তু গত দু’দিন থেকে জল নেই। জানি না কবে জল মিলবে!” শহর জুড়ে বেড়ে চলা জলকষ্টের ওই ঘটনায় ক্ষুব্ধ তৃণমূল কংগ্রেস। সিপিএম পরিচালিত পুরসভার বিরোধী দলনেত্রী কল্যাণী পোদ্দার বলেন, “জলের জন্য কর নেওয়া হবে অথচ জল মিলবে না এটা চলতে পারে না। বৃহস্পতিবার বাজেট অধিবেশনে কেন পরিস্থিতি মোকাবিলায় বিকল্প ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না জানতে চাইব। |