শিশু-মৃত্যুতে গাফিলতির নালিশ |
নিজস্ব সংবাদদাতা • জলপাইগুড়ি
|
চিকিৎসার গাফিলতিতে শিশু মৃত্যুর অভিযোগে বুধবার সকালে জলপাইগুড়ি সদর হাসপাতাল চত্বর উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, ময়নাগুড়ির রানিরহাট এলাকা থেকে মঙ্গলবার দুপুরে আট বছরের একটি শিশুকে জলপাইগুড়ি সদর হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। গৌরচন্দ্র রায় নামে শিশুটিকে বুকে ব্যাথার কারণে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। বুধবার সকালে শিশুর মৃত্যু হয়। পরিবারের সদস্যদের অভিযোগ হাসপাতালে ভর্তি করা হলেও শিশুকে সময়মতো চিকিৎসকরা দেখেননি। শিশুর পরিবারের অভিযোগ, বুধবার সকালে শিশুর পরিস্থিতি অবনতি হলেও সময়মতো অক্সিজেন দেওয়া হয়নি। পরিবারের তরফে একাধিক বার বলার পরে একজন কর্মী অক্সিজেন লাগিয়ে দিয়ে যান। |
অভিযোগ, যিনি এসে অক্সিজেন লাগান তিনি হাসপাতালের প্রশিক্ষত কর্মী নন। জলপাইগুড়ি কোতোয়ালি থানায় শিশুর পরিবারের তরফে অভিযোগ দায়ের করে অভিযোগ করা হয়, এ দিন সকালেই হাসপাতালের এক নার্স শিশুটিকে একটি ইঞ্জেকশন দেন। তার কিছু পরেই শিশুটির মৃত্যু হয়। এর পরেই বাড়ির লোক ক্ষুদ্ধ হয়ে হাসপাতাল চত্বরে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। হাসপাতালের কর্মীদের সঙ্গে তাদের বচসাও হয়। রোগীর আত্মীয়স্বজনদের সঙ্গে কর্মীদের ধাক্কাধাকিও হয়। বেশ কিছুক্ষণ হাসপাতাল চত্বরে বিক্ষোভ চলার পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। সুপার ব্রজেশ্বর মজুমদার বলেন, “বিষয়টি স্বাস্থ্য ভবনে জানানো হয়েছে। সেখানেই যা বলার বলেছি।” সদর হাসপাতালের শিশুরোগের চিকিৎসক সঞ্জীব সরকার বলেন, “শিশুটি বমির সমস্যা নিয়ে ভর্তি হয়েছিল। পরে তার বুকে ব্যাথা হতে থাকে। প্রয়োজন মতো চিকিৎসা করা হয়েছে। কোনও গাফিলতি হয়নি।” যদিও শিশুর বাবা গণেশবাবু বলেন, “যথাসময়ে অক্সিজেন দেওয়া হয়নি। পরে যিনি অক্সিজেন লাগিয়েছেন তিনিও সঠিক ভাবে কাজ করেননি। চিকিৎসকরাও সময়মতো দেখেননি। হাসপাতালের ভর্তির পর থেকে গাফিলতি হতে থাকে।”
|