নিজস্ব সংবাদদাতা • জলপাইগুড়ি |
জোট শরিক কংগ্রেসের জলপাইগুড়ির বিধায়ক সুখবিলাস বর্মার নির্বাচনী এলাকায় গিয়ে তাঁর কড়া সমালোচনা করলেন উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী গৌতম দেব। সম্প্রতি রাজ্যপালের ভাষণের ওপরে বিধানসভার বির্তকে সার্কিট বেঞ্চের স্থায়ী পরিকাঠামো তৈরির কাজে দেরি হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন জলপাইগুড়ির বিধায়ক। জলপাইগুড়িতে হাইকোর্টের সার্কিট বেঞ্চের মতো প্রকল্পে উত্তরবঙ্গ দফতর কেন অর্থ বরাদ্দ করেছে তা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তিনি। বুধবার জলপাইগুড়িতে সাংবাদিক বৈঠক করে গৌতমবাবু পাল্টা অভিযোগ করেন, “উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দফতরের কাজ নিয়ে ক্রমাগত আক্রমণ করে, উন্নয়নে বাধা দিচ্ছেন জলপাইগুড়ির কংগ্রেস বিধায়ক। কিন্তু তিনি কতদিন এলাকায় থাকেন? উন্নয়নের কোন কাজে তিনি সামিল হয়েছেন? উত্তরবঙ্গ উৎসব জলপাইগুড়িতে হয়ে গেল উনি কমিটির সহ সভাপতি হওয়া সত্বেও একদিনও দেখলাম না।” উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রীকে পাল্টা কটাক্ষ করে সুখবিলাস বর্মার দাবি, “উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী প্রতিশ্রুতিই দিয়ে বেড়ান। ওঁর ঘোষিত কতগুলি প্রকল্প এখনও দিনের আলো দেখেছে বা কাজ শুরু হয়েছে, তা উনিও জানেন না।” তিনি আরও বলেন, “উৎসবের প্রথম বৈঠকে গিয়েছিলাম। তারপরে আর কিছু জানানো হয়নি। কেন অন্য দফতরের কাজে উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দফতর টাকা বরাদ্দ করেছে সেই প্রশ্ন করেছিলাম। জলপাইগুড়িতে ফিরে জবাব দেব।” এ দিন জলপাইগুড়ি শহর ও জেলার উন্নয়ন নিয়ে উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দফতর এবং সরকারের অন্য দফতর যে পরিকল্পনা নিয়েছে তার একটি তালিকা জানান গৌতমবাবু। সেগুলি হল, পিছিয়ে পড়া এলাকা উন্নয়ন প্রকল্পে জলপাইগুড়িতে একটি স্কিল ডেভলপমেন্ট সেন্টার ও আইটিআই তৈরি। উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের জন্য রাজ্য বাজেটে অর্থ বরাদ্দ। জলপাইগুড়ির অসম মোড়ে উড়ালপুল রাজ্য ও রেল যৌথ ভাবে করবে। শহরের মোহিতনগরে রেল ও জাতীয় সড়ক কতৃপক্ষের যৌথ ভাবে উড়ালপুল হবে। মোহিতনগর রেল স্টেশনে ওভারব্রিজ, জলপাইগুড়ি স্পোর্টস কমপ্লেক্স তৈরিতে ২২ কোটি টাকা, সদর হাসপাতালে সিটি স্ক্যান, ডিজিটাল এক্স রে, ডায়ালিসিস বিভাগ স্থাপন, বিষকাণ্ডের পরে করলা নদী সংস্কারে ৩২ কোটি টাকার প্রকল্প তৈরি এবং সার্কিট বেঞ্চের জন্য সীমানা পাঁচিল তৈরিতে অর্থ বরাদ্দের কথা গৌতমবাবু জানান। |