নিজস্ব সংবাদদাতা • শামুকতলা |
নাব্যতা কমে যাওয়া ডুয়ার্সের বাকলা খাল খননের কাজে নামল আলিপুরদুয়ার-২ ব্লক প্রশাসন। এলাকার মহাকালগুড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রায় ২০ হাজার একর জমির সেচের জল জোগাত ওই খাল। মাছ চাষ ছাড়াও খালে পাট পচানোর কাজও করেন কৃষকেরা। সম্প্রতি খালের নাব্যতা কমে গেলে বিপাকে পড়েন এলাকার দশ হাজার কৃষক। তাঁরা খাল খননের দাবিতে আন্দোলনে নামেন। বুধবার কোদাল হাতে মাটি কেটে প্রকল্পের উদ্বোধন করেন আলিপুরদুয়ার-২ ব্লকের বিডিও সৌমেন মাইতি। উপস্থিত ছিলেন মহাকালগুড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান মাখন বর্মন, জেলা পরিষদ সদস্য গৌতম রায়, পঞ্চায়েত সমিতির নারী ও শিশু কল্যাণ কর্মাধ্যক্ষ সুরাইয়া বসুমাতা-সহ অন্যান্যরা। |
শামুকতলায় মজে যাওয়া বাকলা খালের ছবিটি তুলেছেন রাজু সাহা। |
বিডিও জানিয়েছেন ১০০ দিনের প্রকল্পে ১ কোটি ৩৮ লক্ষ টাকা ব্যয়ে ২ কিলোমিটার লম্বা ওই খালের খনন শুরু হল। প্রায় ৭ ফুট গভীর খনন হবে। কাজ শেষ হলে এলাকার ২০ হাজার একর কৃষি জমি সেচের আওতায় আসবে। এছাড়া এখানে মাছ চাষের কোনও প্রকল্প শুরু করা যায় কি না সেটাও খতিয়ে দেখা হবে। প্রায় প্রতিদিন এক হাজার শ্রমিক এখানে কাজ করবেন। বর্ষা বর্ষার আগে যতটা সম্ভব খনন কাজ করা হবে। এলাকার প্রবীন কৃষক সুধীর পণ্ডিত জানিয়েছেন, বাকলা খালের দৌলতে তাঁরা এক সময়ে বিঘা প্রতি ১৫-১৮ মণ ধান পেতেন। খাল থেকে অঢেল পরিমাণে মিলত বোয়াল, মৌরলা,সরপুঁটি, ট্যাংরা-সহ নানা ধরনের মাছ। তিনি বলেন, “বাকলা খাল খনন শুরু হওয়ায় আশা করি আবার সে ছবি দেখে যেতে পারব।” মহাকালগুড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান মাখন বর্মন বলেন, “বাকলা খালের খনন করার দাবি দীর্ঘদিনের। প্রশাসন সে দাবি পূরণে উদ্যোগী হওয়ায় এলাকায় খুশির হাওয়া ছড়িয়ে পড়েছে। এই খনন কাজ শেষ হলে এলাকার অর্থনৈতিক চেহারাটাই বদলে যাবে।” |