নিজস্ব সংবাদদাতা • শিলিগুড়ি |
বিষক্রিয়ায় যুবকের মৃত্যুর ঘটনায় খাবারে বিষ মেশানো হয়েছে কি না সে ব্যপারে নিশ্চিত হতে ফরেন্সিক ল্যাবরেটরির সহযোগিতা নেবে পুলিশ। বুধবার জলপাইগুড়ির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সন্তোষ পান্ডে জানান, খাবারের নমুনা ও মৃতের দেহের কিছু অংশ সংরক্ষিত করা হয়েছে। তা ফরেন্সিক ল্যাবরেটরিতে পাঠানো হবে। মঙ্গলবার ভোরে শিলিগুড়ি হাসপাতালে মৃত্যু হয় রাহুল দেবের(২১)। রাহুলের প্রেমিকা ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে খাবারে বিষ মিশিয়ে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ রাহুলের প্রেমিকা প্রিয়াঙ্কা সরকার ও তাঁর বাবা অনিলবাবুকে গ্রেফতার করে। তাদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ ঠিক নয় বলে পুলিশের কাছে দাবি করেছে অভিযুক্তরা। জলপাইগুড়ির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বলেন, “ময়নাতদন্ত হয়েছে। রিপোর্ট এখনও পাইনি। পাশাপাশি খাবারের ও দেহের নমুনা ফরেন্সিক টেস্টের জন্য পরীক্ষাগারে পাঠানো হবে। তার রিপোর্ট হাতে পেলেই বিষের ব্যপারে নিশ্চিত হওয়া যাবে।” এদিন প্রিয়াঙ্কা সরকার ও তার বাবা অনিলবাবুকে জলপাইগুড়ি সিজেএম আদালতে তোলা হয়। অনিলবাবুকে তিন দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন আদালতের বিচারক শর্মিষ্ঠা গঙ্গোপাধ্যায়। তিনি ১৭ বছরের প্রিয়াঙ্কাকে জুভেনাইল হোমে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে, সোমবার সারাদিন প্রিয়াঙ্কাদের বাড়িতে ছিলেন রাহুল। সেখানে তিনি ভাত ও সবজি খান। এদিন রাহুলের মা সুমন দেবী জানান, কয়েকদিন আগে রাহুলের সঙ্গে বিয়ে দেওয়ার জন্য রাজি ছিলেন প্রিয়াঙ্কার অভিভাবকরা। সম্প্রতি বিয়ে নিয়ে বেঁকে বসেন তারা। সোমবার রাহুলকে বাড়িতে ডেকে নিয়ে গিয়ে প্রিয়াঙ্কা সে বিষয়ে জানায়। প্রিয়াঙ্কাও বিয়েতে অরাজি হয়। তা নিয়ে দু’জনের মধ্যে বচসা হয়। ওই দিন বিকাল ৫টা নাগাদ রাহুল বাড়িতে ফিরে তাঁর মায়ের কাছ থেকে ৫০ টাকা নিয়ে ফের প্রিয়াঙ্কাদের বাড়িতে যান। রাত ৭ টা নাগাদ তিনি সেখান থেকে বের হন। তার পরেই তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। সুমন দেবী বলেন, “অসুস্থ অবস্থায় রাহুলকে বাড়ি আনার পর পরই প্রিয়াঙ্কা এখানে আসে। সে রাতে হাসপাতালেও যায়। সেই আমাকে জানিয়েছি রাহুলের তাঁর বচসা হয়েছে। সে ও তাঁর বাড়ির লোকজন বিয়ের ব্যপারে রাজি ছিলেন না তা নিয়ে গণ্ডগোল হয়। ওই কারণেই তাঁকে বিষ মেশানো খাবার খাওয়ানো হয়েছে বলে আমার ধারণা।” |